Recent Tube

হেফাজতে ইসলাম আসলে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়? ইবনে যুবাইর।


 হেফাজতে ইসলাম আসলে কার এজেন্ডা   বাস্তবায়ন করতে চায়?
--------------------------------- 

    রাজনীতির ময়দানে ইসলামপন্থীদের? দেওলিয়াত্ব বারবার প্রমাণিত হতে দেখা গেছে।এর কারণ হলো রাজনীতি এবং সমসাময়িক  বিষয়ে ইসলামপন্থী দলগুলোর নেতাদের সম্যক জ্ঞান না থাকা এবং আলেমদের নিয়ে বামদের কুটকৌশল বা ষঢ়যন্ত্রকে সরল বিশ্বাসে গ্রহণ করা।তবে জামায়াতে ইসলামী একমাত্র ব্যতিক্রম।দলটির নেতা থেকে একজন সচেতন কর্মী পর্যন্তও বামদের কূটকৌশল ঠিকই বুঝে বলে তাদের পাতানো ফাঁদে কখনো কোনদিন পা আটকায় না। 

     এক হিন্দু যুবক কতৃক মামুনুল হককে ফেইসবুকে কটুক্তির জের ধরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী সুনামগঞ্জের শাল্লায় নোয়াগাঁও সংখ্যালঘু? অধ্যাষিত একটি গ্রামে হামলা,ভাংচৃর লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।

     পত্রিকার খবর সূত্রে সেই গ্রামে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি স্বাধীন মিয়া। তার বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা কেরামত আলী। দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের নাচনী গ্রামের স্বাধীন মিয়া ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য (মেম্বার)।

    হামলা ও ভাংচুরের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর স্বাধীনকে প্রধান আসামি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাল্লা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন শাল্লা উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। চেয়াম্যানের নিজ বাড়ি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। যেখানে হিন্দুদের বাড়িঘরে বুধবার সকালে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

    ঘটনার ১৬ মিনিটের একটি ভিডিও আমি দেখেছি।প্রথমে একদল যুবক লাটিসোটা হাতে নিয়ে মেঠোপথ বেয়ে আসতে দেখা যায়।যুবকদের দেখে প্রথমে ভাবছিলাম হেফাজতের কাঁধে দায় চাপনোর জন্য  স্বার্থান্বেষণকারী  কোন একটি গোষ্ঠীর লোক এগুলো। 

   কিন্তু পরের সারির বহরের নেতৃত্বে থাকা দুইজন আলেমকে দেখে আমার কৌতুহল বেড়ে যায় এবং গ্রামে প্রবেশ পথে পুলিশের সাথে হেফাজতের স্হানীয় নেতাদের কথাপোকথোন এর দৃশ্য দেখে নিশ্চিত হয় লাটিসোট বহনকারী দলটি হেফাজতের নেতাকর্মী।ভিডিওটি দেখে মনে হলো,আক্রমনকারী দল এবং হিন্দু অধ্যাষিত গ্রামটির দুরত্ব প্রায় ২ কি মি এর মত হবে।এতদূর পথ অতিক্রম করে শত শত লোক লাটিসোটা নিয়ে এলো অথচ,পুলিশ জানল না এবং পথে তাদেরকে বাধা প্রদান করল না বিষয়টি আমাকে ভাবিয়েছে?পুলিশের দেখেও না দেখার ভাব  আওয়ামী লীগ এবং হেফাজতে ইসলামের লোকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

     দুই.হেফাজতের নেতাকর্মী জানতেন যে,অভিযুক্ত হিন্দু যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করেছে।কিন্তু তারপরও কেন তারা লাটিসোটা নিয়ে গ্রামে এসে হামলা চালালো?এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ইসলাম তো সাপোর্ট করে না এবং এই ঘৃণিত কাজ কোন বিবেকবান মানুষও সাপোর্ট করতে পারে না।অথচ,যারা এই ঘটনা ঘটালো এদেশে কেবল তারাই ইসলমের ধারকবাহক, হকপন্থী ইসলামী দল।

     এই ঘটনার পর দেশের বাম মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করছে উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালিয়েছে।বাম এবং দুনিয়ার কাফির মুশরিকদের হাতে ইসলাম বিদ্বেষী ইস্যু হেফাজতে ইসলাম স্বপ্রনোদিত হয়ে কেন তুৃলে গেল?আসলে হেফাজত কার হেফাজতে এবং কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ণ করতে চায় সেই প্রশ্নের জবাব  আদৌ কি মিলবে নাকি মিলবে না?
-----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক কলামিস্ট ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments