চয়নিকা চৌধুরীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়া নিয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
চয়নিকা চৌধুরীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়া নিয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় একটি গুজব উঠেছে যে,ভারতের বলয় এবং 'র' এর প্রভাবমুক্ত করার জন্য বেছে বেছে তাদেরকে গ্রেফাতার করা হচ্ছে যারা বাংলাদেশে 'র' এর এজেন্ট হয়ে কাজ করছে।
যে সব মেয়েদের নাম ভিন দেশি এজেন্টের তালিকায় ওঠে এসেছে তাদেরকে Honey trap এর সাথে তুলনা করা হয়েছে।আসলে Honey trap কথাটিকে "মধুর ফাঁদ" বলা চলে।এটি এমন একটি কৌশল যেখানে একটি শিকারকে প্রলুব্ধ করার জন্য অপ্রতিরোধ্য টোপ ব্যবহার করা হয়।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে,শিকারী ধরার জন্য মধুর ফাঁদ হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে এক দল শিকারী নারী।
যদি ধরে নেয়া হয় 'র' এর প্রভাবমুক্ত করার জন্য এই সব রাতের রাণীদের(পুলিশের ভাষায়)গ্রেফতার করা হচ্ছে তাহলে প্রশ্ন জাগে রাতের রাজাগণ কোথায়?
আচ্ছা,পরিমণির বাসায় এত মদের বোতল এল কোত্থেকে?কে দিল এনে?তারা তো মঙ্গলগ্রহের কেউ নয়,পৃথিবীর বাসিন্দা।তাদের খোঁজ নেই কেন?
রাতের রাজাদের তালিকা অবশ্যই গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে থাকার কথা,আছে।যতদূর মনে হয়,রাতের রাজা যারা তারা সরকারের ছত্রছায়ায় অপরাধ জগতের ডন সেজে বিকৃত যৌন লালসায় মত্ত হয়ে গিয়েছিল।তাদের বেশ ক'জনের চেহারা পরিমণি ফাস করে দেয়।
যার কারণেই এই জগতের অন্যান্য রাজগণ বিব্রত অবস্হায় পড়ে যায়।তাদের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ পেয়ে যায় কি না এই ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে।আর এসব অপকর্ম আড়াল করতেই পরিদেরকে আটক করে মিডিয়ার সামনে দু চারটে চুনোপুঁটি নাম প্রকাশ করে মাফিয়া ডনদের চেহারা আড়াল করার নাটক মঞ্চস্হ করা হচ্ছে।
এমনও শোনা যাচ্ছে যে, মক্ষিরাণীদের মধু ফাঁদে অনেক মন্ত্রী মহদয়গণ পা আটকে দিয়েছেন। পরিরা যদি বন্দি থাকে,মুখ বন্দ থাকবে, রাতের রাজাগণও বেঁচে যাবে।
যদি ভারতের বলয় থেকে এ দেশকে মুক্ত করার জন্য পরিমণিদের 'র' এর মধুর ফাঁদ হিসাবে গ্রেফতার করা হত তবে চয়নিকা চৌধরীকে ছেড়ে দেয়া হবে কেন?
---------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments