Recent Tube

হয় আপনি শহিদী-ঈমান অর্জনের চেষ্টা করুন, নাহয় সিমারের খঞ্জর হাতে নিয়ে জামায়াত নিধনে শামিল হোন; --- সরওয়ার ফারুকী।

হয় আপনি শহিদী-ঈমান অর্জনের চেষ্টা করুন, নাহয় সিমারের খঞ্জর হাতে নিয়ে জামায়াত নিধনে শামিল হোন।


'জামায়াতি ট্যাগ' দিলেই বলতে হবে 'থাবড়াইলাইমু'!
ফ্যাসিবাদীর 'জামায়াত কার্ড' ছিঁড়ে ফেলার নামই আজ দেশপ্রেম। 
তুই জামায়াতি বলার আগেই ফ্যাসিস্টের মুখে থুথু দিয়ে বলতে হবে তুই স্বৈরাচার, তুই ভোট চোর, তুই ফ্যাসিস্ট, বিদেশের দোসর! 

হ্যা,
জামায়াতের ব্যাপারে আপনার মিনমিনানি বন্ধ করতেই হবে। নিঃশর্ত আলোচনায় বসে জাতীয় ঐক্য করতেই হবে। না-হয় আপনি আওয়ামিলীগের মতো জামায়াত নিধনযজ্ঞে অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন হওয়ার দুর্লভ সুযোগ হাসিল করুন— তাতে অসুবিধা নেই, কিন্তু একটি স্পষ্ট স্ট্যান্ড আপনাকে নিতেই হবে। 

হয় আপনি শহিদী-ঈমান অর্জনের চেষ্টা করুন, নাহয় সিমারের খঞ্জর হাতে নিয়ে জামায়াত নিধনে শামিল হোন। কিন্তু, এই ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা আপনাকে বন্ধ করতেই হবে। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছুঁড়বেন, আবার আত্মরক্ষার্থে জামায়াত-বিরোধী বক্তব্য দিয়ে কোলে ওঠার নির্লজ্জ প্রচেষ্টা করবেন— তা তো হতে পারে না।

নিশ্চিত থাকুন, জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐক্য ব্যতীত এদেশে রাজনৈতিক অথবা আদর্শিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। কারণ, জামায়াত প্রমাণ করেছে তাদের আদর্শিক স্পষ্টতা এবং সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য। বিশ্বাসের জায়গায় তারা এতটাই শক্ত যে, তাদের বয়োবৃদ্ধ নেতাও হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে ওঠতে জানেন— বিস্ময়কর এ বাস্তবতা থেকে শিক্ষা অর্জন আপনাকে করতেই হবে। জামায়াত এত নিখুঁতভাবে শত্রুকে চিনতে পেরেছে যে, শত্রু চেনার জন্য আপনাকে আর অন্য কেতাব পাঠ করতে হবে না, বরং জামায়াতের শত্রু মানেই পরাশক্তির মিত্র, জামায়াতের শত্রু মানেই আধিপত্যবিরোধীরও শত্রু— এটাই বাস্তবতা। 

আমি বলছি না আপনি জামায়াতি হোন, অথবা আপনাকে জামায়াত করতে হবে— বিষয়টি এমন নয়, কিন্তু আপনার রাজনৈতিক লক্ষ্যের ব্যাপারে স্পষ্টতা থাকতে হবে— যা জামায়াত অর্জন করেছে।  এ বাস্তবতা মেনে নিয়ে হীনমন্যতা দূর করুন, দোদুল্যমানতা পরিহার করুন।

জি,
আপনাকে বিশ্বাসের জায়গায় অনড় থাকতেই হবে, সুনির্দিষ্ট এবং সুস্থির লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই হবে। নাহলে পথেপথে, চোরাবালিতে, একই বিন্দুতে বারবার ঘুরপাক খাবেন— ফ্যাসিস্ট শক্তি, বিদেশি শক্তির ঘুটি হতেই থাকবেন। মনে রাখবেন, জামায়াতের সাথে সখ্যতা যত দ্রুত এবং শক্তিশালী করবেন, এ জাতির মুক্তি ততটাই দ্রুত হবে। আর, ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবলম্বন করবেন— একদিন এ খেলাও খেলবার সামর্থ থাকবে না। সুস্পষ্ট শক্তির ব্যাপারে অস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রেখে চাঞ্ছের খেলোয়াড় হিসেবে আপনি জয়ী হয়ে যাবেন— এ ধারণা যে ভুল— তা হেফাজতে ইসলাম ৫ই মে'র অন্ধকারে প্রমাণ করেছে। 

একজন সুখরঞ্জন বালীর মতো ফ্যাসিস্টের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলতে হবে 'না, না, না'— এ ঈমান অর্জনের পাঠ-পদ্ধতি শেখা আজ সবচেয়ে জরুরি।
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল, প্রবন্ধ লেখক, কবি ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments