Recent Tube

দেশের মানুষ ভাস্কর্য ইস্যু থেকে সরে আসাতে চরমভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে শাহবাগী ফরিদ উদ্দিন মাসুদ। ইবনে যুবাইর।

দেশের মানুষ ভাস্কর্য ইস্যু থেকে সরে আসাতে চরমভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে শাহবাগী ফরিদ উদ্দিন মাসুদ।

এই শাহবাগী কট্টর মুনাফিকের নামের আগে 'আল্লামা' 'মাওলানা' শব্দগুলো অনেককেই ব্যাবহার করতে দেখা যাচ্ছে।'আল্লামা' মাওলানা,'শায়খ'যত্রতত্র ব্যবহার করা এই যদি হয় আমাদের রুচিবোধ তাহলে জানিনা প্রকৃত আলিমদেরকে জাতির সাধারণ মানুৃষগুলো কিভাবে চিনবে?এমরান এইচ সরকারের দোষ কোথায়?তার নামের আগেও উক্ত উপাধিগুলো ব্যবহার করা কেন যাবে না?

যা হোক,ইসলামকে জঙ্গি ধর্ম এবং মুসলমানদেরকে জঙ্গি সন্ত্রাসীরুপে চিত্রিত করতে হাসিনা অবৈধপন্থায়  ক্ষমতায় এসে পশ্চিমা দেশগুলোতে মিলিয়ন, বিলিয়ন ডলার খরচ করে লবি গঠন করে।
বিদেশিদের বোঝানো হয় যে,বাংলাদেশে ইসলামী চরমপন্থা মৌলবাদীর উত্থান হয়েছে।
আমি এর আগেও বহুবার লিখেছি,১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম এবং আলেম ওলামাকে জঙ্গিরুপে চিত্রত করতে ভারত ও পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন আদায়ে আওয়ামী লীগ নিজেরা কিছু জঙ্গি সংগঠনের জন্ম দেয়।
হারকাতুল যিহাদের নাম তখন কেউ শুনিনি।কবি শামসুর রহমানের বাড়িতে কে বা কারা তার উপর চড়াও হয়।
তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া গেল, তারা সবাই ছাত্রলীগ করত।
তাদের কাছে থেকে জবানবন্দি পাওয়া গেল তারা আসল দোষী নয়।তাদেরকে একাজ করতে কিছু হুজুর উদ্বুদ্ধ করেছে।একটা গুজব রটানো হল।ঔই গুজবটা কি? 
একটা ইসলামী সংগঠন যার নাম হারকাতুল যিহাদ।ইসলামের নামে সন্ত্রাসকে জুড়ে দেওয়া হল ছাত্রলীগের মাধ্যমে।ছাত্রলীগ কি তাহলে হারকাতুল যিহাদের হয়ে ভাড়া খাটে?
নাকি ছাত্রলীগই হারকাতুল যিহাদ?
ইসলামকে সন্ত্রাসীরুপে চিত্রিত করা হাসান ইমাম,আলেমদেকে জঙ্গি বানানোর মূল কারিগর কে?
এরপর আস্তে আস্তে আরও কিছু উগ্রপন্থী তথাকথিত ইসলামী সংগঠনের নাম আসতে থাকে। এর মধ্যে যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠান বোমা বিস্ফোরণের মর্মান্তিক ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণজানী ঘটে।

পত্রিকার খবরে দেখতে পাওয়া যায়,অনুষ্ঠানে হাসান ঈমাম সাহেব উপস্হিত ছিলেন।তার কোন এক ছাত্র তাকে একটি চিরকুট পাঠায়,স্যার,আপনি মঞ্চ থেকে তাড়াতাড়ি সরে যান।

হাসান ঈমাম মঞ্চ ত্যাগের অল্প পরেই বোমা বিস্ফোরণ হয।যদি সেদিন হাসান ইমামকে গ্রেফতার করে বিঞ্জাসাবাদ করা হত তবে উদীচীর ঘটনা কারা ঘটিয়েছিল তা বেরিয়ে আসত।

