Recent Tube

আল্লামা বাবু নগরী বলেছেন,এই সরকার আরও ১০০ বছর ক্ষমতায় থাকুক। ৷ ---ইবনে যুবাইর।

আল্লামা বাবু নগরী বলেছেন,এই সরকার আরও ১০০ বছর ক্ষমতায় থাকুক।তবে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস পূণরায় বহাল করতে হবে।রজম করতে হবে' ....!


আওয়ামী লীগ আপাদ মস্তক ইসলাম বিদ্ধেষী শক্তি।আওয়ামী লীগ ইসলামের ভিত্তিতে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ করেছিল।আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে পঞ্চক সংশোধনী এনে 'বিসমিল্লাহ 'যোগ করেছিলেন।
সেক্যুলারিজমের জায়গায় "আল্লাহর প্রতি হবে সকল কর্মকান্ডের উৎস" এই কথা সংযোজন করেছিলেন।
সমাজতন্ত্রকে সামাজিক ন্যায় বিচারে রুপান্তিত করেছিলেন।খতিবে আযম মাওলানা সিদ্দীক আহমদ মরহুমসহ এদেশের ওলামায়ে কেরাম স্বতঃস্ফুর্তভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানেকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
এই একটি ভাল কাজের জন্য এবং এই কাজটি করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশে নয়,দেশের বাইরেও মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে স্হান করে নিয়েছিলেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এই উদ্যোগের কারণে আজকে খেলাফতে আন্দোলন বলেন,খেলাফতে মজলিস বলেন,ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বলেন, আর ইসলামী ঐক্যজোট বলেন,জামায়াতে ইসলামী বলেন,এই সব ইসলামী দল গণমানুষের মধ্যে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্হা প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবের উদ্যোগেই মাদরাসা শিক্ষার দাখিল ও আলিমের সার্টিফিকেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাদ্যমিকের সমমান পায়।
৯১-এর পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সার্থক উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের উপরে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করে।
এরপর ক্ষমতায় এসে জোট সরকারের শুরুর সাথে সাথে মাদরাসা শিক্ষার উন্নতি ও যুগপযোগী করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরর তদান্তীন ভাইস চ্যান্সেলর ড.মুস্তাফিজুর রহমান সাহেবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রস্তাবকে সামনে রেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা পর ফাজিল এবং কামিলকে যথাক্রমে স্নাতক ডিগ্রী ও মাস্টার্সেরর সমমান প্রদানের সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছিল এবং পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে আইন পাস করা হয়েছিল।একই সাথে কওমী মাদরাসার স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ইসলামী এজেন্ডা বাস্তবায়ণেরর লক্ষ্যে এটা জোট সরকারের বড় প্রয়াস ছিল।জোট সরকার কতৃক সরকার গঠনের পর পরই দেশের ভিতরে বাইরে আওয়ামী বলয় প্রগাগান্ডা জোরদার করে যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উত্থান হয়েছে,ইসলামী জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে।তারপর কওমী মাদরাসায় জঙ্গি আবিস্কার এবং এই মাদরাসাকে জঙ্গি তৈরির আঁতুড় ঘর বলে দেশে বিদেশে প্রচার করে।এই তো সেই হাসিনা যিনি শাপলা চত্বরে হেফাজতকে জামাই আদরে বিদায় করেছিলেন,আল কুরআন পুড়োনোর দায় হেফাজতের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে বলেছিলেন,শাপলায় কোন মানুষকে হত্যা করা হয় নি।হোফাজত রং মেখে নাকি রাস্তায় শুয়ে ছিল।
১০০ বছর নয়,শেখ হাসিনা ইসলামের যে খেদমত করেছেন,আলেম ওলামাদের যেভাবে সম্মান করেছেন,হাজার বছর ক্ষমতায় থাকা উচিত।
---------------------------------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments