Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৭৫; নুর মোহাম্মদ চৌধূরী ( মুবিন )




              বিতি কিচ্ছা;
                       পর্ব-৭৫;

কল্পপূরীর অনুজীব:
"করোনা ভাইরাস"
-----------------------------------

   পৃথিবীর মালিকানা লাভের অদম্য খায়েসে মানবকূল সর্বদাই অন্ধ। যা কিছু দৃশ্যমান তাতেই তার আধিপত্য বিস্তার চাই। অথচ সামান্য একটি আনুবিক্ষনিক জীব " করোনা ভাইরাস "-যার থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে আজ তার কতইনা কসরত। 

     কিন্তু আমারতো ধারনা- এই করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা নিরেট একটি কল্পলোকের গল্পগাঁথা ছাড়া আর কিছুই নয়। কেন আমার এই অনুমান তা নিয়ে অতি অল্প আলোচনাই আজকের এই বিতিকিচ্ছায়। প্রসঙ্গত: একটি কৈফিয়ত উল্লেখ করা প্রয়োজন আগেই যে, তাবৎ দুনিয়া যে ক্ষীনকায় দানবের ভয়ে তটস্থ , তা নিয়ে নেতিবাচক  অবস্থান নেয়ার দু:সাহস দেখানো তামাম বিশ্ববাসী ও বুদ্ধিজীবিদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন নয় কি? কথাটি হয়তবা তা ই। তবে আমার অবস্থান একান্তই আমারই নিজস্ব । কারো তাতে সহমত পোষন করতে বলার আমি কে?

     অত:পর বলি গেল এক বৎসরেরও বেশীকাল ধরে করোনার ভয়ে জনজীবনে বিচ্ছিন্নতার আহ্বান জানানো হলেও সামাজিক জীব মানুষ কি তা মানতে আন্তরিক আছে? আর যদি তা না হয় তাহলে যে ভয়াবহ পরিনতির পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে , তার তাণ্ডবলীলা থেমে থাকলো কেন? আমরা দেখতে পাই করোনার আক্রান্তদের সুস্থতার হার ৯৪% এরও বেশী। এবং মৃতের হার যুবকদের তুলনায় বৃদ্ধদের মধ্যেই শতভাগ সফল। এটা কি এজন্য নয় যে, পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে সমাজের বোঝা হালকা করা বা বয়ষ্কদের সংখ্যা কমিয়ে ফেলা? পাশ্চাত্য সমাজতো এটা, -যেখানে বয়ষ্করা সন্তানের ঘরেই পায় না ঠাঁই, তার উপর আবার পেনশন সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধাসহ  শত কুটি ডলারের অংক হাতিয়ে নিয়ে সরকারের উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর বিশাল অব্যবস্থা।

    অন্ধ পৃথিবীর কোথাও এখন অনেকেই ডাক্তারকে Second God বলে অভিহিত করে থাকে। কারণ দৃশ্যত: তাদের হাতে জীবনের অনেক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সেই ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রকে অনেকে সেভাবেই মূল্যায়ন করে থাকেন- যেভাবে মূল্যায়িত হওয়া উচিত ছিল কোন ঐশী কালাম। আর এখানেতো কোন যেইসেই ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নয় , একেবারে বিশ্ব মোড়ল খ্যাত ডাক্তারদের শীর্ষমহল "WHO "থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত। তবে আর যায় কোথায়? কিন্তু এতসব ভীতি প্রদর্শনের পরও উন্নত , অনুন্নত সকল দেশেই লক্ ডাউনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে জনতা। যার অর্থ দাঁড়ায় "আমরা মরতে চাই, কেন এ মরণ রুখতে যাবে?" আমরা দেখি কত মিছিল, কত মিটিং, কত জানাজা, কত নির্বাচনী শো-ডাউন হল- করোনা কিন্তু সেইভাবেই আছে যেইভাবে ছিল শুরুতে। কথা হল বিশেষজ্ঞ নামক জীবগুলো এখনও নতুন মাত্রায় নতুন সংজ্ঞায় করোনার পরিচয় প্রদানে তৎপর আছে। কেন? কারণ তাদের বয়স্ক নিদনের লক্ষ্যমাত্রা এখনও অর্জিত হয় নাই বলে? 

    এদিকে দুনিয়ায় সবকিছুই কমবেশী চলছে বললে ভূল হবেনা যদিও ,- তবে বন্ধ করে রেখে দেয়া হল বিদ্যালয়ের পাঠ। আমাদের সন্তানরা বিদ্যার্জনে প্রতিযোগিতার দৌড় থেকে থমকে দাঁড়িয়ে আছে। যেন সম্ভাব্য সকল আশা-ভরসাকে নৈরাশ্যের দোয়ারে কষাঘাত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা অবশ্যই কোন এক আধিপত্যবাদের স্বপ্ন পূরণের নিমিত্তে বললে ভূল হবে কেন? 

    অত:পর আমি করোনা সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত বর্ণনা করবো। আমার মতে প্রতি বৎসর অর্থাৎ যুগ যুগ ধরে যে Seasonal Virus এর কোমল পরশে পৃথিবী নড়ে উটতো, করোনা হচ্ছে তারই একটি নতুন নাম। যার বৈশিষ্ট আগে যা ছিল, এখনও তা ই আছে। তবে কোন না কোন মহল বিশেষের হীন স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এবারকার এই ভাইরাসের গায়ে নতুন ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে পৃথিবীর অগ্রযাত্রা ভিন্ন পথে প্রবাহিত করার এক দারুন অপতৎপরতায় লিপ্ত আছে। 
 
    এতএব কল্পপূরীর অনুজীব এই করোনা ভাইরাসের ধোয়া তুলে পিছু হঠার পক্ষপাতী আর যে ই হোন না কেন - আমি অন্তত নয়। এখানে সর্বগ্রাসী মোড়লদের পৃথীবিতে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সহায়ক অপতৎপরতা ছাড়া আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না, আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন?
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক কলামিস্ট অনলাইন এক্টিভিস্ট ও ফার্মাসিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments