Recent Tube

কিভাবে ইসলামী জ্ঞান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? কিভাবে আমাদের প্রজন্মকে জাহেলিয়াতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে? ইবনে যুবাইর।





কিভাবে ইসলামী জ্ঞান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? কিভাবে আমাদের প্রজন্মকে 
জাহেলিয়াতের দিকে  ঠেলে দেয়া হচ্ছে? 

  আমাদেরকে কিভাবে ইসলামী জ্ঞান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বা বঞ্চিত হচ্ছি এবং কিভাবে ইসলামের নামে অনৈসলামিক জ্ঞান প্রচার প্রসারের মাধ্যমে আমাদের মনমগজ ধোলাই করে জাহেলিয়াতের দিকে প্রজন্মকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে এই বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই,ইনশা আল্লাহ।

 আশাকরি,শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন।

 প্রথমেই বলব ডা.জাকির নায়েক আবদুল করিমের কথা।তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ এক নেয়ামত স্বরুপ।

 মুহাম্মাদ (সা.)শেষ নবী,আল কুরআন আসমানী শেষ কিতাব,ইসলাম-ই একমাত্র সত্য দ্বীন-এই চ্যালেঞ্জ তিনি বিশ্বের নিকট ছুঁড়ে মারলেন।

  যে বা যারাই তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে এসেছে তারা তার অসাধারণ যুক্তি, কুরআন হাদিস থেকে অকাট্য  দলিল এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারীদের ধর্মগ্রন্থ থেকে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত এবং রাসুল(সা.)প্রদর্শিত একমাত্র দ্বীন এবং বাঁকি সব ভুল।

 ওনার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে দলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে লাগলেন।অমুসলিম বিশ্ব মোড়লের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে দিলেন তিনি।

  দৃশ্যপট থেকে তাকে সরাতে শুরু হল দেশি বিদেশি,স্বজাতি,বিজাতী মিলে ষঢ়যন্ত্র।বিজাতীয় ষঢ়যন্ত্রকারী কোনদিনও সফল হত না যদি স্বজাতির লোকগুলো মুনাফিকের ভূমিকায় থেকে বিজাতীরদেরকে সহযোগিতা না করত।

  স্বজাতী ষঢ়যন্ত্রকারীরা কারা সেইটাই আমি দেখাতে চেষ্টা করব।নায়েক সাহেব বালাদেশে আসার দিনক্ষণ ঠিক হলে আমাদের দেশের এক শ্রেণীর আলেম কঠিন ঘোরতর  আন্দোলনের হুমকি দিয়ে বিমানবন্দর অচল করার হুমকি দিলেন।তিনি আসতে পারলেন না। 

  এই আলেমরা কারা ছিল?তিনি আসলে এই আলেমদের সমস্যা কি ছিল?ভারত থেকে নর্তকী এনে নগ্ন নাচের সাথে শরাপানের মহাআয়োজনে সেই আলেমদের কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি,আন্দোলনের ডাক, বিমানবন্দর অচল করার হুমকি আসেনি।কেন?

  তারপর কি হল?হলি আর্টিজনে জঙ্গি হামলার সাথে জাকির নায়েককে আবিস্কার করা হল।দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন ডা জাকির নায়েক। পশ্চিমাদের একটি নগ্ন রোবর্টকে সৌদি সরকার  রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিল।কিন্তু ডা জাকির নায়েকের থাকার জায়গা সেখানে হল না।কেন?

  বলছিলাম,বিজাতীদের সাথে মিলেমিশে স্বাজাতীয় আলেমদের ষঢ়যন্ত্রের কথা।মিযানুর রহমান আযহারি,মুফতি আমীর হামজা,আল্লামা সাঈদীসহ মূল ধারার আলেমরা কেউ জেলে,কেউ দেশান্তরী এসবই বিজাতী চক্রের সাথে মিলে আমাদের স্বজাতী আলেমদের ষঢ়যন্ত্রের ফল। 

  কিন্তু স্বজাতী আলমদের এতে লাভ কি?আমি শুধু দুটি লাভের কথা বলব।

 [১] অমুসলিম দুনিয়ার কাছে 'দ্বীন ইসলাম' একটি ভয়ঙ্কর নাম।কেন?কারণ,এই দ্বীন ইসলামে আছে রাজনীতি,অর্থনীতি সমাজনীতি,পরিবারনীতি,বিদেশনীতি,সর্বপরি মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান।আর যা অন্য কোন ধর্মে নেই।

 এই "দ্বীন ইসলাম" যখন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করবে আর ইসলামী শাসনের সুফল মানুষ ভোগ করবে তখন অমুসিলদের চাপিয়ে দেয়া শয়তানি আইনের কার্যাকারিতা মানুষের নিকট অসাড় হয়ে পড়বে।

 ফলে সৌন্দর্যময় ইসলামের ছায়াতলে মানুষ দলে দলে যোগ দবে।এ ক্ষেত্রে বিজাতীদের দরকার একটি খোঁড়া ইসলামের।যে ইসলামে থাকবে না রাজনীতি,অর্থনীতি,সমাজ-পরিবার বিদেশনীতি।

 এ ইসলাম থাকবে শুধু মসজিদের চার দেয়ালে বন্দি,এ ইসলাম শুধু কথা বলবে যমিনের নিচের এবং সাত আসমানের উপরের।যমিনের উপরের কথা থাকবে এই ইসলামে অনুপস্থিত। 

  এই খোঁড়া ইসলাম মুসলিম সমাজে দাঁড় করাতে হলে বিজাতীদের দরকার ধর্মের মোড়কে একদল জনপ্রিয় ইসলামী গাদ্দারের।এসব গাদ্দারের মাথা খুব চড়া দামে বিক্রি হয় অমুসলিম বিশ্ব বাজারে।একেকেজন গাদ্দারের থাকে লাখো লাখো ভক্ত।

  খোঁড়া ইসলামের বয়ানগুলো নিম্নরুপঃ-
আমরা ইসলামের নামে রাজনীতি করি না,রাজনীতি করে মজা পায় না।আমাদের সংগঠন অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন।

 সাপ বেজি ব্যাঙের কিসসা,জাহাজে করে মুরিদ জান্নাতে নিয়ে যাবার গ্যারান্টি-ইত্যাদি কুফুরি কথার সমাহার।

 অপরপক্ষে মূল ধারার আলেমরা যখন দ্বীন ইসলামের বয়ান দেন,তখন বিবেকবান মানুষের নিকট কিস্সা কাহিনী হাস্যরসে পরিনত হয়।সত্য যখন সামনে আসে মিথ্যা তখন অপসারিত হয়।সত্যপন্থী আলেমরা তখন হয়ে যায় জঙ্গি, সন্ত্রাসী,ইসলামী উগ্র মৌলবাদি।

  রাজনৈতিক ইসলাম কবর দিয়ে খোঁড়া ইসলাম দাঁড় করাতে হলে মূল ধারার আলেমদেরকে ময়দান শূণ্য করার বিকল্প নেই।

 ডা জাকির নায়েক,আল্লামা সাঈদি,মিযানুর রহমান আযহারি, মুফতি আমির হামজা প্রমূখগণ অরাজনৈতিক খোঁড়া ইসলামের প্রতিষ্ঠাকারীদের প্রতিহিংসার শিকার।

 তারা কাফির মুশরিকদের পৃষ্টপোষকতায় দেশে খোঁড়া ইসলামের বিশাল এক সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

  এই সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে মূল ধরার আলেম সমাজ।এই সিন্ডিকেট থেকে ইসলামের নামে অনৈসলামিক বয়ানের মাধ্যমে মগজ ধোলাই করে আগামী প্রজন্মকে  জাহেলিয়াতের অতল গহ্বরের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
----------------------------- 
লেখকঃঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments