Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৭৮; ৷ নুর মুহাম্মদ চৌধূরী (মুবিন)


 




 
    বিতি কিচ্ছা,
           পর্ব-৭৮;

""""""""""""""""""""""
মহা দূর্ঘটনা:
-----------------------
গড়ড়তা একটা করে দূর্ঘনার সামনাসামনি হতে হচ্ছে এই কয়দিন যাবৎ। তাই উদ্বেগের মধ্যে কাটছে কাল। কিন্তু আশেপাশে ঘটে যাওয়া এই সব ঘটনাসমূহের একটিকেও দূর্ঘটনা বলা যায় না। এই গুলো আসলে ঘটনা। মানুষের হাতের বাহাদূরী প্রদর্শন, ক্ষমতার অপব্যবহার আর আধিপত্য বিস্তারের এই ঘটনাগুলি যদি দূর্ঘটনা হয় তবে ঘটনা আসলে কোনটি? অনিচ্ছাকৃত ঘটে যাওয়া ঘটনাই হচ্ছে দূর্ঘটনা। আর আনাকাংখিত ঘটনা যা ঘটানো হয় কোন উদ্দেশ্য সিদ্দীর জন্য- তা কেন দূর্ঘটনা হবে? এইসব অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাংখিত যত ঘটনা সংঘটিত হয় প্রতিদিন,- তার সবটাই কিন্তু অনাকাংখিত। এইসব ক্রীয়া কাণ্ড থেকে জাতি নিস্কৃতি পেতে চায়। 

  ০৯/০১/২০২১ রাত ১১.৩০মিনিটে একটি মোটর সাইকেল দাঁড় করালো কতিপয় যুবক। স্থান সিলেট নয়াসড়ক পয়েন্ট থেকে প্রায় একশত গজ দূরত্বে, আলো আধাঁরে ঘেরা পরিবেশে। তারপর হৈ চৈ, দৌড়-ঝাপ। অদুরে দাঁড়িয়ে জনতার বুকে ধড়পড় বাড়ে, আর উপর থেকে মুচকি হাসেন নিয়তি। ১০/০১/২০২১ রাত ১১.৩০ মিনিট হবে হয়ত। একটি ব্যটারী চালিত টমটম গাড়ীর পিছন থেকে ধাওয়া করে আটকানোর পর উত্তম-মধ্যম ব্যবহার চললো প্রতিপক্ষের উপর। স্থান সিলেট ইলেক্ট্রীক সাপ্লাই অফিসের গেটের সামনে। অত:পর উদ্বিগ্ন জনতা, ওদিকে মুচকি হাসেন নিয়তি। 

  ১১/০১২০১১ রাত ১১.৩০ মিনিট বা তার আগে পাছেও হতে পারে। সিলেট ফাজিল চিস্ত, সুবিদ বাজার, দর্শন দেউড়ী এলাকায় উত্তেজিত জনতা কর্তৃক একাধীক ট্রাকে অগ্নি-সংযোগ সহ ব্যাপক ভাং-চুরের ঘটনা নিছক কোন দূর্ঘটনা নয় । এগুলো নিয়তির লিখন বলেই হয়ত:। 

   প্রতিনিয়ত পত্রিকার পাতাকে আকর্ষনীয় করা ও পত্রিকার কাটতি বৃদ্ধির স্বার্থে এই সব ঘটনা প্রবাহের সৃষ্টি হয় কিনা কে জানে। তবে আজকাল পত্রিকার খবরের অপেক্ষায় থাকেইবা আর ক'জন। ইলেকট্রনিক মিড়িয়ার চরম উৎকর্ষ সাধনের ফলে যখন তখন যে কোন ঘটনার লাইভ-শো উপভোগ করার সুবাদে পত্রিকার বাজারে মন্দাভাব ধরে গিয়েছে বটে। আর ডাক বিভাগতো সেই কবেই মৃতপ্রায় হয়ে বেঁচে রয়েছে বলা যায়। 

   কিন্তু ঘটনা আর দূর্ঘটনার নেপথ্যে যদি কোন এক বা একাধীক ঘটক্ ক্রীয়াশীল থাকে তবে সেটাই আসলে একটি বড় রখমের দূর্ঘটনা। 

   আসলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন যে এর দ্বারা মানুষের মত মানুষ গড়ার আশা একটি দুরাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। জাতীর কর্ণধার হিসাবে যাদেরকে আমরা উচ্ছাসনে বসিয়ে জাতীর অগ্রযাত্রার আশা করছি, সেখান থেকে যদি দেশ, জাতী, সমাজ, নীতি-নৈতিকতা বিধ্বংসী কার্যকলাপ অব্যাহতভাবে আজ্ঞাম দেয়া হয় - তবে এর চেয়ে বড় দূর্ঘটনা আর কি হইতে পারে?

    বিগত অর্ধ শতাব্দিকাল ধরে এই একটি বর্ধিষ্মু জাতীর মস্তিষ্কে পচন ধরানোর জন্য কি না করছেন তথাকথিত সুশীল সমাজ নামক পরগাছাগুলো। একটি জাতীর সভ্যতা সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার হেন নেক্কারজনক কর্মপন্থা নাই - যা তারা আঞ্জাম দেয় নাই। তবে এর প্রতিক্রীয়া হিসাবে তাদের জীবদ্দশায়ই তাদ
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল, রম্য লেখক, ফার্মাসিস্ট ও অনলাইন এক্টিভিস্ট । 

Post a Comment

0 Comments