Recent Tube

তুমি কোন শ্রেণীর মুসলমান!আরাম কেদারায় বসে ফতুয়া মারো রাজনীতিবিহীন ইসলামের?কই পাইলা এই ফতুয়া। --- ইবনে যুবাইর।

তুমি কোন শ্রেণীর মুসলমান!আরাম কেদারায় বসে ফতুয়া মারো রাজনীতিবিহীন ইসলামের?কই পাইলা এই ফতুয়া। 

  এই ফতুয়া মারার আগে তোমার কলিজায় কাঁপন ধরল না কেন?ইসলাম নিয়ে তামাসা করার এত বড় স্পর্ধা তোমার হল কি করে?তুমি কিসের আলেম?কত বড় আলেম ?হযরত ওমার (রা) হযরত আবু বকর (রা.) কথা শুনব,না তোমার কথা?

     নবী (সা.) এর ইন্তেকালের পর যারা গোলযোগ সৃষ্টি করেছিল তাদের একটি দল বলতো, আমরা ইসলামকে অস্বীকার করি না। আমরা নামায পড়তে প্রস্তুত কিন্তু যাকাত দেবো না। সাহাবায়ে কেরাম সাধারণভাবে এ ভেবে বিব্রত হচ্ছিলেন যে, এ ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে কেমন করে তরবারি ওঠানো যেতে পারে? কিন্তু হযরত আবু বকর (রা.) নিচের আয়াতটির বরাত দিয়ে বললেন, আমাদের তো কেবলমাত্র যখন এরা শিরক থেকে তাওবা করবে, নামায কায়েম করবে ও যাকাত দেবে তখনই এদেরকে ছেড়ে দেবার হুকুম দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যখন এ তিন শর্তের মধ্য থেকে একটি শর্ত এরা উড়িয়ে দিচ্ছে তখন আমরা এদের ছেড়ে দেই কেমন করে?

  আল্লাহ বলেন,অতএব, হারাম মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে গেলে মুশরিকদের যেখানে পাও হত্যা করো এবং তাদের ধরো, ঘেরাও করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকো। তারপর যদি তারা তাওবা করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাহলে তাদের ছেড়ে দাও। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।"
হযরত আবু বকর (রা.) মুরতাদ হবার ফিতনা দেখা দেবার সময় উপরোক্ত আয়াত থেকেই যুক্তি সংগ্রহ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। 

   আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মৃত্যুর পরে যখন আবু বকর (রাঃ) খলীফা নির্বাচিত হলেন, তখন আরবদের কিছু লোক যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল। আবু বকর (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন। 

    তখন ওমর (রাঃ) বললেন, আপনি কিভাবে  লোকদের সাথে যুদ্ধ করবেন? কারণ রাসূল (সা) বলেছেন, আমাকে লোকদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ না তারা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-কে স্বীকার করে। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করবে সে তার সম্পদ ও প্রাণ আমার হাত থেকে সংরক্ষিত করে নিবে। তবে ইসলামের অধিকার ব্যতীত। আর অন্য সবকিছুর হিসাব আল্লাহর কাছে রয়েছে। 

     অতঃপর আবু বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করবে আমি তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হব। কারণ যাকাত হচ্ছে আল্লাহর সম্পদের হক। আল্লাহর শপথ! তারা যদি উটের গলার একটি রশিও দিতে অস্বীকার করে, যা তারা রাসূল (সা)-এর যামানায় দিত, তাহলে এ অস্বীকৃতির কারণে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।

৷  ওমর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি দেখলাম আল্লাহ আবু বকর (রাঃ)-এর হৃদয়কে যুদ্ধের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। কাজেই আমি বুঝতে পারলাম, আবু বকর (রাঃ)-এর সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।
বুখারী হা/১৪০০, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/৭৮ পৃঃ; মিশকাত হা/১৭৯০।
মুসলিম রাষ্ট্রে শয়তানের আইন চলছে আর তুমি অরাজনৈতিক ইসলামের ফতুয়া ফেরি করে সাধারণ মুসলমানদেরকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে মুসলিম সমাজে বিভক্তি বাড়িয়ে  কাফির মুশরিকদের হাতকে শক্তিশালী করছ,তারপরও তুমি আলেম।তাহলে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই কি দোষ করল?!আযাযিল কি দোষ করল আল্লাহর একটি আদেশ অমান্য করে?

Post a Comment

0 Comments