Recent Tube

রাসুল সাঃ এর উম্মত বলতে মুসলিম,অমুসলিম সবাই না শুধু মুসলিম? যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের পরিচয় কি?




 প্রশ্ন: 
 রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একটি ব্যতীত সবই জাহান্নামে যাবে। প্রশ্ন হ’ল, উম্মত বলতে মুসলিম, অমুসলিম সবাই না শুধু মুসলিম? যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের পরিচয় কি?* 

  উত্তর :
হাদীসের বর্ণনামতে, মুসলমানরাই ৭৩ দলে বিভক্ত হবে।
(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ হা/৩৯৯২)। 
যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন, ما أنا عليه اليوم وأصحابي ‘আজকের দিনে আমি ও আমার ছাহাবীগণ যে নীতির উপরে আছি, তার অনুসারী দল*_
(হাকেম ১/১২৯)। 
ইমাম আহমাদ, 
ইবনুল মাদীনী, 
ইমাম বুখারী, 
আব্দুল কাদের জীলানী সকলেই বলেন যে,
ঐ দলটির নাম 

 আহলুলহাদীস’
(তিরমিযী, মিশকাত হা/৬২৮৩)। 

এঁদের বাহ্যিক পরিচয় হ’ল,
(১) তারা সর্বদা হক-এর উপরে জামা‘আতবদ্ধ থাকবে, 
(সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৪৯২), 
(২) তারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মিটে যাওয়া সুন্নাতগুলো জীবিত করবে 
(আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৭০), 
(৩) তারা নবী (ছাঃ) এবং তাঁর ছাহাবীগণের বৈশিষ্ট্যের উপর অটল থাকবে 
(তিরমিযী, মিশকাত হা/১৭১)।

গ্রন্থঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম*_
অধ্যায়ঃ ঈমান।

 
 প্রশ্ন: 
(৫) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যৎ বাণী করে গেছেন যে, তাঁর মৃত্যুর পর উম্মত বিভিন্ন দলে বিভক্ত হবে। সম্মানিত শাইখের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চাই।_*

 উত্তর:
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহীহ হাদীসের[1] মাধ্যমে সংবাদ দিয়েছেন যে, ইয়াহূদীরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছে, নাসারারা বিভক্ত হয়েছে ৭২ দলে, আর এ উম্মাতে মুহাম্মাদী বিভক্ত হবে ৭৩ দলে। একটি দল ব্যতীত সমস্ত দলই জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এটি হলো সেই দল, যারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। এ দলটি দুনিয়াতে বিদ‘আতে লিপ্ত হওয়া থেকে সুরক্ষিত থাকবে এবং পরকালে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে। এটিই হলো সাহায্যপ্রাপ্ত দল, যা কিয়ামত পর্যন্ত হকের ওপর বিজয়ী থাকবে।

  এ তিয়াত্তর ফের্কার মধ্যে কবেল একটিই হকের ওপর রয়েছে, বাকীরা সবাই বাতিল পথে রয়েছে। কোনো কোনো আলিম এ জাহান্নামী ৭২ ফিরকার পরিচয় নির্ধারণ করার প্রয়াস পেয়েছেন। প্রথমত: বিদ‘আতীদেরকে পাঁচভাগে ভাগ করেছেন এবং প্রত্যেক ভাগ থেকে শাখা-প্রশাখা বের করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক ঘোষিত ৭২ টি ফিরকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিছু কিছু আলিম ফিরকাগুলো নির্ধারণ না করাই উত্তম মনে করেছেন। কারণ, যারা গণনা করেছেন তাদের গণনাকৃত ফিরকার বাইরেও বহু ফিরকা রয়েছে যারা পূর্বে পথভ্রষ্ট হওয়া লোকদের থেকেও বেশি পথভ্রষ্ট হয়েছেন। আর এ বাহাত্তর ফিরকা গণনার পরেও অনেক ফিরকার উৎপত্তি হয়েছে। তারা আরও বলেন, এ সংখ্যা শেষ হবার নয়।

   বরং শেষ যামানায় কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে এর সর্বশেষ সংখ্যা সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। সুতরাং উত্তম হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন, তা সংক্ষিপ্তভাবেই রাখা। আমরা এভাবে বলব যে, এ উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। ৭২ দল জাহান্নামে যাবে এবং মাত্র একদল জান্নাতে যাবে। অতঃপর বলব, যে দলটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীদের সুন্নাহর বিরোধিতা করবে, সে এ ৭২ দলের অন্তর্ভুক্ত হবে। হয়ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতদসংক্রান্ত এমন কিছু মূলনীতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন তন্মধ্যে আমরা কেবল দশটিই জানি। আবার হতে পারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কিছু মূলনীতির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন যার সাথে বহু শাখা-প্রশাখা জড়িত; যা কারও কারও মত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।

 
  [1] আবু দাউদ, কিতাবুস সুন্নাহ, তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান, ইবন মাজাহ, কিতাবুল ফিতান। http://www.hadithbd.com/shareqa.php?qa=537



♦♦♦
গ্রন্থঃ 
সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত],
অধ্যায়ঃ ৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ২৬৪১

 
১৮. এই উন্মাতের অনৈক্য,

২৬৪১। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বানী ইসরাঈল যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতার একটি আরেকটির মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উন্মাতের মধ্যেও কেউ তাই করবে। 

  আর বানী ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উন্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া তাদের সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে দল কোনটি? তিনি বললেনঃ
আমি ও আমার সাহাবীগণ যার উপর প্রতিষ্ঠিত।

হাসানঃ মিশকাত, তাহকীক সানী (১৭১), সহীহাহ (১৩৪৮)।

  আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব ও সব্যাখ্যায়িত (মুফাসসার)। এই সনদসূত্র ব্যতীত উপরোক্ত প্রকৃতির কোন বর্ণনা প্রসঙ্গে আমাদের জানা নেই।

 باب مَا جَاءَ فِي افْتِرَاقِ هَذِهِ الأُمَّةِ حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ الإِفْرِيقِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتَّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوا وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُفَسَّرٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ Link: http://www.hadithbd.com/share.php?hid=41244

Post a Comment

0 Comments