এই সত্য আবিস্কারর জন্য মদিনা হুজুর নামে একজন নিরীহ মানুষকে কাপড়ের দোকানে অস্র ঢুকিয়ে তাকে গোফতার করা হয়।গ্রেফতার করা হয় ছাত্র শিবিরের বেশ কয়েকজনকেও।গোপালগঞ্জেরর কোটালীপাড়ায়-৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটল।সেই মুফতি হান্নানের পারিবারিক পরিচয় সে সময়ের পত্র পত্রিকায় এসেছে,তার চাচা কি করে,তার ভাই কি করে,দেখা গেছে সে আওয়ামী ঘরণার লোক।
আওয়ামী লীগ আমলে মুফতি হান্নানকে গ্রফতার করা হয়নি,জোট সরকার গ্রেফতার করেছে।
শেখ হাসিনার প্রাণ নাশের জন্য যে ব্যক্তিটি-৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতেছিল সে শেখ হাসিনার শাসনামলে ধরা পড়েনি।কিন্তু জোট সরকারের আমলে তাকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আওয়মী আমলে কমিউনিস্ট পার্টির মহাসমাবেশেও বোমা বিস্ফোরণ হল।তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন,এটাও ওই মৌলবাদীরাই করেছে।

কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, না আমরা তাদের একথার সাথে একমত নই।নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।সে ঘটনারও কোন তদন্ত হয়নি।

ওই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদের অভ্যুত্থান ঘটেছে -দেশে দেশের বাইরে এটা প্রমাণ করে ইসলাম নির্মূল করার একটা পটভূমি,একটি পেক্ষাপট তৈরি করার জন্য আওয়ামী লীগ-৫ বছরব্যাপী প্রচার করা হয়েছে।

তাদের আমলে তারা শায়খুল হাদিস সাহেবকেও পুলিশ হত্যার মামলায় জড়িয়ে ওই উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদী হিসাবে চিন্থিত করে।আওয়ামী আমলে বাইতুল মোকাররম মসজিদের মধ্যে টিয়ারগ্যাস, মেরেছে,গুলি ছুঁড়েছে।
পুলিশ জুতা পায়ে মসজিদে ঢুকে কিভাবে মুসল্লিদের লাঠি পেটা করেছে,জুতা পেটা করেছে ওই দূশ্য সম্ভবত ইহুদী খ্রীষ্টান দেশেও করা হয়নি।এটা হল আওয়ামীদের পরিচয়।

আওয়ামী লীগ কওমী মাদরাসা ধ্বংস করার জন্য সেখানে লাদেন বাহিনী,আল কায়েদা বাহিনী আবিস্কার করা হয়েছে।কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে এবং গোটা মাদরাসার শিক্ষার বিরুদ্ধে দুনিয়াব্যাপী প্রচারণা শুরু করা হয়েছিল।
এগুলো নাকি জঙ্গী তৈরির আস্তানা।সে সময় জামায়াতের তৎকালীন আমীর মরহুম মতিউর রহমান নিজামী দুটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছিলেন।

পুস্তিকার বক্তব্যগুলো নিম্নরুপঃ-দুনিয়ার পরিচিতি কোন ইসলামী দলের সাথে জঙ্গীবাদের সম্পর্ক নেই।ওলামায়ে কেরাম জঙ্গীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।

কারণ ইসলাম তথাকথিত জঙ্গীবাদ অনুমোদন করেনা।বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে ওলাম কেরামের ভূমিকা ছিল অগ্রণী।বৃটিশরা উপমাহাদেশ ত্যাগ করা পর্যন্ত ওলামা কেরামের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারেনা। কিন্তু ওলামা কেরাম সন্ত্রাসের পথে আন্দোলন করেনি। তারা নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদের স্বাক্ষর রেখেছে।

আওয়ামী লীগের পাঁচ বছরের সাধনা ছিল দেশের আলেম ওলামা এবং ইসলামী দলকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিত্রিত করে বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

আর সেই সাথে ইসলামী শিক্ষার প্রাণ কেন্দ্র মাদরাসাগুলোকে জঙ্গী তৈরির আখড়া হিসাবে চিন্থিহ করে এগুলোকে কিভাবে কোণঠাসা করা যায় সে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ভাস্কর্য তথা মৃৃর্তি এবং কমান্ড সিনেমা নির্মান নিয়ে হাসিনা ও ভারতের মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন সামনের পর্বে।চলবে।
 -----------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments