Recent Tube

ফিলিস্তিনী স্ট্রাগল, ইসলামিক কজ এবং সেক্যুলার কনফিউশন । Asif Shibgat Bhuiyan.






 

ফিলিস্তিনী স্ট্রাগল, ইসলামিক কজ এবং সেক্যুলার কনফিউশন
--------------------------------- 

       ইজরায়েল - প্যালেস্টাইন ইস্যু সেক্যুলার লিবারেলিজমের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাকে দেখাতে হবে যে এখানে মজলুমের যে স্ট্রাগল এটা একটা সেক্যুলার চ্যালেঞ্জ। ইজরায়েল যে একটি জিউইশ স্টেইট অথবা অধিকাংশ প্যালেস্টিনিয়ান যে এই স্ট্রাগলকে তাদের ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসের সাথে রিলেট করে এ জিনিসটাকে সে বাইপাস করে যেতে চায়। কারণ ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন যদি সমশক্তির দুটি দেশ হোত, সমান ভাবে অপরাধী হোত এবং ধর্মকে ব্যবহার করতো - তাহলে সেক্যুলার লিবারেলিজমের জন্য সুবিধা হোত - সে ধর্মের দোষ ধরতে পারতো। কিন্তু এখানে জালিম মজলুম চলে আসছে বলে সে প্যালেস্টাইনকে ও প্যালেস্টাইনের সমর্থকদের সেক্যুলার লিবারেল থাকার এবং সেই কজ নিয়ে স্ট্রাগল করার তাগাদা দিচ্ছে। জোর করে দেখানোর চেষ্টা করছে যে এই ঝামেলা আসলে একটা সেক্যুলার ঝামেলা এবং প্যালেস্টাইনের একটা সেক্যুলার সমাধান বের করতে হবে। 

      এখানে রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিজমের সাথে সেক্যুলার লিবারেলিস্টের এপিস্টেমিক সেলফ রাইটিয়াসনেস মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। তার কাছে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা আর প্যালেস্টাইনকে সেক্যুলার রাখার মধ্যে কোনটা বেশি ইম্পর্টেন্ট সে নিজেই হয়তো বলতে পারবে না। এমন না যে সে প্যালেস্টাইনের ভালো চায় না। কিন্তু সেই ভালোটা তার মত করে আসলে সে আরাম পাবে। এই আরামের জায়গাটা যেন ঠিক থাকে সেই অ্যাক্টিভিজিমও একই সাথে করে যাচ্ছে। 

      অথচ এর দরকার ছিলো না এবং এ ধরণের মানসিকতা মারাত্মক রকম ফ্যালাসিতে আক্রান্ত। এটা ধর্মপ্রাণ মানুষদের জন্য ডিসপ্যারেজিংও। সেক্যুলার লিবারেলিস্টদের সবাই অ্যাগনস্টিক নয়, কিন্তু অ্যাগনস্টিজমকে লোয়েস্ট কমন ডিনোমিটার হিসেবে একটি প্রিন্সিপ্‌লের মত করে দেখাটাকে সে নিজের ওপরেও চাপিয়ে এবং অন্যের ওপরও চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। সহিষ্ণুতা সে দেখায় কেবল পোশাকি ভাবে নতুবা সে মনে  নিজের শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী - ধার্মিকের মতই - এবং ধার্মিকের মতই সে মনে করে ধার্মিককে তার মত অ্যাগনস্টিক ভাবে সামাজিক জীবন যাপন করতে হবে। এর চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে যে ধার্মিক যখন যুদ্ধে বিধ্বস্ত আরেকটি ধর্মীয় শক্তির বিরুদ্ধে এবং তখন সে ধার্মিককে মানসিক শক্তি দিতে চায় - কিন্তু একই সাথে সেক্যুলার সবক দিতে চায়। 

       এখন পর্যন্ত যা বললাম সেসবই আমি মেনে নিতে পারি। একজন পিওর সেক্যুলার লিবারেল তার মত করেই সব সমাধান খুঁজবে। এটা জ্ঞানের দিক থেকে যথেষ্ট রিগোরাস না হলেও এক্সপেক্টেড। বহু অন্ধ ধার্মিকের মতই অন্ধ সেক্যুলার লিবারেলও নিজের সেক্যুলারিজম ও অন্যের ধর্মের ব্যাপারে তেমন ধারণা রাখে না। সে কিছু পপুলার বই পড়ে, নিউজ অপএড ঘাঁটে এবং মোটা দাগের কিছু প্রিন্সিপ্‌লের ওপর তার অ্যাক্টিভিজ্‌ম শুরু করে দেয়। ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সেক্যুলার প্লুরালিজ্‌ম কীভাবে মিশে গেছে এবং এই মিথস্ক্রিয়া কখন কোন চরিত্রকে প্রাধান্য দেবে সে জিনিসটা যে তার মোটা দাগের অ্যাক্টিভিজমের উর্দ্ধে সেটা তার মাথায় থাকে না। 

