সুদূরপ্রসারী এ লড়াই একাই লড়তে হবে
আমাদের -
নব্য ইন্ডিয়াপন্থী বিশ্বাসঘাতক বি এন পি কে
আবারো চেনা হয়েছে?
পোস্ট দিয়েছে তাজ হাশেমী আজ ;
আমি ভারতপন্থী স্বৈরাচার সরিয়ে তালিবান/ওহাবী স্বৈরাচারী শাসন দেখতে চাই না। আমি কোন অশিক্ষিত বা প্রায়- অশিক্ষিত লোকদের নেতৃত্ব কামনা করি না।
এই পোস্ট তাজ হাশেমীর আগে সকাল-বিকাল সরকার পতনের ডাক দেয়া কর্ণেল শহীদের কণ্ঠেও অদ্ভুত বার্তা ভেসে এলো; মোদী নয়, হাসিনাই মূল সমস্যা।
বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলেছেন ; হেফাজতের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই।
বিএনপি তারা স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে চায় আধিপত্যবাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে, বাহ্!! তাদের মুরোদ থাকলে তাদের দলে একজন জিয়া অথবা ভাসানিকে দেখাক!!!
এদিকে বিএনপির একটা নেতাও মর্গে আমাদের শহীদদের দেখতে আসেনি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার কওমি প্রজন্মকে চিৎকার দিয়ে বলতে চাই ; এতদঞ্চলে ইতিহাসের চূড়ান্ত হিসাবনিকাশ মোল্লাদের সাথে হবে। মেরুকরণে প্রাধান্য পাবে ইসলামের ইস্যু অন্য কিছু নয়।
এ লড়াইয়ে সফল হতে চাইলে আপাতত তিনটা জিনিসে আসতে হবে হুজুরদের -
১.শরঈ উসূলের ইমারাহ্ জামাআহ্ নীতি প্রতিষ্ঠা।
২.আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি স্মার্ট বারতা দেয়ার জ্ঞান।
৩.দেশের অভ্যন্তরে সংঘাত এড়িয়ে আপোষহীন পন্থায় জালিমশাহীর উপর সফল চাপ প্রয়োগের কৌশল।
আমি কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করে আসছি মুরুব্বিদের সিদ্ধান্তহীনতা, কালক্ষেপণ এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারনে অক্ষমতা।
আমি আরো লক্ষ্য করেছি সংখ্যাগরিষ্ঠ আদর্শিক তরুণদের সাথে আমাদের সমন্বয়ের অভাব।
তারা ঠিকানা চিনতে যত বিলম্ব করবে ততো তাদের মাশুল দিতে হবে। নতুন তরুণ প্রজন্মকে বিচক্ষণ ও ঈমানদার সিনিয়র তরুণদের আনুগত্যে আসতে হবে, শুধু ভালবাসায় নয়।
কথা পরিস্কার।
---------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ আলোচক গ্রন্থপ্রনেতা দাঈ ও গবেষক।
0 Comments