Recent Tube

রাজনীতিবিদদের কান্না কখন কিভাবে সরকার পতন হবে, গরিব ও মধ্যবিত্তদের কান্নাগুলো হল লকডাউন কবে শেষ হবে? ইবনে যুবাইর।






রাজনীতিবিদদের কান্না কখন কিভাবে সরকার পতন হবে, গরিব ও মধ্যবিত্তদের কান্নাগুলো হল লকডাউন কবে শেষ হবে
-------------------------------


   কখন কিভাবে সরকার পতন হবে এই কান্না  রাজনীতিবিদদের এবং গরিব ও মধ্যবিত্তদের  কান্নাগুলো হল -ভাই, লকডাউনে আমরা গরিবরা মরে গেলাম। আমরা তো রাজনীতি করি না,আমরা তিন বেলা তিন মুঠো ডাল ভাত খেয়ে পরিবার নিয়ে বাঁচতে চায়।

   আমরা কাজ চাই,ভিক্ষে চাই না। কিন্তু সরকার আমাদের কাজতো দেয় না বরং পেটে লাথি দিচ্ছে,ঘর থিকা রিক্সা নিয়া বাইর হইলেই পুলিশি নির্যাতন।এখন আমাদের উপায় কি,করোনায় নয়,না খাইয়া মরতে হইব।

   দেশে এই দুইটি এখন আলোচনার বিষয় বস্তু।কেউ সরকারের পতন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত কেউ তিন বেলা  তিন মুঠো খাবার নিয়ে।সরকার আসে সরকার যায় কিন্ত গরিদের ভাগ্যর পরিপর্তন হয় না।এদেরর মূল্য ভোটের বাজারে দু মগ চা আর দুইটা বিড়ির প্যাকেট এবং দেড় কেজি চালের দাম।

   প্রথম প্রশ্নের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরি করতে হলে কত পার্সেন্ট মানুষ সরকারের পতন চায় এই হিসেব আগে নিতে হবে।

    বিএনপির একটি অংশ পরিবর্তন চায়।জামায়াতের সব সংগঠনই চায় পরিবর্তন হোক যত দ্রুত।আর কে চায় বলুন?দেশের সিংহভাগ আলেম পরিবর্তন চান না।কারণ তাদের পছন্দের সরকার ক্ষমতায় আছে।

   অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কথা হল,পরিবর্তন কেউ করে দিতে পারলে ভাল,না হলে নাই। যেহেতু আমাদের তো তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না।

    দ্বিতীয় প্রশ্নটা স্পর্শকাতর। এখানে মধ্যবিত্ত ও গরীবদের রোজিরুটির বিষয় জড়িত। বলে রাখা ভাল,আমিও মধ্যবিত্ত।
এদের সাফ কথা, আমরা রাজনীতি বুঝি না।বুঝি পেটনীতি। কথাটা আসলে সত্য নই। তারা রাজনীতি বুঝেন না এটা ডাহা মিথ্যে কথা।

   ভোটের বাজারে এদের মূল্য অনেক বেড়ে যায়। কত মূল্য? এক প্যাকেট বিড়ি,দু মগ চা এবং পকেটে দু চারশ টাকা। খুব অল্প দামেই মূল্যবান ভোটটি বিক্রি করে দিল চোরের নিকট।

    ওদের কাছে গিয়ে যখন আপনি বলবেন,ভাই, সৎলোক ও কুরআনের আইন দিয়ে রাষ্ট্র যদি চালিত হয় তবে পাঁচ বছরে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে।দেশে গরীবের সংখ্যা হ্রাস পাবে,সুদের বদলে যাকাত ব্যবস্হা চালু হবে।তাছাড়া আপনি একজন মুসলমান।আপনি কি চান না কুরআনের আইন দিয়ে রাষ্ট্র চালিত হোক।

    মুখের উপর সোজাসাপটা জবাব আসবে,এখানে রাজনৈতিক জ্ঞান দিতে আইসেন না,ভাই।রাজনীতি আমরা বুঝি,অন্য খানে যান।আপনি দশ ধাপ যেতে না যেতেই পিছনে থেকে চাপা ও বিদ্রুপ মিশ্রিত কন্ঠে আওয়াজ আসবে,ওসব চক্কর মক্কর বুঝি না যেন..!ইসলমের নাম ভাঙ্গিয়ে যা চলছে..ইত্যাদি কথা।

   চোরকে ভোট দিয়েছেন দু চারশ টাকা,একটা কার্ড খাবার লোভে। ভাগ্যের পিরবর্তন চান নি।

    আজ সরকার এবং তার প্রতিনিধিগণ আপানর দায়িত্ব নেবে, কেন? আবার ভোট আসবে,আজকের কথা বেমালুম ভুলে যাবেন,আবার বিক্রি হবেন।যে জাতি তার ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট নয় সে জাতির ভাগ্য আল্লাহ পরিবর্তন করতে চান না।

    করিম চাচা সেদিন বলেই ফেললেন আওয়ামী  সরকার আল্লাহর পক্ষ থেকে এ জাতির উপর চাপিয়ে দেয়া এক কঠিনতর গজবময় পরীক্ষা । এই গজবময় পরীক্ষা থেকে উত্তীর্ণ হয়ে মুক্তি পাওয়ার জন্য জাতি যেদিন অনুতপ্ত হবে এবং ময়দানে নেমে সংগ্রাম করবে সেদিন যদি আল্লাহর দয়া হয়,নচেৎ নয়।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল, প্রবন্ধ লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments