Recent Tube

কারাবাখ দখল মুক্ত, কাশ্মীর কবে? কুতুব শাহ।

    কারাবাখ দখল মুক্ত, কাশ্মীর কবে? 

৯০ দশকে আজারবাইজান থেকে খারাবাখ দখল করে নেয় আর্মেনিয়া। সে সময় কারাবাখের ঐতিহাসিক আগদাম মসজিদকে শূকর এবং গবাদি পশুদের বাসস্থান বানিয়ে চরম অপমান করে উগ্রবাদীরা। তখন মুসলীমেরা দেখেছে, অশ্রু ঝরিয়েছে কিন্তু প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। অন্তরে প্রতিশোধের আগুন যেন জ্বালিয়ে রেখেছিল। আজ প্রায় ত্রিশ বছর পর আজারবাইজান আবার নাগার্নো- কারাবাখ ফিরিয়ে নেয় লড়াই করে। আযান হচ্ছে মসজীদে, মসজীদে।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আজারবাইজান বনাম আর্মেনিয়ার যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার আজারবাইজানি মুসলিম শহীদ এবং ৫০ হাজার জখম হয়। এ ছাড়া প্রায় এক মিলিয়ন মুসলিম ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে আজারবাইজানে রিফিউজি হিসেবে গত ৩০ বছর ধরে দিনযাপন করে আসছে। জাতিসঙ্ঘের ভূমিকাও দেখার মতো। তারা আর্মেনিয়ার প্রতি অধিকৃত এলাকা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে চারটি প্রস্তাব পাস করে। এভাবে মুসলিম দেশের বেলায় শুধু প্রস্তাব পাস করেই দায়িত্ব শেষ করে জাতিসঙ্ঘ; যেভাবে করা হয়েছে ফিলিস্তিন, কাশ্মির ও রোহিঙ্গা সমস্যার বেলায়। অথচ খুব অল্প সময়ের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ইস্ট তিমুর ও সাউথ সুদানকে স্বাধীন রাষ্ট্র্র হিসেবে মেনে নেয় জাতিসঙ্ঘসহ পশ্চিমা দুনিয়া। কারণ ওই দুই এলাকা খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ। অপর দিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার ‘অপরাধে’ দীর্ঘ ৭০ বছর পর্যন্ত ফিলিস্তিন ও কাশ্মির স্বাধীন হতে পারছে না। তাদের বেলায় জাতিসঙ্ঘ কেবল ‘প্রস্তাব পাস’ করেই দায় সেরেছে।

তাই আর কোন প্রস্তাবের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা নয় তুরস্কের পূর্ণ সহযোগীতায় এবার যুদ্বে শুরু করলেন আজারবাইজান। মাত্র দেড় মাসের মাথায় আর্মেনিয়া অসহায়, ধরাশায়ী।  অবশেষে পালিয়ে যাওয়ার চেয়ে চুক্তির মাধ্যমে এলাকা ছেড়ে দেয়ার পথ বেছে নিয়েছে আর্মেনিয়া। তাই চুক্তির পর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগতভাবে আমার এবং আমাদের জনগণের জন্য অবর্ণনীয় বেদনাদায়ক। আর্মেনিয়ার এই ব্যাদনার দিনে আজারবাইজানে চলছে বিজয়ের উল্লাস, ঈদ আনন্দ।

আজকের এই বিজয় আজারবাইজান, তুরস্ক এবং সব মুসলীমের জন্য আনন্দের। তাই শোকর "আলহামদুলিল্লাহ।
------------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments