২৮ অক্টোবর ২০০৬ ইং , লগি-বৈঠার তান্ডব ছিল সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর এর
ষড়যন্ত্রের চুড়ান্ত পরিণতী।
জাতীয় সমস্যা নিয়ে আমরা এখন কেউ ভাবতে পারছি না।ডা.জাফরুল্লাহ মাঝে মধ্যই বলেন তারেক রহমান রাজনীতি বাদ দিয়ে পড়া লেখা করুক।
তারেক রহমানকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় আওয়ামী লীগ এবং ভারত।এই ভয়ের কারণ অন্য একদিন বলা যেতে পারে।
খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে তারেককে মাইনাস করার কাজটি আওয়ামী লীগ এখন জাফরুল্লাহদের দিয়ে করাচ্ছে।বিএনপির একটি অংশও চাচ্ছে তারেক দলের কোন দায়িত্বে না থাকুক।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিন ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট।
বাংলাদেশের সংবিধানের তৎকালীন বিধান অনুযায়ী ২৯ অক্টোবর চার দলীয় জোট সরকার বিদায় নেয়ার কথা। তাঁদের মেয়াদ ২৯ অক্টোবর রাত ১২ টায় শেষ হবে।
সেদিন নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেবেন। এটাই ছিল সংবিধানের বিধান। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহনের সকল প্রস্তুুতি নিয়ে রেখেছিল বঙ্গভবন।
এর মধ্যে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা নিয়ে রাজপথে নামার ঘোষনা দিলেন। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত জোটের নেতাকর্মীদের হুকুম দিলেন লগি-বৈঠা নিয়ে রাজপথে থাকতে। লগি-বৈঠা দিয়ে সেদিন রাজপথে কি তান্ডব ঘটানো হয়েছিল সেটা বিশ্ববাসী দেখেছেন। আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা নিয়ে তান্ডবে লিপ্ত হলেও নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বরণ করতে বঙ্গভবন সব রকমের প্রস্তুুতি নিয়ে রেখেছিল।
লগি-বৈঠার এই তান্ডব কি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল? লগি-বৈঠার তান্ডব অবশ্যই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। সেদিন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পল্টনসহ সারা দেশের তান্ডবে রাজনৈতিক শক্তির পাশাপাশি অরাজনৈতিক শক্তিও যোগ দিয়েছিল। রাজনীতির বাইরে একটি অপশক্তি সেদিন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত ক্ষমতা দখলের জন্য উৎপেতে ছিল। সে অনুযায়ী তাদের পক্ষ থেকে ক্ষমতা দখলের নিমিত্তে নিয়ে রাখা হয়েছিল অনেক প্রস্তুুতি।
তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমদ ক্ষমতা দখলের জন্য ২০০৫ সাল থেকে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। বলতে গেলে ওই লগি-বৈঠার তান্ডব ছিল তাঁর ষড়যন্ত্রের চুড়ান্ত পরিণতি। তিনি এমন-ই একটি ক্ষণের অপেক্ষায় ছিলেন।
নির্দেশিত হয়ে সেদিন লগি-বৈঠার তান্ডবে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই অংশ নিয়েছিল। রাজপথে পিটিয়ে হত্যাকান্ডের পর লাশের উপর নৃত্যের ছবি তোলার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুুত ছিল ডিজিএফআই-এর ক্যামেরা ইউনিট। ওই চিত্র বিশ্বব্যাপি বাজারজাত করার জন্য তাদের একটি ইউনিট কাজ করেছে।
যাতে পর দিন ২৯ অক্টোবর জরুরী অবস্থা জারির ষড়যন্ত্র চুড়ান্ত রুপ দেয়া যায়। সেই দিনই ক্ষমতা দখলের সকল আয়োজন ছিল জেনারেল মঈনের।
ওই সময় তৎকালীন বিদায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী এব্যাপারে খুবই সক্রিয় ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির হিসেব কষতে বিএনপির কোলে বসে খোদ বিএনপি নেতারাই বরাবরই ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
জাফরুল্লাহ, কামালগং,ফকরুলরা লুৎফর রহমান বাবরদের মতই দিন শেষে আওয়ামী লীগ।
বিএনপিতে সংস্কার না হলে তিক্ত অতীত বারবার জাতির সামনে এসে হাজির হবে এবং স্বৈরাচার পতন প্রলম্বিত হবে।
---------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments