Recent Tube

ভারতের আফগান স্বপ্ন।৷ ইবনে যুবাইর।






        
 ভারতের আফগান স্বপ্ন ;

 পাকিস্তান ভেঙ্গে (নিজেরদের কলোনী) বাংলাদেশ গড়েছি,আবার পাকিস্তানকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।'এই ফাঁপা বুলি মোদিজীর সিপাহী লাই লস্কর প্রায় দিয়ে থাকেন।

    যদিও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশি দেশগুলো নিয়ে ভারতের নীতি পলিসি এটায় তবে কংগ্রেস সেটা প্রকাশ্যে আনে না।কিন্তু মোদি আর তার লোকজন সেটা গোপন রাখতে পারেন না।মুরগির পেটে না কি ঘি হজম হয় না-ব্যাপারটা একই কিসিমের। 

    বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলাকে আলাদা করার ষঢ়যন্ত্রের পিছনে আমাদের প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা স্পষ্ট এই নিয়ে জনগণের মধ্যে কোন প্রকার সন্দেহ নেই।সন্দেহ নেই চীনা শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের গোপন মার্ডার নিয়ে।

   পাকিস্তান ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা ভারতের খায়েস দেখানোর  পিছনে অনেকগুলো কারণ ছিল।ভারত আফগানে বসে গানি সরকারের পৃষ্ট পোষকতায় পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বিগত দুই দশক ধরে।

   অভিযোগ আছে,'টানা ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো বাহিনীর সাথে লড়াই করে টিকে থাকার মতো টাকা-পয়সা, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, বুদ্ধি কে জুগিয়েছে তালেবানকে? এ ব্যাপারে আফগান সরকার খোলাখুলি দায়ী করে পাকিস্তানকে, যদিও পাকিস্তান সবসময় তা অস্বীকার করে।'

   খুব স্বাভাবিকভাবেই কাবুলে পাকিস্তানবান্ধব একটি সরকার প্রতিষ্ঠা এবং আফগানিন্তানে ভারতের প্রভাব খর্ব করা পাকিস্তানের বহুদিনের কৌশলগত একটি নীতি, যা থেকে পাকিস্তান কখনোই সরেনি।পাকিস্তান মনে করে তালেবান তাদের সেই উদ্দেশ্য সাধনে প্রধান সহযোগী। 

   আফগানে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর লজ্জাজনক পরাজয় হবে ভারত কল্পনায়ও ভাবেনি।আমেরিকা ভেবেছিল,তারা চলে যাবার পর কম করে হলেও তালেবানকে ৬ মাস লাগবে কাবুলের নিয়ন্ত্রন নিতে।

     আমেরিকা ততদিনে তালেবান এবং পাকিস্তানের শত্রু গানিকে সরিয়ে নতুন এক গোলামকে বসিয়ে তালেবানকে আলোচনায় নিয়ে আসত ক্ষমতা ভাগাভাগি করার জন্য।

    কিন্তু অবস্হা যখন দ্রুত পরিবর্তন হতে লাগল তখন আমেরিকা ভারতকে বাদ রেখেই চাচা নিজের জান বাঁচা এই লজিকে গানিকে সরিয়ে দিতে তালেবানদের নজরে আসতে একজন নতুন গোলাম নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে তৎপর হল।গনি যদি স্বেচ্ছায় সরে না দাঁড়াত তবে তালেবানদের সাথে ভাগাভাগির সররকার গঠনের জন্য নিজ স্বার্থেই গনিকে গ্রেফতার হতে হত আমেরিকান সৈন্যদের হাতে।

   কিন্তু সে সময় টুকুও তারা পেল না,শেষ রক্ষা হল না।আমেরিকার কিছু স্বার্থ থাকলে এখন থাকতে পারে তবে ভারত যেভাবে বাঁশ খেল সেটা 'র' আর মোসাদের অবদান।

    'র' নাকি বিশ্বের দুধর্ষ গোয়েন্দা বাহিনীর মধ্যে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্হানে রয়েছে।আমার তো মনে হয় এরা এখনো শিশু রয়ে গেছে।
এদের কাজ গুম,খুন করা এবং অন্য দেশে সন্ত্রাসী রপ্তানি করা।গুম খুন তো সন্ত্রাসীরাও করতে পারে।

    এদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে 'র' সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে ৯৫% জনগণকে  ভারত বিরোধী করে গড়ে তুলেছে।শুধু বাংলাদেশে নয়,প্রতিবেশি দেশগুলোও ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চায়নার দিকে ঝুঁকে পড়েছে,পড়ছে।

   এটা 'র' এর সাফল্যলাভ না ব্যর্থতা এই হিসাব আখেরে দিতে হবে ভারতকে।যেমন দিয়ে এল আফগান থেকে।

    র এর বর্তমান অবস্হা এখন পাগলা কুত্তার মত।চায়নার শ্রমিক মারা,পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা মারা,এগুলো দেওলিয়াত্বের প্রমাণ। আফগানের মত করে এ দেশ থেকে ভারতকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে পালাবার সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসছে।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments