Recent Tube

আসলে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআহ কি এবং কারা এর অনুসারি? ---ইবনে যুবাইর।


 আসলে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআহ কি এবং কারা এর অনুসারি?

          এই বিষয়টিকে সকলেই নিজ নিজ দলের ব্যানারে ব্যবহার করে এবং নিজেদেরকে একমাত্র নাযাত প্রাপ্ত দল হিসাবে জাহির করে;আর তারপর  একে অপরের বিরুদ্ধে গোমরাহ,বেদায়াতী ফতুয়াবলে এই জামায়াত থেকে বের করে দেয়।তাই সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিষয়টি পরিস্কার করার চেষ্টা করা যেতে পারে।

       মুহাম্মদ সা.'দ্বীন ‘ইসলাম’কে যে রূপ ও আঙ্গিকে তার উম্মতকে উপহার দিয়েছেন, আর তার একনিষ্ঠ অনুসারী সাহাবায়ে কেরাম রা. যেভাবে এই ‘ইসলাম’কে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাকে কোনো ধরনের রদবদল না করে যারা এই ‘ইসলাম’ এর অনুসরণ-অনুকরণ করে কিংবা চর্চা ও প্রচার করে, তারাই ‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’।সুতরাং একমাত্র তারাই নিজেদের পরিচয় দিতে পারে, আমরা ‘মুসলিম’ এবং ‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’।

     নিম্নের দু'টি হাদিসের দিকে লক্ষ্য করা যাক-

   অর্থ: নবী কারীম সা. ইরশাদ করেন- আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ পর্যন্ত এদুটিকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হিবে না; – আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহ।- মুয়াত্তা ইমাম মালিক: ৩৬৩

  অর্থ: তোমরা আমার সুন্নাহের এবং হেদায়াত ও সুপথপ্রাপ্ত খলীফাদের সুন্নাহের অনুসরণ করো এবং তা সুদৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরো এবং মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরো। (আবু দাউদ: ২/৬৩৫, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)

    উপরের- 'তোমরা আমার সুন্নাহের এবং হেদায়াত ও সুপথপ্রাপ্ত খলীফাদের সুন্নাহের অনুসরণ করো'-কথার মধ্যেও- 'আমার সুন্নাহে'র- এবং হেদায়াত ও সুপথপ্রাপ্ত খলীফাদে'র সুন্নাহের-দু'টি শর্ত স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। 

    এখন প্রশ্নটি হবে সার্বজনিন।বাংলাদেশের কথা দিয়ে শুরু করা যায়।বর্তমান শাসক কি হেদায়াত ও সুপথপ্রাপ্ত এবং সুন্নাহের অনুসারী?উত্তর হবে না।তাহলে যারা ইমলামের খোলসে অর্থাৎ ইসলামী লেবাসধারী এবং মাদরাসা থেকে ডিগ্রীধারী আলেম তারা যখন বলে যে,শাসক যেমনই হোক,তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে না।তাদের বেশভূষা ও লেবাস দেখে যদি তাদের কথায় বিশ্বাস স্হাপন করেন তাহলে সরাসরি হাদিস ও কুরআন অস্বীকারকারী হলেন।

   দ্বিতীয়ত,ইসলামী লেবাসে যারা এসব কথা বলে তারা কারা?নিজেকে বার বার প্রশ্ন করুন,কি তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য?এদের একটায় পরিচয়,এরা পাশ্চাত্য সভ্যতার দালাল।মুসলিম সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে এরা ফায়দা লুটে।সন্দেহও হতে পারে এরা আদৌতে মুসলিম কিনা  সন্দেহ থাকছেই?কারণ, হযরত ওসমান(রা.)কে হত্যাকারী দলের নেতা আল সাবা-যাদের মুসলিম সমাজে ফেৎনা সৃষ্টি করে মুসলিম উম্মাহর ভয়ঙ্কর ক্ষতি সাধন করাই ছিল ইসলাম গ্রহণের  মুল উদ্দেশ্য।
রাসুল সা.লাশ মোবারক চুরি করতে আসা লোকগুলোর ইবাদাত বন্দেগি ও বেশভূষা দেখে সন্দেহ করার কোন উপায় ছিল না যে,এরা মুসলিম নয়,-এরা ইহুদী। 

     দেশে আরেক দল আলেম(?) আছে।যারা শেখ হাসিনাকে ইসলামের মাপকাঠি মনে করে জননী উপাধি দেয়।এরাও কিন্তু নিজেদেরকে হকপন্থী,নাযাতপ্রাপ্ত এবং আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের একনিষ্ঠ অধিকারী বলে জাহির করে এবং অন্যদেরকে গোমরাহ পথভ্রষ্ঠ বলে ফতুয়া দেয়।এরা যদি আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অধিকারী হয় তবে শয়তান কি দোষ করল?
    আমাদের দুর্ভাগ্য যে,জনপ্রিয় প্রভাবশালী মুসলনমানদের মাথাগুলো পাশ্চিমাদের নিকট বিক্রি হয়ে যায়।একজন মীর জাফর আলীর বিশ্বাসঘাতকতার কারণে পলাশীর আম্র কাননে মুসলমানদের স্বাধীরনতার সূর্য অস্তমিত যায়।
আজ ইসলামী সমাজের রন্ধে রন্ধে অগনিত মীর জাফর আলীর পদচারণা।যে জাতির মধ্যে মীর জাফর আলীদের কদর বেশি সে জাতির গোলামীর জিন্দেগী শেষ হবার সম্ভবনা একেবারেই ক্ষীণ।
-----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments