Recent Tube

ইসলামের স্বার্থে,দেশ জাতির স্বার্থে ব্যক্তিপূজাকে কবর দিয়ে এসো সামনে এগিয়ে যাই! ভেঙ্গে দেই বিভেদের দেয়াল। - ইবনে যুবাইর।




    
ইসলামের স্বার্থে,দেশ জাতির স্বার্থে ব্যক্তিপূজাকে কবর দিয়ে এসো সামনে এগিয়ে যাই! ভেঙ্গে দেই   বিভেদের দেয়াল। 
--------------------------------- 
    তালেবানরা ন্যাটো জঙ্গিবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করল প্রায় দুই যুগ।আর আমরা নিজ ঘরে যুদ্ধ করছি ছয় যুগ ধরে।একদিকে কওমী অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী।

     পশ্চিমা আর দোসরা প্রচার প্রসার ঘটাচ্ছে ইসলাম ফোবিয়া আর আমাদের কওমী ভাইদের একমাত্র কাজ দেশ বিদেশে  জামায়াত ফোবিয়া সৃষ্টি করা।কওমীদের সাথে জামায়াতের যুদ্ধটা অসম।

     কারণ,জামায়াতের প্রতি কওমীদের যত অপবাদ আজ অবদি জামায়াতের কোন কেন্দ্রীয় নেতা সেই অপবাদের একটি জবাব দেন নি,দরকারও মনে করেন নি।

      সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে অনলাইন এক্টিভিস্টরা ইদানিং তাদের দেয়া মিথ্যা অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন।
এটাকে বড়জোড় বলা যেতে পারে আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে ডিফেন্স করা।

      দু'যুগ ধরে যুদ্ধ করে তালেবানরা জিতল। ছয় যুগের যুদ্ধে আমাদের প্রাপ্তিটা কি?
হ্যাঁ,প্রাপ্তি অবশ্যই আছে। আর তা হলো,কওমী সমাজে গৃহদাহ। অন্যের ঘর জ্বালাতে গিয়ে নিজে পুড়ে ছাই।

     জামায়াত বেঁচে আছে আত্ন সম্মানবোধ নিয়ে।দলে ফাটল নেই,চেয়ারের জন্য মারামারি কাটাকাটি নেই,নিজেদের লাশ নিয়ে রাজনীতিও নেই,ত্বগতের দরবারে মাথা নত করার ইহিহাসও নেই।এই সমালোচনা আমরা করার আগে কওমী ভাইদের আত্নসমালোচনা করা উচিত বৈ কি।

     আলেমদের সম্মান নেই। আলেমরা এখন ত্বগতের হাতের ক্রীড়ানকে পরিনত। দরবারের দাসত্বকে সম্মানবোধ মনে করা নিরেট পাগলের প্রলাপ মাত্র।

    আত্ন সম্মানবোধ নিয়ে বাঁচতে হলে মুজবুত ঈমানের দরকার।ঈমানদার কখনো অন্য ঈমানদারে ক্ষতি বরদাস্ত করতে প্রস্তুত নয়।
কওমী ও জামায়াতের মধ্যে যে দেয়াল এই দেয়াল যারা দাঁড় করিয়ে বাতিলকে সুবিধা দিয়ে আসছে তাদের পোশাক আশাক যাই হোক না কেন,যতবড়ই আলেম হোক না কেন,মূলত এই লোকগুলোই জিয়োনিস্টদের গুপ্তচর,ত্বগুতের এজেন্ডাবাহী,ব্যাহ্মণ্যবাদ ও খ্রীষ্টবাদের গোপন এজেন্ডাবাহী।

      প্রথমেই এদের চিন্থিত করতে হবে এবং অঘোষিতভাবে এদেরকে বয়কট করতে হবে।এটা তখনই করা সম্ভব যখন ব্যক্তির উপর ইসলামকে প্রাধান্য দেয়া হবে।আর যদি ইসলামের উপর, রাসুল(সা)-এর উপর কোন   ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হয় তবে কখনোই আলেমদের মধ্যে বিভেদ মিটবে না।

     ভাগ করো আর শাসন করো'র যে নীতি থেকে ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি ফায়দা নিচ্ছে এটা তারা নিতেই থাকবে এবং আলমদেরকে অপমানজনক জীবনের ঘানি টানতেই হবে।
 
     কওমীর শিক্ষিত উদারপন্থী যুবকরা যেদিন ব্যক্তিপূজার মসনদকে ভেঙ্গে দু পায়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে পারবে সেদিন এদেশে ত্বগতের রাজত্বকাল শেষ হয়ে গিয়ে নতুন অধ্যায়ে সূ্চনা হবে। আলেমরা ফিরে পাবে তাদের সম্মানবোধ।

     আমরা কওমী যুবকদের আহ্বান করব,ইসলামের স্বার্থে,দেশ জাতির স্বার্থে ব্যক্তিপূজাকে কবর দিয়ে সামনে এগিয়ে এসে বিভেদের দেয়াল ভেঙ্গে দিতে।
---------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল, প্রবন্ধ লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments