Recent Tube

ইসলমপন্থী দল সমুহের ঐক্যঃ ----- আবু বকর সিদ্দিক।

  
 ইসলমপন্থী দল সমুহের ঐক্যঃ


চরমোনাইর ইসলামী আন্দোলন কোন ইসলামী দলের সাথে ঐক্য জিন্দেগীতে করার সম্ভাবনা দেখছি না। 

  ইসলামী আন্দোলন (সাবেক ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন)  একলা চল তত্ত্বে বিশ্বাসী। ৩০০আসনে নির্বাচন করে। তাদের নিকট গণতন্ত্র জায়েজ কিন্তু নারী নেতৃত্ব হারাম। তাদের সাথে ঐক্য প্রচেষ্টায় দেশের প্রখ্যাত আলেমগন ব্যর্থ হয়েছেন। সেই আলেমদের মধ্যে অন্যতমঃ
১) আল্লামা খতীব ওবায়দুল হক রহঃ
২) শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহঃ 
৩) আল্লামা মাওলানা মহিউদ্দিন খান রহঃ 
৪) আল্লামা ফজলুল হক আমিনী রহঃ
৫) আল্লামা মুফতি আবু সাইদ হাফিঃ
৬) আল্লামা মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী হাফিঃ
৭) আল্লামা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী হাফিঃ 

  ২০০৪ সালে খতীব আল্লামা ওবায়দুল হকের নেতৃত্বে "জাতীয় ওলামা আশায়েখ সম্মেলন " হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিষ্টিটিউটে। সেখানে দেশের প্রখ্যাত আলেম,পীর,মাশায়েখ উপস্থিত ছিলেন। শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, চরমোনাইর পীর সাহেব আল্লামা ফজলুল করীম রহঃ,মুফতি ফজলুল হক আমেনী রহঃ উপস্থিত ছিলেন। 

  খতীব সাহেবের নির্দেশে মুফতি আবু সাইদ হাফিঃ এর নেতৃত্বে আলেমদের একটি টীম যায় রামপুরা জামিআ কারমিয়ায় চরমোনাইর পীর সাহেবের নিকট। 
**পীর সাহেব শর্ত দিলেনঃ চারদলীয় জোট ত্যাগ করতে হবে। কেন? নারী নেতৃত্ব হারাম। মুফতি সাইদ সাহেব বললেন, গণতন্ত্র যে দৃষ্টিতে হারাম, নারী নেতৃত্বও একইভাবে হারাম। পীর সাহেব বললেন, গণতন্ত্র জায়েজ। তিনি জোট ছাড়ার প্রশ্নে অনড় থাকলেন। 

    প্রতিনিধি দল ফেরত আসলেন। দেখা করলেন শায়খুল হাদিস এবং মুফতি আমেনীর সাথে। উনারা একমত হলেন। বৃহত্তর স্বার্থ্যে জোট ছাড়বেন। প্রতিনিধি দল আবার পীর সাহেবের নিকট গেলেন। 
এবার নতুন শর্ত দিলেনঃ ঐক্যের নেতৃত্ব থাকবে ইসলামী শাসনতন্ত্রের হাতে। প্রতিনিধি দল অনুরোধ জানান নেতৃত্বের শর্ত না দেয়ার। পীর সাহেব অনড় থাকলেন। 

   এইবারও শায়খুল হাদিস, মুফতি আমেনী পীর সাহেবের শর্ত মানলেন। প্রতিনিধি দল পুনরায় পীর সাহেবের নিকট গেলেন। পীর সাহেব এবার নতুন শর্ত দিলেনঃ মুফতি আমেনী ঐক্যের মহাসচিব থাকতে পারবেন না। 

   মুফতি আবু সাইদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল শায়খুল হাদিসের নিকট পীর সাহেবের শর্ত জানালে তিনি নিজে সভাপতির পদ ছাড়তে রাজি জানিয়ে দিলেন। আমেনির সাথে দেখা করতে বলেন। প্রতিনিধি দল থেমে গেলেন। মুফতি আমেনীর কাছে আর গেলেন না। তারা বুঝে গেলেন পীর সাহেবের এতসব শর্ত ঐক্যের বিরোধী, উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে নয়। ব্যক্তি এবং দলীয় স্বার্থে ঐক্য হতে পারে না। একটি মহৎ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে গেল। ( সুত্রঃ মুফতি হেদায়েত উল্লাহ) 

    এখন আল্লামা মামুনুল হক চরমোনাইর সাথে ঐক্য করার উদ্যোগ নিলেন।  ২/১১/২০ তারিখের হেফাজতের বিশাল গণমিছিলে পীর সাহেবের দল এবং নেতাদের অনুপস্থিতি প্রমান করল তারা দেশে ওলামা-মাশায়েখ, ইসলামী দলের বৃহৎ ঐক্যের পক্ষে নেই। আল্লামা মামুনুল হকের ঐক্য প্রস্তাব নাকচ করে দিল। 
দিবালোকের মত সত্যঃ চরমোনাইর দল কোন ইসলামী দলের সাথে ঐক্য করতে আগ্রহী নয়। তারা একলাই চলবে।
-------------------------------------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments