Recent Tube

সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদূদীঃ আমার সাক্ষ্য। ---হুমায়ুন কবির।

সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদূদীঃ 
আমার সাক্ষ্য।

   আল্লামা মওদূদীর লেখনী যেন এক "মাস্টার কী"
ব্যক্তি থেকে আন্তর্জাতিক সমস্যার যে তালায়-ই লাগাবেন,তা অনায়াসে খুলে যাবে।
অর্ধমৃত গতিহীন হয়ে বসে আছেন?

  মওদূদী গ্রন্থাবলী অধ্যয়ন করুন,গতিশীল হয়ে দাঁড়িয়ে দৌঁড়াতে পারবেন। জুড়িহীন এ লেখনীতে জীবন্ত রূহানীয়াত নিহিত।
সাইয়্যেদ মওদূদীর গ্রন্থাদির আবেদন বিগত শতকের ন্যায় এ শতকেও অম্লান। কালোত্তীর্ণ এ মৌলিক লেখনী ক্রমশঃ অচেতন বিশ্ব বিবেককে জাগিয়ে তুলছে।

  নিশাচরদের রাতভর অভিশাপের পরও পৃথিবীতে সূর্যের প্রখরতা বাড়তেই থাকে,ক্রমাগত মিথ্যাচারের পরও মওদূদী সাহিত্যের প্রবল প্রভাব সর্বাধিক সমাদৃত।

   বিগত শতকে উপমহাদেশীয় মুসলিমদের জন্য মওদূদী সাহিত্য ছিলো চেতনার প্রেরনার নূর,আর
এ শতকে বিশ্বব্যাপী মাজলুম মানবতার বৈপ্লবিক  বিজয়-সংগ্রামের উৎস।

 আল্লামা মওদূদী দূর্নীতিমুক্ত রাজনীতি,শোষনমুক্ত অর্থনীতি,অশ্লীলতামুক্ত সংস্কৃতির ইসলামী রূপরেখা দিয়ে আমাদের জীবনের এসকল জীবন্ত বাস্তবতাগুলোকে ঈবাদতরূপে চিনিয়ে দিয়েছেন।

  আমাদের তথাকথিত শ্রদ্ধেয়গন দীক্ষা দিলেন "দ্বীন-দুনিয়া" "ধর্ম-কর্ম" আলাদা।অথচ "ইসলামের পূর্ণাঙ্গ-সৌন্দর্যে এ দুটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত" বললেন মাওলানা মওদূদী(রহঃ)।
 
  মওদূদীর(রহঃ) বই পাঠে যাদের ভক্ত হারানোর আশংকা,তাদের ঈমানী শক্তি(?) ভেবে অবাক হই।
গোমরাহ্ হবার ভয় দেখিয়ে যারা মওদূদীর(রহঃ) বই পড়তে নিষেধ করেন,অলরেডী তারা গোমরাহ্।

  বৃটিশ প্রভাবিত উপমহাদেশীয় নামকরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জনসাধারন "কালেমার উচ্চারন আর ভিক্ষাবৃত্তি" শিখেছিলো,মাওলানা মওদূদীর বিপ্লবী ব্যাখ্যা থেকে নতজানু সে ভিক্ষাবৃত্তি হতে,পুনরায় সে মাজলুম উম্মাহ্ খুলাফায়ে রাশেদার আলোকে রাস্ট্রগঠন করার জাগরনী প্রেরনা পেয়েছে।❣


 প্রিয় বন্ধুগনঃ বিতর্কিতরাই প্রতিভাবান,
এঁরা সৎসাহসী স্বাধীনচেতা।প্রকৃত সত্য উচ্চারনে এরাই প্রকৃত নির্ভীক,নির্ভরযোগ্য। যারা সচেতন,কমনসেন্স যাদের আছে,তাদের বলছি, "বিতর্কিতদের লেখনিই আগে পড়ুন এবং এদের বক্তব্য শুনুন"।এদেরকেই প্রথমতঃ জানুন,এরাই প্রকৃত মজলুম। এদের লেখনি বক্তৃতা থেকে মানবতার সহস্রাব্দির কান্না ও মুক্তির আর্তনাদ শুনতে পারবেন। জানতে পারবেন মানবরূপী দানব থেকে মানবতার মুক্তির উপায় কী। এছাড়া বাঁকীগুলো পোল্ট্রি,নিশাচর,চামচা,ভোগী, মতলবী, সেবাদাস,ভাড়াটিয়া,বকধার্মিক,একচোখা,রক্তচোষা,
 বর্ণচোরা,ছদ্মবেশী, খোলসধারী, বিলাসী,পরাশ্রয়ী, পরজীবি, পরগাছা,ঘুনপোকা সদৃশ। 
 বিগত ও বর্তমান শতাব্দীর সেরা বিতর্কিত জিন্দা শহীদ কে,জানেন? 
তিনি "আল্লামা মওদূদী(রহঃ)" 

  একদিকে বৃটিশের পরাধীন শিক্ষা অন্যদিকে পদলেহী হুজুরদের ঈলম গোপনের হীন মানসিকতায় জনসাধারন যখন "অবুঝ তেলাওয়াত ও অন্ধ আনুগত্যের মাঝে" মুক্তির খোয়াব দেখছিলো,অন্যদিকে মাওলানা মওদূদীর(রঃ) লেখনী তখন এসকল অসচেতন "কলুর বলদগুলোকে" নিজ নিজ মাতৃভাষায় "আল কুরআন" বোঝার দূর্নিবার পিপাসা এনে দিয়ে আল্লাহর পথে শাহাদাতের তামান্না জাগ্রত করে দিয়েছে।।আলহামদুলিল্লাহ্।।

  উপমহাদেশীয় বড় বড় হুজুরগন ও খেতাব এবং ডিগ্রী প্রদানকারী নামকরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যখন  জনগনকে "ইসলাম শুধু ব্যক্তি ও পরিবারে সীমাবদ্ধ"  বুঝিয়ে,বাতিলপন্থিদের জন্যে মানবতার নেতৃত্বের মসনদ নিরাপদ করে নিজেরা জাবর কাটছিলেন,তখন আত্মবিশ্বাসী তরুন মওদূদী(রহঃ) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসলামকে জীবনের সামগ্রিক দিক ও বিভাগে পরিপূর্ণাকারে সার্থকভাবে তূলে ধরে ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তূলে বাতিলের মসনদে কাঁপন ধরিয়েছেন।

  এখনও সেই পদলেহী দালালদের পোষ্যরা ঘেউ ঘেউ করছে মাত্র। কমনসেন্সযুক্ত সরলমনাদের আল্লাহ্তায়ালা হেদায়াত দিন। আমীন। 
--------------------------------------------------------------
লেখকঃ  ইসলামি চিন্তাবিদ আলোচক দাঈ গবেষক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 


Post a Comment

0 Comments