তিন ব্যাক্তির উপর জান্নাত হারাম,
---------------------------------
রাসুল [সা.] বলেছেন,
তিন শ্রেণীর মানুষের উপর জান্নাত হারাম,
অর্থ্যাৎ এই তিন শ্রেণীর মানুষ কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
যেমন হাদিসে স্পষ্ট ভাবে এসেছে,
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثَلَاثَةٌ قَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ الْجَنَّةَ مُدْمِنُ الْخَمْرِ وَالْعَاقُّ وَالدَّيُّوثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَث.
(مسند احمد, ح 5349)
অার্থাৎ,
হযরত অাবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) রেওয়েত করেন,
হুযুর (স:) এরশাদ করেন,
তিন শ্রেনী ব্যিক্তির উপর অাল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন, (মুসনাদে অাহমদ, হাদিস ন: ৫৩৪৯)
সেই তিন শ্রেনী হলো,
প্রথম শ্রেণী,
যারা কোনো প্রকার নেশাদার দ্রব্য পান বা গ্রহণ করে।
যে কোনো প্রকার নেশাই গ্রহণ করেন না কেন;
এই নেশা খেলে দেহ অপবিত্র হয়ে যাবে,
আর এই অপবিত্র দেহ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
সুতরাং এইসব নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা আজকেই ছাড়া উচিত,
আজ এবং এখনই তাওবা করা উচিতি এই পাপ কাজ থেকে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।
দ্বিতীয় শ্রেণী হলো-
যে বা যারা পিতা-মাতার নাফরমানি করে,
এই শ্রেণীভূক্ত মানুষরাও জান্নাতে যাবে না।
রাসুল (স:) তাদের উপর জান্নাত হারাম বলেছেন,
তাই অামাদের মৃত্যু পর্যন্ত পিতা-মাতার দেখভাল করতেই হবে।
পিতা-মাতাকে কোনো কারণেই ত্যাগ করা যাবেনা।
পিতা-মাতার খেদমত করতেই হবে।
রাসুল [সা.] পরিস্কারভাবে বলেছেন, পিতা-মাতার অবাদ্ধ্য সন্তান জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে পিতা-মাতার অবাদ্ধ্য সন্তান না হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
তৃতীয় শ্রেণী হলো-
দাইউস,,, "دیوث"
দাইউস ব্যক্তি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবেনা,
দাইউস হলো,
যে তার পরিবারকে (স্ত্রী, কন্যাদের)বেপর্দাভাবে
চলা ফেরা করাই,
অর্থাৎ,
পরিবারের সদ্যসের মাঝে বেপর্দা ছিলো, বেহায়াপনা ছিলো কিন্তু সে তা বাধা প্রদান করেনি।
পরিবারের কর্তা হিসেবে বেপর্দা-বেহায়াপনা বন্ধ না করার জন্য অাল্লাহ তাঅালা তার জন্য জান্নাত হারাম করেছেন,
আপনি যত বড় ইবাদতকারীই হোন না কেন,
যতবার হজ পালনই করেননা কেন,
আপনার যতই সুন্নতি-শক্তিশালী এবং সুন্দর লেবাস হোক না কেন,
পরিবারে যদি পর্দা না থাকলে রাসুল [সা.] –এর হাদিস অনুযায়ী আপনি জাহান্নামি।
রাসুল (স:)স্পষ্টভাবে বলেছেন قَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ الْجَنَّة
আল্লাহ এই শ্রেণীর মানুষের জন্য জান্নাত হারাম করেছেন,
তাই ভাইয়ারা আসুন,
অাজ থেকে নিজ নিজ পরিবারে পর্দা চালু করি,
এবং নিজ ও পরিবারকে জাহান্নাম থেকে হেফাজত করি,
আল্লাহ পাক অামাদের সবাইকে এ সমস্ত খারাপি থেকে বাচার তৌফিক দিন,
( আমিন,)
0 Comments