Recent Tube

মূল গ্রন্থ ; রাসূলুল্লাহর (সা.) মক্কার জীবন ; (হযরত খালিদ বিন সাঈদের (রা.) উপর নির্যাতন;) মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী রহঃ।

 হযরত খালিদ বিন সাঈদের (রা.) উপর নির্যাতন;

    হযরত খালিদ বিন সাঈদ পিতা-মাতার অজান্তেই ইসলাম কবুল করেন। যখন পিতা-মাতা এটা জেনে ফেলে তখন তিনি তাদের ভয়ে পালিয়ে যান এবং আত্মগােপন করেন। অত:পর তার পিতা তাকে খুঁজে বের করে এনে রীতিমত গালাগালি আর মারপিট করতে থাকে। যে কাঠের টুকরাে দিয়ে
     হযরত খালিদ বিন সাঈদকে (রা.) মারা হচ্ছিল এক পর্যায়ে তা ভেঙ্গে যায়। তখন তার পিতা তাকে বলল, যে মুহাম্মদ আপন কওমের বিরােধিতা করছে, পৈত্রিক দীনের দোষত্রুটি বের করছে, পূর্ব পুরুষের লােকদেরকে পথভ্রষ্ট বলছে, তুই তার আনুগত্য মেনে নিয়েছিস?

      হযরত খালিদ বিন সাঈদ (রা.) প্রতি উত্তরে বলেন, খােদার কসম তিনি সত্যবাদী এবং আমি তাঁর অনুসারী। একথা বলার পর তার পিতা আবার তাকে মারপিট শুরু করে এবং বকাঝকা দিয়ে বলে নালায়েক তুই যেখানে
   খুশী চলে যা, আমার বাড়ীতে তাের খানা পিনা বন্ধ। এর উত্তরে খালিদ বিন সাঈদ (রা.) বলেন, আপনি আমার রিজিক বন্ধ করলে, আল্লাহ আমার রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। অত:পর তিনি নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সাথেই বসবাস করতে থাকেন। এমতাবস্থায় একদিন মক্কার পার্শ্ববর্তী কোন নির্জন স্থানে তিনি নামাজ পড়ছিলেন, ব্যাপারটি তার পিতা জানার সাথে সাথে
তাকে ডেকে নিয়ে আবারাে মুহাম্মদ (সা.)-এর দীন ত্যাগ করার জন্যে চাপ দিলে তিনি বলেন, আমরণ তিনি এ দীনের উপর অবিচল থাকবেন, ত্যাগ করবেন না। তার পিতা আবু উহায়লা সাঈদ আগের মত একটি কাঠের টুকরাে হাতে নিয়ে তার মাথায় আঘাতের পর আঘাত করতে থাকে। কাঠের টুকরােখানা অবশেষে ভেঙ্গে যায়। এরপর তাকে তিন দিন একটানা অভুক্ত
অবস্থায় বন্দি করে রাখা হয়। মক্কার অসহনীয় গরমের ভেতরই তিনি এ শাস্তি ভােগ করতে থাকেন। এরপর কোন এক সুযােগে তিনি পালিয়ে যান এবং আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী প্রথম কাফেলার সাথে শরীক হন।

রাসূলুল্লাহর (সা.)  মক্কার জীবন বইয়ের ১০০ পৃষ্ঠায়,
লিখেছেন শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী রহঃ

Post a Comment

0 Comments