Recent Tube

দ্বীনি শিক্ষার নামে রেজওয়ান রফিকির ভ্রান্তি কথা?



সামুদ্রিক কুকুর,শূকর শব্দ শুনে অনেক সাধারণ পাব্লিক উস্তাদুল ফোকাহা রফিকী দাঃবঃকে নিয়ে হাস্যরস করছে! আবার অনেক মাদ্রসা পড়ুয়াকেও দেখলাম সত্যি কি সামুদ্রিক কুকুর,শূকুর আছে? 

     হ্যাঁ, ভাই। সামুদ্রিক কুকুরকে ইংরেজিতে বলে Sea Dog  তবে এই ব্যাপারে আমি পুরাপুরি নিশ্চিত নই এটাকে কেউ বলে সামুদ্রিক কুকুর বলতে কিছু নাই! কিন্তু   Sea pig নামে সামুদ্রিক শূকর গুগলে পেলাম! ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। এসব প্রাণী আমাদের দেশে পরিচিত নয় এবং বাজারেও পাওয়া যায় বলে মনে হয়না। তবু উস্তাদ রফিকী বিষয়টি সামনে এনেছেন খুঁত বের করে দুষ্টুমি ছড়িয়ে ট্রল করার জন্য হয়ত। তিনি যে মুফতী লিখে ইফতা পড়েছে এর একটা ভাব দেখাতে হবে না ভাই? বুঝেন না কেন? অতচ, আযহারীর আলোচনায় সি ফুড বিষয়ে ফিকাহের মূলনীতি, দলীল, ফোকাহদের মতামত সব ছিল সুন্দর সাবলীল। এক কথায় অসাধারণ। 

★★★ যাক, এখন প্রশ্ন এসব প্রাণী খাওয়া জায়েজ কিনা? গতকাল লিখেছিলাম এ ক্ষেত্রে হানাফী ফোকাহদের মূলনীতি খুব সহজ এবং সুন্দর। অর্থাৎ মাছ হিসাবে স্বীকৃত, বিবেচিত হলেই সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া জায়েজ। সহজ না? উল্লেখিত প্রাণী যেহেতু মাছ নয় সেহেতু আমরা খাবোনা, খাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। খেতে চান? তাহলে আহলে হাদীসদের মত গ্রহণ করে খেতে পারেন। তা কেমন? তাদের মতে সামুদ্রিক সমস্ত প্রাণী, যে আকৃতিরই হোক না কেন, তা খাওয়া জায়েজ। ({আরফুল জাদী-২৩৮, ইসলামী ফিকহ-৫৫৭}) এবার খাবেন নাকি? 

 সি ফুড নিয়ে শুধু আহলে হাদীস ওলামা নয় অন্য মযহাব এবং ফোকাহদের মত এবং কিছু মূল নীতি আছে যা পড়া, জানা দরকার। জানা ভাল। আমরা তো অপরকে ভুল প্রমাণের জন্য, ঘায়েল করার জন্য এসব খোঁজি! এক্ষেত্রে শিখার সওয়াব না পেলেও অন্তত জানা হয়, সেটাও মন্দ কি? তা পড়ুন...

✍️সি ফুড বিষয়ে হানাফী ফোকাহদের সংক্ষিপ্ত মতামত খেয়াল করেন। হানাফি মাযহাব অনুসারে জলজ প্রাণীর মধ্যে শুধুমাত্র মাছ অথবা মাছের সাথে সঠিক  সাদৃশ্যপূর্ণ ও সাঁতার কাটা প্রাণী হালাল। এ মতের সপক্ষে হানাফিদের যুক্তি হলো, কুরআন শরিফে পবিত্র জিনিস হালাল ও নোংরা জিনিসকে হারাম করা হয়েছে। মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণীকে মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। এ ধরণের জলজ প্রাণী রসূল সা. ও সাহাবায়ে কেরাম খেয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়না। অধিকন্তু আবু দাউদ ও নাসায়িতে হযরত আব্দুর রহমান বিন উসমান থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ সা. জনৈক চিকিৎসককে ব্যাঙ মেরে ওষুধ বানাতে নিষেধ করেছিলেন, যদিও তা জলজ প্রাণী। যে মাছ আপনা আপনি পানিতে মরে ভাসতে থাকে, হানাফি মতে তা খাওয়াও মাকরূহ তাহরীমী। বিশেষ করে সেই মৃত মাছ যদি চিৎ হয়ে ভাসতে থাকে। তবে কোনো মাছ নদী বা খাল থেকে জীবিত ধরে আনার পর কোনো সংকীর্ণ জলাশয় বা পাত্রে রাখার পর মারা যায়, তা মাকরূহ নয়, সম্পূর্ণ হালাল। কাকড়া, ব্যাঙ ও কুমির হানাফিদের মতে হারাম। ভূ-চর প্রাণীর মধ্যে সরীসৃপ ও পোকা মাকড়ও হানাফিগণ নোংরা প্রাণী আখ্যায়িত করে ও হারাম মনে করে। সাপ, গিরগিটি, গুইসাপ ও কেঁচো তাদের মতে হালাল নয়। [তরজমানুল কুরআন, নভেম্বর ১৯৭৮]

★★★ 
তর্ক নয় জানার উদ্দেশ্যে পড়ুন। নতুন কিছু জানলেন তো?

Post a Comment

0 Comments