নিজেদের ঘর সামলান;
অতপর আমি আপনাদের সন্তান-সন্ততি ও পরিবারের লোকজন সংশোধন সম্পর্কে বলতে চাই। আল্লাহ বলেছেনঃ
যে সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রী-পরিজনের অন্ন-বস্ত্রের জন্য আপনারা চিন্তা করেন, তারাও যাতে দোযখের ইন্ধনে পরিণত না হয়, সেদিকেও আপনাদের বিশেষ লক্ষ্য রাখা কর্তব্য। তাদের পরিণাম যাতে শুভ হয় এবং জান্নাতের পথেই তারা অগ্রসর হয়, সেই জন্য অপরকে সাধ্যানুসারে চেষ্টা করতে হবে। এর পরও যদি কেউ স্বেচ্ছায় ভুল পথেই অগ্রসর হয় তবে সে জন্য আপনার কোনো দায়িত্ব থাকবে না। মোটকথা, তাদের অশুভু পরিণতির ব্যাপারে আপনার যেন কোনো সহযোগিতা না থাকে সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
আমার কাছে অনেক সময় অভিযোগ করা হয় যে, জামায়াতের কর্মীগণ সাধারণ মানুষের সংশোধন ও কল্যাণের জন্য যতটা চেষ্টা করেন নিজেদের পরিবার-পরিজন এবং সন্তান-সন্ততির সংশোধনের জন্য কতটা চেষ্টা করেন না। হয়তো কোনো কোনো লোকের বেলায় এ অভিযোগ সত্য হতে পারে, আবার কারোও বেলায় হয়তো বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকের অবস্থা পর্যালোচনা করা আমার পক্ষে মুশকিল। এজন্যই আমি এ সম্পর্কে কয়েকটি সাধারণ নীতি বর্ণনা করতে চাই।
আমাদের একান্ত প্রিয়জনকে শান্তি ও কল্যাণের পথে অগ্রসর হতে দেখে আমাদের চক্ষু যাতে জুড়ায় এবং প্রাণ-মন শীতল হয় সেজন্য আমাদের সকলেরই ঐকান্তিক বাসনা থাকা উচিত এবং সে জন্য আমাদের চেষ্টা ও যত্ন থাকা আবশ্যক। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেনঃ
হে আমাদের রব! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের এমন গুণ বিশিষ্ট করে তোল যে, যাদের দেখে যেন আমাদের চক্ষু জুড়ায় এবং আমাদেরকে পরহেযগার লোকদের অনুগামী করে দাও।
সূরা ফুরকান : ৭৪
এ ব্যাপারে জামায়াতের কর্মীদের পরষ্পরের জীবন ধারার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া আবশ্যক। তাদের কেবল আপন-সন্তান-সন্ততিই নয় বরং কর্মীদের সন্তান-সন্ততির সংশোধনের দিকেও খেয়াল রাখা উচিত। কেননা অনেক সময় শিশুকে পিতার তুলনায় পিতার বন্ধুদের প্রভাব সহজেই গ্রহণ করতে দেখা যায়।
হেদায়াত বইয়ের ২২ পৃষ্ঠা
0 Comments