হৃদয়ে লেখো নাম,সে নাম রয়ে
যাবে।
-----সুপ্রিয় সুপ্রকাশ।
দলের পদ আর পদবী নিয়ে যখন আপন গৃহে গাত্রদাহ চলছে ওদিকে দলের প্রতিষ্ঠাতার রাষ্ট্রীয় পদবী "বীর উত্তম"বাতিল হতে যাচ্ছে। দলের অস্তিত্ব সম্মান যখন ভূলন্ঠিত হওয়ার উপক্রম তখন বলতেই পারেন "রোম পুড়ে আর নিরুরা বাঁশি বাজায়"।
খেতাব যখন কিতাবের পাতা থেকে বিস্মৃতির অতল গহীনে সমাহিত হতে যাচ্ছে, তখনও কি সেই দলের নেতা-কর্মীরা বসে বসে পদ-বিন্যাস নিয়ে পাদটীকা রচনা করবেন?
একজন সেক্টর কমান্ডার,৭১'এর মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের যুদ্ধা,এ-ই উপাধি তিনি যে রাষ্ট্রের কাছ থেকে পেয়েছেন সে রাষ্ট্রের রাষ্টনায়ক ছিলেন- শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি নিজ হাতে তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে পুরস্কৃত করেছিলেন।
পরবর্তীতে তাকে যাঁরা হত্যা করেছিলো তাদের বিচারকার্য ও সম্পন্ন করা হয়েছে তাতেও মেজর জিয়াউর রহমান এর নাম আসামীর খাতায় তখনও ছিলোনা, বর্তমানে "জাতির পিতা" হত্যার পিছনে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা কতটুকু যৌক্তিক নাকি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ তা আমজনতার বোধগম্য নয়।
রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক,স্বাধীনতা পুরস্কার এ-র প্রবক্তা ত শহীদ প্রেসিডেন্ট বীর উত্তম মেজর জিয়াউর রহমান। এটা আমার কথা নয় ঐতিহাসিক বাস্তবতা। তাহলে এ পদক, সম্মানে যারা ভূষিত হচ্ছেন সেগুলো কি বাতিল করা হবে..??
তাই অনেকেই বলেন-কিতাবি খেতাব নয়,চেনা বামুনের পৈতা লাগে না...!!
পরিশেষে একটা গানের কলি মনে পড়ে গেলো....
"যদি কাগজে লেখো নাম কাগজ ছিঁড়ে যাবে
পাথরে লেখো নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে
হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে।।
---------------------------------
লেখকঃ প্রবন্ধ লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments