মামুনুল হকদের প্রথম ভুৃল হল,নিজেদের শক্তিমত্তাকে অপরাজেয় মনে করা।
হেফাজত এ দেশে এক অপরাজেয় শক্তি।সংগঠনটি ইচ্ছে করলে বঙ্গপসাগরের স্রোতকে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার সক্ষমতা রাখে,শাপলার গণজমায়েত যার প্রকৃষ্ট উদাহারণ, এই অহমিকা ফরিদ মাসুদ ও পীর চোরমোনাই মামুনুল হকের নিকট খুব চড়া দামে বিক্রি করে ভাস্কর্য ইস্যুতে মাঠ গরম করতে মামুনুল হককে পরামর্শ দেন এবং তারা তার সাথে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
তাদের এই পরামর্শ মামুনুল হকের নিকট অমৃত সুধার মত মনে হয় এবং তিনি আকাবিরদের কথামত মাঠ গরম করার কাজে আত্ননিয়োগ করেন।
মামুনুল হকদের প্রথম ভুৃল হল,নিজেদের শক্তিমত্তাকে অপরাজেয় মনে করা।
দিত্বীয় ভুল হল,শাপলার গণজমায়েতকে একমাত্র কৌমি শক্তি মনে করা।
শাপলায় শুধু কৌমি আলেমদের উপস্হিতি ছিল না।সেই জমায়েতে দলমত নির্বিশেষে সকল দল মতের মানুষের উপস্হিতি ছিল।শাপলার মানুষের বিশ্বাস নিয়ে হেফাজতের প্রতারণা করা মানুষ সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি।
তৃতীয় ভুল হল,শক্র মিত্র চিনতে না পারা।শাপলায় পীর চোরমোনাই এর দল কেন অনুপস্হিত ছিল সে হিসেব আমলে না নেয়া।
চতুর্থ ভুৃল,পীর চোরমোনাই ও ফরিদ মাসুদকে বন্ধু মনে করা।
পঞ্চম ভুৃল,পিঠ বাঁচাতে ও সরকারের অনুকম্পা পাবার আশায় ৭১ এর ভূমিকা নিয়ে জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে বলা।
ষষ্ঠ ভুৃল, রাজনৈতিক কোন জ্ঞান না থাকার পরও রাজনৈতিক ময়দানে খেলতে নামা।
এখন পরিস্হিতি এমন যে,সরকার মামুনুৃল হক ও বাবু নগরীকে গ্রেফতার করবেই যদি তাদের দল সরকারের সাথে গায়ে পড়ে আপোসে না যায়।যেভাবে আপোস হয়েছিল শাপলা ইস্যু নিয়ে।
পীর চোরমোনাই নিরীহ মানুষ।তিনি বদনা হুজুরকে দিয়ে তার দলের বক্তব্য ইতিমধ্যে স্পষ্ট করিয়েছেন।ফরিদ মাসুদের বর্তমান ভূমিকা কি সেটা মামুনুল হকই ভাল বলতে পারবেন।
জামায়াত কার্ড ব্যবহার করে মামুনুল সাহেবরা অনেক দুর্গম পথ সহজভাবে পাড়ি দিয়ে এসেছেন।এবার সেই কার্ডে কাজ হবে বলে মনে করা করার হেতু নেই।
হাসিনা ভাস্কর্য বানাবেই।সাথে হেফাজতে ইসলামকে নিয়ন্ত্রনে নিতে তাদের নিজেদেরকেই নিজেদের হেফাজতের জন্য হাসিনা দৌড়ের উপর রাখবেন।সামনে মামুনুল হকদের ঈমানী পরীক্ষা।পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে জেলে যাবার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার বিকল্প নেই।আর যদি সহজলভ্য জীবন চান তবে বদনা হুজুরের পদাঙ্ক অনুসরণ করা ছাড়া ভিন্ন কোন পথ নেই।
-----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments