Recent Tube

মূর্খতা" এমন এক জিনিস যা অর্জন করতে শ্রম লাগেনা, বই পড়তে হয়না, স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে হয়না। --- কুতুব শাহ।

 
 "মূর্খতা" এমন এক জিনিস যা অর্জন করতে শ্রম লাগেনা, বই পড়তে হয়না, স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে হয়না। আবার হিংসা এমন এক জিনিস যা শুধু মানুষের নেক আমল জ্বালিয়ে দেয়না এর সাথে হিতাহিত জ্ঞান, বিচার বিবেচনা, ইনসাফ, আদলকেও ভুলিয়ে দেয়! 
দেখছেন না? 
হিংসার আগুনে দগ্ধ হয়ে নিজের নামের শুরুতে লেখা মুফতী ডিগ্রীর মান রক্ষা করতে পারছেন না অনেকে, নিজদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যদা ধূলোয় মিশিয়ে আরেকজনকে ওয়াশ করার জন্য উলঙ্গ হয়ে মাঠে নেমেছে! এদের একাডেমিক শিক্ষা দেখেন, পোশাক দেখেন সব ঠিকাছে কিন্তু বিবেক বুদ্বিকে আত্মহুতি দিয়ে আরেকজনকে বাংলা ওয়াশ করতে মরিয়া! 

  "মূর্খতা" এমন এক জিনিস যা অর্জন করতে শ্রম লাগেনা, বই পড়তে হয়না, স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে হয়না। আবার হিংসা এমন এক জিনিস যা শুধু মানুষের নেক আমল জ্বালিয়ে দেয়না এর সাথে হিতাহিত জ্ঞান, বিচার বিবেচনা, ইনসাফ, আদলকেও ভুলিয়ে দেয়! দেখছেন না? হিংসার আগুনে দগ্ধ হয়ে নিজের নামের শুরুতে লেখা মুফতী ডিগ্রীর মান রক্ষা করতে পারছেন না অনেকে, নিজদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যদা ধূলোয় মিশিয়ে আরেকজনকে ওয়াশ করার জন্য উলঙ্গ হয়ে মাঠে নেমেছে! এদের একাডেমিক শিক্ষা দেখেন, পোশাক দেখেন সব ঠিকাছে কিন্তু বিবেক বুদ্বিকে আত্মহুতি দিয়ে আরেকজনকে বাংলা ওয়াশ করতে মরিয়া! 

যেমন পীর তেমন মুরীদ! একই কোয়ালিটির, একই স্বভাবের!  Coming Soon এর বাংলা অনুবাদ করলাম যখন আমার মুরিদেরা প্রচার করতেছে পীর্সাপ দেখি ইংরেজী ভালই ঝাড়তে পারেন। ইংলিশ প্রফেসর Coming Soon এর যে বাংলা অনুবাদ করছে পীর্সের সাথে হুবহু মিল। এতে বুঝা যায় ইংলিশ প্রফেসর আর পীর্সাপের ইংরেজী দক্ষতা একই।  আরে গাধা! আমি গুগল সার্চ দিয়ে তরজুমা করেছি! মুরীদ কখনো মানুষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখিনা🤣

শরীরের উপরে যে মাথা আছে এর ভিতর অনেক জিনিসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, মোহ, ব্রেইন, আক্কেল, চিন্তা শক্তি। তা সবার সমান নয়। যেমন আমার মত জাহেল, মূর্খ গুগল সার্চ দিয়ে Coming soon এর অর্থ বের করলাম! অতচ, দুই চার টন ওজনের কিছু মুফতী এর অর্থ না বুঝে ফতোয়া ঝাড়তে গিয়ে পাব্লিকের বাঁশের চিপায়। এরাও কোন পীরের মুরীদ তাই আক্কেল কম! মাদ্রাসার গন্ডিতে জীবনের কিছু সময় যে কাটিয়েছে এর একটা শৌ-অফ দরকার আছেনা? তা দেখাতে গিয়ে এক বাক্যে বলে দিচ্ছে অমুকের ফতোয়া ভুল! আ রে কি জ্ঞান! 

আমাকে কয়েকজন জ্ঞান দিল, পাব্লিকের সামনে ইখতেলাফী মসায়েল বলা ঠিক্না! ওয়াউ কত বড় বুদ্বিজীবি! নির্দিষ্ট কিছু ফরজ, হারাম বিষয় ছাড়া কতটা মসায়েল ইখতেলাফ ছাড়া আছেন বলেন তো!  অযু করতে গিয়ে হাতের কনুই সহ ধৌত করবেন নাকি কনু পর্যন্ত ধৌত করবেন সেটা নিয়েও ইখতেলাফ! পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ তা নিয়ে ইখতেলাফ নাই কিন্তু নামাজে হাত কোথায় বাঁধবেন, আমীন জোরে নাকি চুপে চুপে বলবেন সেটা নিয়ে এখতেলাফ! তাহলে কোন যুক্তিতে জ্ঞান দেন পাব্লিকের সামনেন ইখতেলাফী মসায়েল আলোচনা ঠিকনা! 

সুন্নাহ, নফল, মুবাহ ইত্যাদিতে অধিকাংশ বিষয়ে ইখতেলাফ আছে। আপনি যে পক্ষে বলবেন অন্য পক্ষ এর বিপরীত মত নিয়ে সমালোচনা করবে, তীর মারবে, ধুয়েমুছে দিবে, মুফতীগিরী দেখাবে। "শুধু ইল্লালাহ" শব্দে যিকির ঠিক কিনা এই প্রশ্ন দুই পক্ষকে করে দেখেন কিভাবে জবাব দেয়। তাহলে কোন আক্কেলে জ্ঞান দিতে আসো ইখতেলাফী মসায়েল বলা ঠিকনা? তোমরা যে সারা বছর মিলাদ, কিয়াম, সম্মিলিত মুনাজাত ইত্যাদি নির্দিষ্ট কিছু ইস্যুতে মাঠ গরম করো সেগুলো কি ইখতেলাফ ছাড়া? তাহলে অন্যের বেলায় কোন আক্কেলে বলো ইখতেলাফী বিষয় পাব্লিককে বলা ঠিকনা। মাথার ভিতর আক্কেল নামের যে জিনিস আছে তা নিয়ে জবাব দাও তো দেখি।

তুমি মাদ্রাসায় পড়ে শ্রম দিয়ে ইফতা পড়েছো, সার্টিফিকেট নিয়েছো, নিজের নামের শুরুতে নিজেই মুফতী লিখো ঠিকাছে কিন্তু চার মযহাবের প্রসিদ্ধ বড় চার ইমাম কি নিজে নিজে নামের শুরুতে মুফতী লিখতেন? উনাদের চেয়ে কি আপনারা বড় মুফতী? হ্যাঁ, অসুবিধা নাই মুফতী লাগাও ঠিক আছে কিন্তু এত বড় সম্মান, শা'ন, মর্যদা সম্পন্ন ডিগ্রীর মান বজায় রাখার অনুরোধ করতেছি মাত্র। কারো কথা পুরা না শুনে বা না বুঝে কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিও কাট করে ফতোয়া ঢেলে দাও এটা জায়েজ কিনা ফতোয়া দাও তো দেখি। তখন বুঝা যাবে তুমি কোন ভার্সনের মুফতী। আসো, চ্যালেঞ্জ নাও, ফতোয়া দাও। 

  আমি তো জোর দাবী জানাই ইখতেলাফী বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করলে এক শব্দে জবাব না দিয়ে একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়া দরকার। কারণ, সাধারণ পাব্লিক একেক জনের কাছে একই প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর শুনে বিব্রত হয়। তাই বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেয়া জরুরী। যেমন, কেউ প্রশ্ন করলো চিংড়ি মাছ খাওয়া জায়েজ কিনা? এর জবাব হবে তিন ধরণের। জায়েজ, মাকরুহ আবার স্বল্প কিছু ওলামার মতে হারাম! এবার মুফতী সাহেবের উচিৎ বিষয়টি একটু খোলে বিশ্লেষণ করে দেয়া, সংখ্যাগরিষ্ঠ মযহাব অনুসারীদের বিষয়টি হাইলাইট করে  পরিস্কার করা যাতে সমাজে দ্বন্দ্ব সংঘাত না হয়।

  এখন সহীহ গ্রুপ নামের এক পক্ষ বাঁশ নিয়ে আসবে মযহাব কেন বল্লাম? দেখুন সোনা মণি, তোমরা যে মতের অনুসরণ করো সেটাও একজনের অনুসরণ বা মযহাব। তোমাদের সাধারণ লেভেলের অনেককে সারাদিন পিটাইলেও সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াত বের হবেনা কিন্ত শায়খের মুখে শুনা সহীহ শব্দ নিয়ে লাফাতে থাকো! তোমাদের বড় শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বল্ল, পেপসি, কোকাকোলা হারাম! শায়খ মতিউর রহমান চাচা বল্ল, এসব পানীয় জায়েজ। তোমরা এসব ছোটখাটো শায়খের মতামত নিতে পারলে বিশ্বের স্বীকৃত সেরা মুজতাহীদ ইমামদের মতামতের নাম মযহাব। এই নাম শুনে সহীহ বলে লাফাউ কেন? মযহাবের ইমামদের প্রত্যেক মসআলার পিছনে নিজদের গভীর গবেষণা, ইজতেহাদ অনুসারে কোরান, হাদীসের দলীল আছে। তোমরা আমাদের পরিচিত কিছু শায়খের দলীল গ্রহণ করে আমল করতে দ্বিধা না থাকলে যারা ইলমে ফিকাহের ক্ষেত্রে উম্মার নক্ষত্রের মত তাদের মত শুনলে ব্যাঙের মত লাফাও কেন? 

    ✍️ আসো এবার বাঁশ নিয়ে আসো।যেমন পীর তেমন মুরীদ! একই কোয়ালিটির, একই স্বভাবের!  Coming Soon এর বাংলা অনুবাদ করলাম যখন আমার মুরিদেরা প্রচার করতেছে পীর্সাপ দেখি ইংরেজী ভালই ঝাড়তে পারেন। ইংলিশ প্রফেসর Coming Soon এর যে বাংলা অনুবাদ করছে পীর্সের সাথে হুবহু মিল। এতে বুঝা যায় ইংলিশ প্রফেসর আর পীর্সাপের ইংরেজী দক্ষতা একই।  আরে গাধা! আমি গুগল সার্চ দিয়ে তরজুমা করেছি! মুরীদ কখনো মানুষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখিনা🤣

  শরীরের উপরে যে মাথা আছে এর ভিতর অনেক জিনিসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, মোহ, ব্রেইন, আক্কেল, চিন্তা শক্তি। তা সবার সমান নয়। যেমন আমার মত জাহেল, মূর্খ গুগল সার্চ দিয়ে Coming soon এর অর্থ বের করলাম! অতচ, দুই চার টন ওজনের কিছু মুফতী এর অর্থ না বুঝে ফতোয়া ঝাড়তে গিয়ে পাব্লিকের বাঁশের চিপায়। এরাও কোন পীরের মুরীদ তাই আক্কেল কম! মাদ্রাসার গন্ডিতে জীবনের কিছু সময় যে কাটিয়েছে এর একটা শৌ-অফ দরকার আছেনা? তা দেখাতে গিয়ে এক বাক্যে বলে দিচ্ছে অমুকের ফতোয়া ভুল! আ রে কি জ্ঞান! 

   আমাকে কয়েকজন জ্ঞান দিল, পাব্লিকের সামনে ইখতেলাফী মসায়েল বলা ঠিক্না! ওয়াউ কত বড় বুদ্বিজীবি! নির্দিষ্ট কিছু ফরজ, হারাম বিষয় ছাড়া কতটা মসায়েল ইখতেলাফ ছাড়া আছেন বলেন তো!  অযু করতে গিয়ে হাতের কনুই সহ ধৌত করবেন নাকি কনু পর্যন্ত ধৌত করবেন সেটা নিয়েও ইখতেলাফ! পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ তা নিয়ে ইখতেলাফ নাই কিন্তু নামাজে হাত কোথায় বাঁধবেন, আমীন জোরে নাকি চুপে চুপে বলবেন সেটা নিয়ে এখতেলাফ! তাহলে কোন যুক্তিতে জ্ঞান দেন পাব্লিকের সামনেন ইখতেলাফী মসায়েল আলোচনা ঠিকনা! 

   সুন্নাহ, নফল, মুবাহ ইত্যাদিতে অধিকাংশ বিষয়ে ইখতেলাফ আছে। আপনি যে পক্ষে বলবেন অন্য পক্ষ এর বিপরীত মত নিয়ে সমালোচনা করবে, তীর মারবে, ধুয়েমুছে দিবে, মুফতীগিরী দেখাবে। "শুধু ইল্লালাহ" শব্দে যিকির ঠিক কিনা এই প্রশ্ন দুই পক্ষকে করে দেখেন কিভাবে জবাব দেয়। তাহলে কোন আক্কেলে জ্ঞান দিতে আসো ইখতেলাফী মসায়েল বলা ঠিকনা? তোমরা যে সারা বছর মিলাদ, কিয়াম, সম্মিলিত মুনাজাত ইত্যাদি নির্দিষ্ট কিছু ইস্যুতে মাঠ গরম করো সেগুলো কি ইখতেলাফ ছাড়া? তাহলে অন্যের বেলায় কোন আক্কেলে বলো ইখতেলাফী বিষয় পাব্লিককে বলা ঠিকনা। মাথার ভিতর আক্কেল নামের যে জিনিস আছে তা নিয়ে জবাব দাও তো দেখি।

   তুমি মাদ্রাসায় পড়ে শ্রম দিয়ে ইফতা পড়েছো, সার্টিফিকেট নিয়েছো, নিজের নামের শুরুতে নিজেই মুফতী লিখো ঠিকাছে কিন্তু চার মযহাবের প্রসিদ্ধ বড় চার ইমাম কি নিজে নিজে নামের শুরুতে মুফতী লিখতেন? উনাদের চেয়ে কি আপনারা বড় মুফতী? হ্যাঁ, অসুবিধা নাই মুফতী লাগাও ঠিক আছে কিন্তু এত বড় সম্মান, শা'ন, মর্যদা সম্পন্ন ডিগ্রীর মান বজায় রাখার অনুরোধ করতেছি মাত্র। কারো কথা পুরা না শুনে বা না বুঝে কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিও কাট করে ফতোয়া ঢেলে দাও এটা জায়েজ কিনা ফতোয়া দাও তো দেখি। তখন বুঝা যাবে তুমি কোন ভার্সনের মুফতী। আসো, চ্যালেঞ্জ নাও, ফতোয়া দাও। 

    আমি তো জোর দাবী জানাই ইখতেলাফী বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করলে এক শব্দে জবাব না দিয়ে একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়া দরকার। কারণ, সাধারণ পাব্লিক একেক জনের কাছে একই প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর শুনে বিব্রত হয়। তাই বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেয়া জরুরী। যেমন, কেউ প্রশ্ন করলো চিংড়ি মাছ খাওয়া জায়েজ কিনা? এর জবাব হবে তিন ধরণের। জায়েজ, মাকরুহ আবার স্বল্প কিছু ওলামার মতে হারাম! এবার মুফতী সাহেবের উচিৎ বিষয়টি একটু খোলে বিশ্লেষণ করে দেয়া, সংখ্যাগরিষ্ঠ মযহাব অনুসারীদের বিষয়টি হাইলাইট করে  পরিস্কার করা যাতে সমাজে দ্বন্দ্ব সংঘাত না হয়।

   এখন সহীহ গ্রুপ নামের এক পক্ষ বাঁশ নিয়ে আসবে মযহাব কেন বল্লাম? দেখুন সোনা মণি, তোমরা যে মতের অনুসরণ করো সেটাও একজনের অনুসরণ বা মযহাব। তোমাদের সাধারণ লেভেলের অনেককে সারাদিন পিটাইলেও সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াত বের হবেনা কিন্ত শায়খের মুখে শুনা সহীহ শব্দ নিয়ে লাফাতে থাকো! তোমাদের বড় শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বল্ল, পেপসি, কোকাকোলা হারাম! শায়খ মতিউর রহমান চাচা বল্ল, এসব পানীয় জায়েজ। তোমরা এসব ছোটখাটো শায়খের মতামত নিতে পারলে বিশ্বের স্বীকৃত সেরা মুজতাহীদ ইমামদের মতামতের নাম মযহাব। এই নাম শুনে সহীহ বলে লাফাউ কেন? মযহাবের ইমামদের প্রত্যেক মসআলার পিছনে নিজদের গভীর গবেষণা, ইজতেহাদ অনুসারে কোরান, হাদীসের দলীল আছে। তোমরা আমাদের পরিচিত কিছু শায়খের দলীল গ্রহণ করে আমল করতে দ্বিধা না থাকলে যারা ইলমে ফিকাহের ক্ষেত্রে উম্মার নক্ষত্রের মত তাদের মত শুনলে ব্যাঙের মত লাফাও কেন? 

  ✍️ আসো এবার বাঁশ নিয়ে আসো।
--------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments