Recent Tube

আমার ধারণা সম্ভবত আবু ত্বহা আদনান ছিলেন মাদখালি মাফিয়াদের কাছে এমনই একজন বিদ্রোহী কর্মী, দাওয়ার কাজে কিংবা মিডিয়ায় যাকে আর এগুতে দেয়া তারা রিক্স মনে করছেন। --- ইবনে যুবাইর।

  



  আমার ধারণা সম্ভবত আবু ত্বহা আদনান ছিলেন মাদখালি মাফিয়াদের কাছে এমনই একজন বিদ্রোহী কর্মী, দাওয়ার কাজে কিংবা মিডিয়ায় যাকে আর এগুতে দেয়া তারা রিক্স মনে করছেন। 
--------------------------------- 

    অপরাধ জগতে প্রবেশ করা সহজ। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। সঠিকভাবে জীবন-যাপন করার জন্য যখন কেউ মাফিয়া জগৎ ছেড়ে চলে আসতে চায়বে তখন এমনও হতে পারে যে,কালকের পরম বন্ধুর বুলেটে  জীবন দিয়ে তাকে সেই মাশুল চুকাতে হবে।

   কেন জীবন দিয়ে মাশুল দিতে হয়? মাফিয়া জগতের এটায় নিয়ম যে, তারা তাদের কর্মকান্ডের প্রমাণ রাখতে চায় না। আপনাকে তাদের জগত থেতে বেরিয়ে আসতে দেয়া মানে মাফিয়া জগতের অজানা তথ্য প্রমাণ জনসম্মুখে চলে আসা। সেটা তারা কখনো হতে দেয় না,দেবে না। 

   উদাহারণ নেয়া যেতে পারে। বর্তমান সরকারের শাসনামলে জঙ্গি দমনে পুলিশের ভূমিকা আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন।

   মিডিয়ায় বয়ান,অমুক স্হানে অমুকের বাড়ি  আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রেখেছে। সরকারের গেয়েন্দা তথ্যমতে সেই বাড়িতে জঙ্গিরা অবস্হান করছে। তারপর দিনভর বহু নাটকীয়তার পর জানা গেল,যৌথবাহিনীর  সফল অপারেশনে একটি জঙ্গীও বেঁচে নেই।

    এরপর কোন একদিন কথিত জঙ্গি অবিভাকদের মুখ থেকে শোনা গেল,গত ক'দিন আগে সাদা পোশাকধারী লোকজন রাত্রে এসে আমার স্বামী বা সন্তানকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে বহু খোঁজ খবর নেয়ার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ধান দিতে পারে নি।

   আমার সন্তান খুব ভালো মানুষ ছিল।দিনে রাতে পাঁচবার মসজিদে যেত। কারো ক্ষতিবিধিতে কোনদিন যেতে কেউ দেখেনি,প্রমাণও নেই।আজ তার লাশ দেখতে হচ্ছে..!

   সত্যিই ছেলেটি বাবা মায়ের চোখে,পাড়াপড়শির চোখে ভালো মানুষ ছিল।কিন্তু গোপনে গোপনে মাদখালি মাফিয়া চক্রের সাথে কখন যে মনের অজান্তেই জড়িয়ে গেছে সে বুঝতেও চেষ্টা করেনি।

     যখন সে বুঝতে পারল,এটা ইসলামী কোন সংগঠন নয়,ইসলামের লেবাশে ইসলামের ধ্বংশ করা এই মাফিয়া সংগঠনের মূল লক্ষ্য,তখন সে সেখান থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য মাফিয়া ডনদের(মাদখালি কথিত শায়খ) সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

     দায়িত্বরত কথিত মাদখালি শায়খরা কর্মীর এই অবস্হা উর্ধতন দায়িত্বশীলদেরকে অবহিত করলে ঐ কর্মীর সাথে তারা যোগাযোগ বাড়ান।ফলাফল উল্টো হলে প্রশাসনের নিকট বিদ্রোহী কর্মীর তালিকা হস্তান্তর করা হয়। এভাবে ২/৪/৫ জন বিদ্রোহী কর্মীকে আটক করে শুরু হয় জঙ্গি নির্মূল অভিযান নামের বিশেষ নাটক।

     সম্ভবত আবু ত্বহা আদনান ছিলেন মাদখালি মাফিয়াদের এমনই একজন বিদ্রোহী কর্মী।হয়তো ভুলবসত অথবা সুস্হধারার সংগঠন ভেবে তিনি মাদখালি তথা কথিত আহলে হাদিস জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়ে থাকবেন।

     কিন্ত যখন তার মনে হল এটি ইসলামের লেবাশে জায়নবাদ,ব্রাহ্মণ্যবাদী সংগঠন তখন তিনি সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। এই ফিরে আসা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

      তাকে গুম করা হয়েছে মগজধোলাই দেয়ার জন্য। তিনি যদি পূর্বের অবস্হায় ফিরে যান অথবা অপরাধ জগতের কথা বেমালুম ভুলে থাকার জন্য ওয়াদাবদ্ধ হন তবে তার মুক্তি মিললে মিলতেও পারে।

    আবু ত্বহা আদনানের মানহাজ পূর্ববত না হলে তাকে ক্রশফায়ারে দেয়ার জন্য দাবি তুলেছেন  মাদখালি গ্রুপের অনেকেই।

     এদিকে আবু বকর জাকারিয়া বলেছেন,আবু ত্বহা আদনান ইসলামের মধ্য জঙ্গিবাদ ঢুকিয়ে দেয়ার ষঢ়যন্ত্র করছেন।

     জায়নবাদের এজেন্ট সেক্যুলাঙ্গার মাদখালি মাফিয়া ডন আবু বকর জাকারিয়া নিশ্চয় জানেন যে আবু ত্বহা আদনান জীবিত আছেন নাকি তাকে মেরে দেয়া হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments