Recent Tube

শিবির মানেই আল্লাহ'র বিশেষ এক নেয়ামত।এই সংগঠনে টিকে থাকা সবার কপালে জোটে না। ইবনে যুবাইর।





 

শিবির মানেই আল্লাহ'র বিশেষ এক নেয়ামত।এই সংগঠনে টিকে থাকা সবার কপালে জোটে না।


    মেয়ে পক্ষ যখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারল,ছেলেটি শিবির করে তখন বিয়ে বাতিল করে দিল।
এ ধরনের পোষ্ট সাধারণ মাঝে মধ্যেই নজরে পড়ে।চোখ বুৃলিয়ে নীরবে প্রস্হান করি।আজকেও তেমনি একটি লেখা চোখে পড়ল।সেই অভিপ্রায়ে আজকের লেখা।

    প্রথমত,যুবকদের চরিত্র গঠনের একমাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির।শিবির মানেই আল্লাহ'র বিশেষ এক নেয়ামত।এই সংগঠনে টিকে থাকা সবার কপালে জোটে না।আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন,ভাল বাসেন তাকেই এই কাফেলায় জায়গা করে দেন।

   এই দলের কর্মী হয়ে আপনি এমন কোন পরিবারে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান কেন যে পরিবারের লোকেরা ইসলামকে প্রতিপক্ষ ভাবে?

     বলবেন,যদি পরিবারটাকে কনভার্ট করতে পারি-মন্দ কি? মন্দ তো অবশ্যই আছে।আপনি তাকে কনভার্ট তো করতে পারবেনই না বরং আপনাকেই তারা কনভার্ট করার চেষ্টা করবে।যদি না পারে তবে আপনার সংসারকে জাহান্নামে পরিনত করে ছাড়বে।হয়তো একটা পর্যায়ে গিয়ে ডিভোর্স। 

    মর্মে রাসূলুল্লাহ (সা.) বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে আত্মিক ও ঈমানের সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন।

    তিনি বলেন, ‘নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করো : তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। তবে তুমি দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেবে। নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)

    এদেশে ছাত্রী সংস্হা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ একটি নেয়ামত। তো আপনাকেই বলছি,ছাত্রী সংস্হায় মেয়ের কি অভাব পড়েছে যে আপনি নাস্তিক মার্কা একটি পরিবারের মেয়েকে জীবন সঙ্গীরুপে পেতে এত আগ্রহী?কেন?দুনিয়াভী স্বার্থ নয় কি?

    মেয়েদের ব্যাপারে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের নিকট কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের যদি পছন্দ হয়, তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথা জমিনে বড় বিপদ দেখা দেবে এবং সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৪-৮৫)

    অনেক মেয়ের বাবা আছেন,নিজেও জামায়াতের সমর্থক কিংবা কর্মী তিনিও দুনিয়ার মোহে অন্ধ হয়ে শান-শওকত ওয়ালা পরিবার দেখে মেয়েকে বিয়ে দেন।৯৫% ক্ষেত্রেই এই সংসার জীবনেও নেমে আসে অশান্তির আগুন।শেষমেষ সংসার আর টিকে না।তখন সব দোষ কপালকে দিয়ে মনকে মিথ্যা সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া পথ থাকে না।

    অতএব,দ্বীনদারিতাকে বাদ দিয়ে কেবলমাত্র যারা ঐশ্বর্য-প্রচুর্যের মধ্যে সুখ খুঁজেন-শান্তি পেতে চান তাদের পরিনতী এমনই হয়।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments