Recent Tube

এনালাইসিস, কুতুব শাহ।

 অশনি সংকেত কি বুঝতে পারছেন? জাহেলিয়্যার নমুনা কি খেয়াল করছেন? দুর্যোগের পূর্বাভাস কি লক্ষ্য করছেন? 
নাহ। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পরিবেশটা খুব সুন্দর, কোন হৈচৈ নাই। ঢেলে দিই? 

        ✍️ খেয়াল করেন, পীরে নারায়নগঞ্জী দিনে ৭০/৮০ রাকাত নফল পড়ার দাবী করে একই বক্তব্যে মূর্তির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান জানাচ্ছে! এটাই জাহেলিয়া, এটাই অশনি সংকেত! তাপস দা ঘরে বসে আলিফ, বা, তা শিখার দাবী করে হুজুরদের হুংকার দিল! তোমাদের চেয়ে কি আমি কম ধার্মিক, কম ইসলাম বুঝি? এরপর মূর্তির পক্ষে শক্ত অবস্থান জানান দিল! জনৈক পুলিশ অফিসার হুজুর ছাড়া নিজের বাপের জানাজা পড়ার যোগ্যতা উল্লেখ করে ধর্মের ব্যাপারে তার ব্যাপক জ্ঞানের ইঙ্গিত দিয়ে মূর্তির পক্ষে দাম্ভিক ঘোষণা দিল! এসব-ই চূড়ান্ত মূর্খতা, নিজদের অজ্ঞতা, কাণ্ডজ্ঞানহীনতার নগ্ন প্রদর্শন। নিজদের ধর্মের জ্ঞানে জ্ঞানী হিসাবে তুলে ধরে মূর্তি পক্ষে বলা মানে নব্য জাহেলিয়্যার স্পষ্ট সংকেত। এরা নিজদের আলেম ভাবছে, নিজকে নিজে ধার্মিক, ধর্মীয় জ্ঞানের বিশাল কিছু ভাবতে শুরু করেছে এটাই অজ্ঞতার বড় পরিচয়।

  ✍️ আলেম হওয়া কি এত সহজ? আলেম মানে কি সামান্য কিছু? কওমী বা আলীয়া থেকে পাসের মধ্যে কি আলেমের প্রকৃত সংজ্ঞা? আলেম অনেক বিশাল বড় মর্যদা সম্পন্ন ব্যাপার। মাদ্রাসায় পড়লেই বা যেকেউ চাইলে আলেম হওয়া যায়না! আলেম হওয়া বড় নেয়ামত, বড় সৌভাগ্যের, বড় কল্যাণের। এই কল্যাণ, এই সৌভাগ্য আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকেই শুধু দান করেন। দলীল কি? আল্লাহ তায়ালা বলেন, يُؤْتِي الْحِكْمَةَ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ
 আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষ প্রজ্ঞা দান করেন। আর যাকে উক্ত প্রজ্ঞা দান করা হয়, তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়। বস্ত্ততঃ জ্ঞানবান ব্যক্তিগণ ব্যতীত কেউই উপদেশ গ্রহণ করে না’ (বাক্বারাহ ২/২৬৯)। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন’। অতএব মহান আল্লাহ যার কল্যাণ চান, যাকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতে চান, তাঁকেই কেবল তিনি আলেম হওয়ার সৌভাগ্য দান করেন।

      ✍️ এই আলেমদের মর্যদা কত সুউচ্চ জানেন? আল্লাহ বলেন,يَرْفَعِ اللهُ الَّذِيْنَ آمَنُوْا مِنْكُمْ وَالَّذِيْنَ أُوْتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন’ (মুজাদালাহ ৫৮/১১)। এই সম্মান, মর্যদার স্বীকৃতি স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন। কত সৌভাগ্যের ব্যাপার, কত গর্বের ব্যাপার খেয়াল করেন। 

    কী আশ্চর্য!  কেউ মূর্তির পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে নিজকে ধার্মীক ৭০/ ৮০ রাকাত ডেইলি নফল পড়ার দাবী করছে আবার কেউ আলিফ, বা, তা শিখে আলেমদের চেয়ে বড় কিছু ভাবছে! অতচ, এসব দাবী নিজের অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। কারা আলেম? আলেমের সংজ্ঞা কি? তাদের মর্যদা কি এই বিষয়ে কয়জনের সঠিক ধারণা আছে?

     ✍️ যাইহোক, এই টপিকের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, এনালাইসিস করলে অনেক লম্বা বিশাল বিস্তৃত হবে যা অনেকে পড়বেনা তাই খুব সংক্ষেপে লিখলাম। হয়ত আরেকটি পর্ব লেখার চেষ্টা করবো। আপনি কোন পক্ষের, কোন ঘরানার আলেম তা আজ জানতে চাইনা, প্রশ্ন করতে চাইনা। আলেম নামের যে পরিচিতি এর মর্যদা রক্ষা করার চেষ্টা করেন। আপনাদের শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রতি সম্মান আছে, পোশাকের প্রতি সম্মান আছে তা বুঝার চেষ্টা করেন। নিজের নামের শুরুতে নিজেই মুফতী, আল্লামা লাগিয়ে বয়ানের নামে কৌতুক অভিনয় করে নিজদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারবেন না, ফেইসবুকে আজেবাজে ট্রল করে পাব্লিকের হাস্যরসের পাত্র হবেন না। বাতিলদের পক্ষ থেকে যে হুংকার দেয়া হচ্ছে, ঘোর অন্ধকারের অমানিশার যে পূর্বাভাস তা বুঝার চেষ্টা করেন, প্লীজ

Post a Comment

0 Comments