       অধিকাংশ মুসলিম স্কলার সঙ্গত কারণেই আল কায়েদা ও আইসিসকে টেররিস্ট গ্রুপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সব সময়েই এবং এদের জিহাদিজমকে বর্জন করেছে। প্রায় একই স্কলাররা প্যালেস্টাইনের স্ট্রাগলকে একটি জিহাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং হামাসকেও তারা এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাপোর্ট করেন। এ ব্যাপারটা বোঝা দরকার। 

       সিরিয়ান মুসলিম স্কলার শায়েখ আবদুল কাদের হুসেইন রিসেন্টলি এই যুদ্ধের মাঝে হামাসের ব্যাপারে তার অভিমত জানাতে গিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন: "হামাসের সাথে মৌলিক ভাবে আমাদের দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু সেই দ্বিমত নিয়ে আমরা কথা বলবো অন্য সময়। যখন সময় ঠিক আছে তখন মতানৈক্য প্রকাশ না করে জোর করে একতা দেখানো বৈধ না। ভুল তুলে ধরতে হবে। কিন্তু যখন যুদ্ধ চলছে তখন নির্যাতিত মুসলিমদের হয়ে যারাই যুদ্ধ করছে তাদের সবার সাথে আমরা একাট্টা।" 

        আল কায়েদা ও আইসিসের তুলনায় হামাসের ব্যাপারটা যে আলাদা এটা বুঝতে খুব বেশি বুদ্ধির প্রয়োজন হয় না। সেক্যুলার অ্যানার্কিস্ট এবং কার্যত অ্যাগন্সটিক হওয়ার পরও চমস্কি সেটা বোঝেন, ফিংকেলস্টাইন সেটা বোঝেন (ফিংকেলস্টাইন তো হিজবুল্লাকেও সাপোর্ট করেন)। বোঝে না মোটা দাগের ধামা ধরা ফান্ডামেন্টালিস্ট সেক্যুলাররা। বাংলাদেশের এক সাংবাদিক - যাকে আমি এমনিতে বেশ সম্মান করি একজন সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে - তাকে বলতে শুনলাম যে হামাসের স্ট্রাগল আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্ট্রাগল এক জিনিস না - কারণ মুক্তিযোদ্ধারা সিভিলিয়ানদের টার্গেট করে নাই। এধরণের শিশুসুলভ বিশ্লেষণে হাসতে হাসতে কেঁদে দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। 

      অ্যামেরিকান জার্নালিস্ট জেরেমি স্কেহিল হামাসের ব্যাপারটা ঠিক ধরতে পেরেছেন। "দি ইন্টারসেপ্ট"-এ তিনি দুদিন আগে একটি লেখা দিয়েছেন "But What About Hamas's Rocket" নামে। সেখানে তিনি লিখেছেন: What is my personal view? I would hope that if I lived in an open-air prison where my family and neighbors were being murdered, my humanity being erased by a powerful nation backed by the most powerful government on Earth, that I would find the moral strength not to fire rockets at the civilians of the country whose government wants me dead and repeatedly attempts to murder me. But I cannot state with certainty that I would not resort to such a response if I lived, as the people of Gaza do, trapped in a killing cage. I do not want civilians killed because of the crimes of their government, even if they cheer on my attempted murder. At the same time, this is not my reality, and I have no right to judge the tactics used by the oppressed, particularly when the terror against them is being financed and openly supported by both Democrats and Republicans alike in what has long been official U.S. policy."

      জেরেমি স্কেহিল একজন সেক্যুলার মানুষ আর শায়েখ আবদুল কাদের হুসেইন একজন মুসলিম স্কলার। তাদের দুটি কথায় তাদের ভিন্ন চিন্তার পার্থক্য যেমন লক্ষ্য করা যায় ঠিক তেমনি ওভারল্যাপিংটাও মিস করার মত না। 

      মোটা দাগের ফান্ডামেন্টালিস্ট সেক্যুলার তার নিজের শ্রেষ্ঠত্বকে যে অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায় সেটার একটা চেহারা হোলো এই ধর্মীয়-রাজনৈতিক স্ট্রাগল থেকে ইসলামিক কজকে উৎখাত করতে চায় এবং সে চায় মুসলিমরা যেন জিহাদ শব্দটাকেই ডিকশনারি থেকে সরিয়ে দেয়। রাজনৈতিক ময়দানে এধরণের সেক্যুলারিজমের আসলে কোনো জায়গা না থাকলেও জার্নালিজমে আছে - ফলে সে প্রভাব মুসলিমদের মনেও পড়ে। সেই ইসলামের এই দিকটা নিয়ে শরমিন্দা থাকে। আলকায়েদা ও আইসিসের সাথে প্যালেস্টাইনের স্ট্রাগলের পার্থক্য সে বুঝলেও - জে ওয়ার্ডটাকে সে দূরে রাখতে চায়। এটা তার হীনমন্যতা ছাড়া কিছু নয়। 

       অথচ জিহাদের কনসেপ্টটা নিয়ে এত জুজুবুড়ির ভয় কারও পাওয়ার দরকার নেই। জিহাদ একটি পারফেক্টলি "মেইকস সেন্স" কনসেপ্ট। শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, সবার জন্যই। মনে রাখা দরকার জিহাদ নিজে কোনো যুদ্ধের নাম নয়, এবং জিহাদ মৌলিক ভাবে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কোনো আর্মাগেডন নয়। সেটা হতে পারে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে - যেমন ইমাম মাহদি আসার পর হবে বলে আমরা ইসলামিক ট্রেডিশনে পাই। 

      যুদ্ধ একটি মৌলিক ভাবে একটি স্ট্রেটিজিক ব্যাপার। স্ট্রেটিজিকালি একটি মুসলিম রাষ্ট্র বা মুসলিম গোষ্ঠী যদি মনে করে তাদের একটি যুদ্ধে যাওয়া প্রয়োজন - যে যুদ্ধটি ইথিকালি কারেক্ট এবং জাস্টিফায়েড - তখন সেটি জিহাদের মর্যাদা পাবে এবং যারা এতে লড়বে তারা মুজাহিদ হিসেবে গণ্য হবে আর যুদ্ধে নিহতরা শহীদ খেতাব পাবে। এর সাথে দ্বিমত করার কিছু আছে কি? টার্মিনোলজির পার্থক্য থাকতে পারে - কিন্তু এসমস্ত কনসেপ্টই কি যে কোনো সেক্যুলার দেশেই নেই? 

      যে যুদ্ধ মুসলিমদের জন্য জিহাদ হয়ে ওঠে তা মৌলিক ভাবে একটি জাস্ট ওয়ার হতে পারে - এমনকি সেক্যুলার ওয়ারও হতে পারে তার স্পষ্ট প্রমাণ হচ্ছে নবী (সা.) ও সাহাবীদের করা বহু যুদ্ধ। এসব যুদ্ধে মুসলিমদের সাথে বহু অমুসলিম গোত্র এবং ইহুদি গোত্র সময়ে সময়ে যোগ দিয়েছিলো জোট হয়ে। সেই অমুসলিম গোত্র ও ইহুদিদের জন্য তো সেটা জিহাদ ছিলো না - জিহাদ করতে হলে আপনাকে আগে মুসলিম হতে হবে। আর সেসব অমুসলিম ও ইহুদি গোত্রের ইন্টরেস্ট ছিলো পিউরলি সেক্যুলার ইন্টরেস্ট - তারা ইসলামের পক্ষে যুদ্ধ করেনি। 

        একই ব্যাপার প্যালেস্টিনিয়ান স্ট্রাগলের ক্ষেত্রে ভাবতে দোষ কোথায়। প্যালেস্টিনিয়ান স্ট্রাগলে বিভিন্ন মতবাদ ও চিন্তার মানুষ এক হয়েছে এবং ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগান দিচ্ছে। সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাবো এবং এটাকেও সম্মান জানাবো যে তারা তাদের নিজস্ব চিন্তার জায়গা থেকে প্যালেস্টাইনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং একটি কমন হিউম্যানিটি আমাদের সবাইকে এক জায়গায় করেছে। কিন্তু তার মানে কি এই যে মুসলিমদের এই স্ট্রাগলকে তাদের পক্ষ থেকে জিহাদ হিসেবে ভাবতে কোনো সমস্যা আছে? মুসলিমরা ঠিক করবে কোনটা জিহাদ আর কোনটা জিহাদ না। যে মুসলিম স্কলাররা আলকায়েদা ও আইসিসেরর জিহাদকে নাকচ করেছিলেন তারা সেটা ইসলামিক কনসিডারেশনেই করেছিলেন - সেক্যুলার চাপে নয়। সুতরাং এখন তারা প্যালেস্টাইনের স্ট্রাগলকে যখন জিহাদ হিসেবে দেখছেন সেটাও ইসলামিক কনসিডারেশনেই হবে। মুসলিমরা ইসলাম পালন করে - সেক্যুলারিজম না। কমন গ্রাউন্ড থাকতে পারে কিন্তু সেটাকে আনুগত্য ভাবা ঠিক হবে না বা আনুগত্যে পরিণত করার চেষ্টা করা ঠিক হবে না। এটা সেক্যুলারিজমের মৌলিক প্রিন্সিপ্‌লের সাথেও যায় না। একজন সেক্যুলার লিবারেল অ্যাগনস্টিক হতে পারে, সেই অ্যাগনস্টিসিজম সে যেন অন্য ধর্ম ও ধর্মের কনসেপ্টের ওপর চাপিয়ে না দেয়। 

      ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনে সবার কাছেই এটা এমন যুদ্ধ যার ধর্মীয় গুরুত্ব সর্বোচ্চ। প্যালেস্টিনিয়ানরা আলআকসাকে রক্ষার পণ করেছে আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে, স্ট্রাগল চালিয়ে যাচ্ছে আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে। বাবা মা তার মৃত সন্তানদের শাহাদত নিয়ে গর্বিত, ভাই বোনেরাও তাই। প্যালেস্টিনিয়ান মুসলিমরা জানে এটা কোন যুদ্ধ, তাদের শেখানোর দরকার নেই। 

      ইজরায়েলের ব্যাপারটা এই ব্যাপারটাকে ঘোলা করার জন্য সবচেয়ে বড় হয়ে কাজ করেছে। একটি পুরোদস্তুর থিওক্রেটিক দেশ হওয়ার পরও এবং সেখানে ডেমোক্রেসির মৌলিক কনসেপ্টে গলদ থাকার পরও দেশটির ব্যাপারে একটি সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক আবহ তৈরি করে রাখা হয়েছে। এটি যে সম্পূর্ণ ভুল এবং ইজরায়েল রাষ্ট্রটি যে পুরোপুরি বিবলিকাল বর্ডার কনসেপ্ট ও ইহুদি তালমুদিক আইনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ছলে সে ব্যাপারটি ইজারায়েলি হিউম্যানিস্ট স্কলার ইসরায়েল শাহাক "Jewish History, Jewish Religion" বইতে তুলে ধরেছেন। বইটি গুরুত্বপূর্ণ কেননা ইজরায়েলের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রচুর বই লেখা হয় কিন্তু এর জিউয়িশ নেচার নিয়ে খুব কমই লেখা হয়। ইজরায়েল তার জিউয়িশ ইন্টারপ্রেটেশনের ওপর নির্ভর করে জ্যু ও আরবদের মাঝে যেরকম ডিসক্রিমিনেশন করে   - এর সিকিভাগ না করেও সৌদি আরব বা ইরান একটি ধর্মান্ধ দেশ হওয়ার পার্সেপশন পেয়ে গেছে। 

     ইজরায়েলে ধর্মীয় ও সেক্যুলার সব ধরনের ইহুদিই রয়েছেন। কিন্তু ইজরায়েল রাষ্ট্রের চরিত্র ও অধিকার নিয়ে তারা সবাই মূলত একমত - এবং সেটা ধর্মীয় ধরণের। কিন্তু সেটাকে সবার জন্য হজমযোগ্য করার জন্য এবং ইজরায়েলের তথাকথিত সেক্যুলার নেচারকে ধরে রাখার জন্য  বলা হয় - "হিস্টোরিকাল রাইটস"। ইজরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন ক্‌নেসেটে ইজরায়েলের ভূমি দখল ও সুয়েজ ওয়ারের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা দেন - "the restoration of the kingdom of David and Solomon"। বেন-গুরিয়ন একজন নাস্তিক ছিলেন। 

      সুহাইর নাফাল একজন প্যালেস্টিনিয়ান-অ্যামেরিকান এবং খ্রিস্টান সাংবাদিক। তার কিছুদিন আগের একটি ফেইসবুক পোস্ট আমি শেয়ার করেছিলাম। সেটা এখানে আবার দিচ্ছি: 

   "People wonder why I have respect for Islam. I'll tell you why; because it's Muslims who are sacrificing their lives DEFENDING my homeland where my CHRISTIAN ancestry goes back thousands of years. Where my Christian family & friends live under zionist military occupation. Where our churches and biblical holy sites in which my family & friends get married, burry their loved ones and celebrate holidays are. And not to mention, where Christianity began, a religion followed by 2.4 billion people. Name one
non-Muslim nation defending Palestine the way Gaza, Iran, Syria, Lebanon, Iraq etc. have." 

         খেয়াল করুন এই খ্রিস্টান প্যালেস্টিনিয়ান মহিলা প্যালেস্টাইনকে ডিফেন্ড করার ব্যাপারে কেবল মুসলিমদের প্রশংসা করছেন না, মুসলিমদের এই স্ট্রাগলের পেছনে ইসলামকে আইডেন্টিফাই করছেন। কারণ তিনি এই অবস্থা নিজে দেখেছেন এবং বাস্তবতা জানেন। ফলে দূরে বসে সেক্যুলার লিবারেলিজমের নিজের য়ুটোপিয়ান ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকেননি।

Post a Comment

0 Comments