ইনশাআল্লাহ! হেরে যাবে ওদের হিংসা জিতে যাবে ভালোবাসা । ---কুতুব শাহ।

ইনশাআল্লাহ! হেরে যাবে ওদের হিংসা জিতে যাবে ভালোবাসা ।

   গত বছর এই সময় শুনা যেত মিযানুর রহমান আযহারীর বিভিন্ন স্থানে মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে প্রশাসন। 

      এই বছর শুনা যাচ্ছে মামুনুল হক্ব আর আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরীর মাহফিলে একই টাইপের কাজ করছে।

     এর পিছনে কি শুধু সরকার, প্রশাসন?  নাহ, একদম নয়। মূল ষড়যন্ত্রের পিছনে আছে মাইজভান্ডারি, চরমোনাই গং।  

     যেমন ধরেন, গতকাল ঢাকায় দুটো সেমিনার ছিল। একটা রহমাতুল লিল আ'লামীন ফাউন্ডেশনের সেটা কওমী ঘরানার এবং হেফাজত নেতৃবৃন্দ প্রভাবিত। অন্যটাও কওমী ঘরানার সেটা চরমোনাই ফ্যান, সমর্থকদের। একটাতে নিষেধাজ্ঞা অন্যটাতে সহযোগীতা। 

      দ্বিতীয়তঃ আপনি শুনবেন না কুয়াকাটা / চরমোনাই কিংবা কথিত সুন্নীদের কোন মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা আছে। এর মানে কি? সরকার পক্ষীয় হলে নিরাপত্তা আর অন্যকেউ হলে বিভিন্ন অজুহাতে বাঁধা, নিষেধাজ্ঞা। 

    ক্ষতি কার হচ্ছে? আমি মনে করি পরোক্ষভাবে সরকারের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করা দল, বক্তা আর স্বাধীনভাবে দ্বীন প্রচারক উভয় পক্ষের ক্ষতি হচ্ছে। যারা সরকারের সহযোগীতায় অন্যদের মাঠ খালি করে নিজেরা মাঠ দখলের চেষ্টা করছে তা ভুল পথ। একদিন তারাও একইভাবে বাঁধার সম্মুখীন হবে। এছাড়া জনগনের বৃহৎ অংশ এই নোংরা খেলা পছন্দ করে না, আলেমদের এই ভূমিকায় দেখতে চায়না।

     মনে আছে মামুন্যাকে সাইজ করা হবে ডায়লগ? সব এই ফর্মূলায় হচ্ছে এখন। মাস্টারপ্ল্যান আগেই করা এখন ময়দানে বাস্তবায়ন আরকি।

৷ যাইহোক, হেরে যাবে ওদের হিংসা জিতে যাবে ভালোবাসা, ইনশাআল্লাহ।

------------------------------------------------------------

লেখকঃ  ইসলামিক  আর্টিকেল  লেখক  ও  অনলাইন  এক্টিভিস্ট।