Recent Tube

সমকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া বিষয়ে এনালাইসিস, কুতুব শাহ।


রনিকে গালি দিবেন? নাহ, সেটা উচিৎ নয়। গালি সমাধান নয়, গালি কোন সভ্য লোকের হাতিয়ার নয়, যতটুকু সম্ভব গালি এড়িয়ে কৌশলী জবাব দেয়া ভাল। 

ডাঃ জাফরুল্লাহ বাম সেটা আপনি আমি জানি সেই ইস্যুতে পছন্দ অপছন্দ করতে পারেন। কিন্তু ডান বলয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহর জনপ্রিয়তা আছে, তিনি দেশপ্রেমিক হিসাবে পরিচিত। উনার মুখ থেকে যেদিন বলৎকার বন্ধের নসীহত নামা শুনেছিলাম সেদিন আমি বেশ অবাক  এবং সিন্ড্রোম বুঝতে পেরেছিলাম। আজ গোলাম মওলা রনি খুব রাগে বিষয়টি সামনে এনেছে। এর নেগেটিভ প্রভাব গভীর। কারণ, রনি হল মন্দের ভাল। মিডিয়ায় তার দাপটে বিচরণ আছে, কোন বিষয়কে খুব মজা, আকর্ষণীয় করে বলতে পারেন।

মুরগী কবির ভার্সনের কেউ যখন এসব নোংরা ট্রল করে তা অনেকে বিদ্বেষ হিসাবে উড়িয়ে দেয়। এই ক্ষেত্রে ডাঃ জাফরুল্লাহ, রনির মন্তব্যের এফেক্ট ভিন্ন। বিষয়টিকে দৃঢ় করে তুলবে! তাই বিপরীত রিয়েক্ট করতে সতর্কতা জরুরী।

কথিত সুন্নীদের বয়ান শুনেন? তারা চরম কওমী বিদ্বেষ থেকে বয়ানে বিষয়টি বারবার নিয়ে আসে। এখানে একটা অঙ্কের ভুল আছে! সেটা হল, আহলে হাদীস অনুসারী বা জামায়াতের আলেম ওলামারা এসব বিষয় কখনো সামনে এনে আক্রমণ করেনা। মসায়েলী ইখতেলাফ ইস্যুতে বিরোধ সীমাবদ্ধ। কিন্তু কিছু কওমী ভাই আহলে হাদীস আর জামায়াতকে মূল শত্রু ধরে সারা বছর প্রপাগাণ্ডা ছড়ায়। এটা হিসাবের ভুল। এই ব্যাপারে কওমী সংশ্লিষ্টদের আরেকটু ইনসাফ দরকার। অযথা শত্রু বাড়িয়ে লাভ কি? 

চরমোনাইর ইআবা অনুসারী এবং নেতৃবৃন্দ থেকে আমরা আরো পজেটিভ, দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করতে পারি। মামুনুল হক্ব নিয়ে যা হয়েছে হচ্ছে তা কারো অজনা নয়। এছাড়া কুয়াকাটা হুজুরকে থামাবে কে? বুঝাবে কে তা নিয়ে যখন চিন্তা টেনশন তখন হঠাৎ ফয়জুল ভাই যেভাবে জামায়তের উপর ঝাপিয়ে পড়ে আক্রমণ করছে তা নেতা সুলভ নয়, খুব কাঁচা টাইপের ভারসাম্যহীন আচরণ। 

সাম্প্রতিক সময় বা আগে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুখে ইআবা নিয়ে এই টাইপের আক্রমণ শুনেছেন? কেউ প্রমাণ দিতে পারবেন? তাহলে গায়ে পাড়ে ঝগড়ার কি দরকার ছিল রে ভাই? ফয়জুল ভাই যে পর্যায়ের নেতা সে পর্যায়ের নেতা থেকে কোন বিরুপ আক্রমণ হলে তিনি জবাব দিবেন সেটা স্বাভাবিক কিন্তু হঠাৎ শীত মৌসুমে আসলে বারবার আমি জামায়াতের সাথে ঐক্য করুম না বলে গরম বক্তৃতা ঝাড়া চরম হাস্যকর। ফয়জুল ভাইকে বুঝানো দরকার। তার উচিৎ পরিস্থিতি অনুধাবন করা। মূর্তি ইস্যুতে একটা বক্তব্য দিয়ে কি বিপদে পড়েছে তিনি কি তা বুঝেন না? বাতিলেরা কাউকে ছাড় দিবেনা!

✍️ আমার দুঃখ কিছু লোক কথিত সুন্নী নয়, শাহাবাগী নয় কিন্তু কওমীদের প্রতি চরম ক্ষোভ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে দেখি। এটা শুভবুদ্ধির পরিচয় নয়। দেখুন ভাই, আজ কেন কওমীরা টার্গেট? কেন কওমীরা তীরের নিশানায়? এর সোজাসাপটা জবাব তারা ইসলাম বিদ্বেষ, ইসলাম ফোবিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার। তারা কওমী মাদ্রাসার ভিতরে থাকলে সরকার সেখানে গিয়ে জামাই আদর করত। কিন্তু তারা দ্বীনের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে রাজপথে বারবার নেমে এসে হুংকার দেয় বলেই আজ তাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তা'হলে বাতিলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কওমীদের কোন রকম আক্রমণ বাতিলকে সমর্থন করার সমান। 

আমরা কোন পয়েন্টে কখন কার বিরুদ্ধে যাব তা বুঝা উচিৎ। এখন বলৎকার ধোঁয়া তুলে কওমীদের বিব্রত এবং তাদের ইমেইজ নষ্টের নিল নকশা চলছে। এই ইস্যুতে শাহবাগী পালে হাওয়া দিবেন না। কোন ব্যাক্তি  অপছন্দ হলে সে ব্যাক্তিকে তুলোধুনো করেন কিন্তু পুরা কওমীকে ঢালাওভাবে আক্রমণ অন্যায়।স্যাকুলার ধর্মবিদ্বেষীরা কেন কওমীদের প্রতি ক্ষুব্ধ তা আগে চিন্তা করেন।

Post a Comment

0 Comments