Recent Tube

গভীর ষঢ়যন্ত্র হচ্ছে,চোখ কান খোলা রাখুন; ইবনে যুবাইর।

 
  গভীর ষঢ়যন্ত্র হচ্ছে,চোখ কান খোলা রাখুন

 হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে হেফাজত ও চোরমোনই গোষ্ঠীর আস্তানা ভেঙ্গে পুড়িয়ে দেয়ার উসকানিমূলক বক্তব্যকে তারা কি চোখে দেখছেন?

 হেফাজত ও ইআবা নেতারা এই শ্লোগানের পেক্ষিতে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কিনা তা আমার চোখে পড়েনি।তবে বিএনপি জামায়াতের কোন সমর্থকরা যদি এই কাজ করত তবে দেশে এতক্ষণে তুলকালাম কান্ড ঘটে যেতে পারত।

   তবে একটি বিষয় নিয়ে কৌতুহল তো থাকছেই।হটাৎ করেই হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ মারমুখি হয়ে রাস্তায়ে নেমে এল কেন?
অতি সাম্প্রতিক কুমিল্লার মুরাদ নগরে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

   তার পরপরই ব্যানার হাতে স্বঘোষিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী ফরিদ মাসুদ গ্রুপ সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি এ দেশে উত্থান ঘটেছে,তাদের নির্মূল করার জন্য তাদের প্রভু দেশগুলোর প্রতি আকুল আহ্বান জানাচ্ছে।

  অথচ, জেএমবি সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে ২০০৪/৫ সালে আইন শূঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী  এই ফরিদ মাসুদকে গ্রেফতার করে।হাসিনা ক্ষমতায় এলে হাসিনার হাতে বায়াত করে তিনি জেলে থেকে বেরিয়ে আসেন।তৎকালিন যুবলীগের সভাপতি মীর্জা আযমের হাত ধরে এ দেশে জেএমবির উত্থান ঘটে বলে সে সময়ের পত্রপত্রিকাগুলো নিউজ করতে থাকে।

   জেএমবি দিয়ে দেশে অরাজকতা সুষ্টি করে হাসিনা পশ্চিমা প্রভুদের এই কথা জানান দেন যে,এদের নির্মূল করতে হলে আওযামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।এর কোন বিকল্প নেই।আর এই জেএমবি নাট্যমঞ্চের পলিসি মেকার হচ্ছে আমাদের কথিত বন্ধু দেশ ভারত।

  পাঠক, এ সরকারের আমলে দেশে জঙ্গি নাটক আমরা অনেক দেখলাম।চারদলীয়জোট সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাংলা ভাইসহ অনেক শীর্ষস্থানীয় জেএমবি নেতাদের গ্রেফতার করে।

  কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর কোন জঙ্গীকেই গ্রেফতার করা যায়নি।সব ডেডবডি।শুধুই রহস্য।

  জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় হাসিনা সরকার অনেকটা নার্ভাস ফিল করছে। ইতিমধ্যে আমেরিকা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে RAB এর কিছু শীর্ষ পর্যায়ের অফিসারদের উপর  নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
  ধারণা করা হচ্ছে, জো বাইডেন মানবাধিকার ইস্যুতে হাসিনার আওয়ামী লীগের উপর খড়গহস্ত হতে পারে।কেন হতে পারে সেই বিষয়ে পরে লেখার ইচ্ছে রইল,ইনশা আল্লাহ।

  এখন জেহেতু হাসিনার জঙ্গি নাটক বিদেশিরা আর গিলে না সেহেতু দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে আওয়ামী সেই ফসল ঘরে তোলার গভীর ষঢ়যন্ত্র নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং চেতনাধারী ফরিদ মাসুদগংদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে উসকানি ছড়াচ্ছে।

  প্রশ্ন হল,এই উসকানিতে কি চোরমোনই ও হেফাজতে ইসলাম পা দেবে?

   হেফাজত কি করবে এই মুহূর্তে ঠিক ঠাহর করতে পারছি না।তবে এদের প্রতিহত করার জন্য চোরমোনই গোষ্ঠীর মাঠে নামার সম্ভবনা অনেক বেশি।
   তবে চোরমোনাই গোষ্ঠী মাঠে নামার ব্যাপারে কিছু বাধ্যবাধকতা এবং শর্ত থাকবে।

    চোরমোনইকে সরকার কয়টি আসন দেবে সেই দলিল আগে সই হতে হবে।কারণ,দাঙ্গা বাঁধানোর মূল লক্ষ্য হল সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, তারপর হাসিনার সাময়িক নিরাপদ প্রস্হান,আবার পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আরোহণ এবং এই ষঢ়যন্ত্রের প্রধান শরকিদল ইআবা তথা চোরমোনই গোষ্ঠী।এখন হেফাজত যত শীঘ্র ময়দানে নেমে পড়বে হাসিনা ও চোরমোনই গোষ্ঠীর ঘরে ফসল তোলা তত সহজ হবে।
-------------------------------------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments