Recent Tube

বাতিলের আঁচলের স্পর্শে, আশীর্বাদ নিয়ে জীবনমান নিরাপদ রেখে, দ্বীন কায়েমের হুংকার বা ময়দানে বুজুর্গিয়ানা দেখানো বেহুদা এবং প্রতারাণা বৈ কিছুই নয়। ইবনে যুবাইর।






 
বাতিলের আঁচলে স্পর্শে, আশীর্বাদ নিয়ে জীবনমান নিরাপদ রেখে,দ্বীন কায়েমের হুংকার বা ময়দানে বুজুর্গিয়ানা দেখানো বেহুদা এবং প্রতারাণা বৈ কিছুই নয়।


  মুফতি কাজী ইবরাহীম এর ছেলের একটি বক্তব্য শুনলাম,শুনে থাকবেন অনেকেই।তার বাবার বর্তমান অবস্হা নিয়ে তিনি কথা বলছিলেন।

    তারা চিন্তিত-বিচলিত নন,উদ্বেগ উৎকন্ঠা,মনস্তাপ,হতাশা নেই,নেই কোন অনুসচনা,বলছিলেন তিনি।তিনি তার বাবার মুক্তির ব্যাপারে কারো নিকট সাহায্য চাননি,কাউকে মা ডাকেননি,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দেখা করতে যাননি।বরং তিনি দৃঢ় এবং স্হির কন্ঠে বলেছেন,জেল,জুলুম, অত্যাচার,নির্যাতন এগুলো রাসুল(সা)-এর জীবনে ঘটেছে।তার বাবার জীবনে সেটা ঘটবে না তা কি করে হয়!

   তিনি দীপ্ত কন্ঠে বলেন,যদি তার বাবাকে হত্যা করা হয় তবে তাকে যেন আল্লাহ শহীদি মর্যাদা দান করেন।তিনি আরও বলেন,শহীদি মৃত্যুই তো আমাদের কামনা।প্রবল আগ্রহ,আশা আকাঙ্ক্খা নিয়ে আমরা শহিদী মরণ খুঁজে বেড়াচ্ছি...!আরও অনেক কথা তিনি বলেছেন।মুখে শোকের ছায়া নেই,দুশ্চিন্তার ছাপ নেই,স্হীর স্বাভাবিক কন্ঠেরর কথাগুলো নিয়ে বর্তমান আলেম সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে।

   আমরা তো প্রায়ই দেখি,কারো বাবা গ্রেপ্তার হলে ছেলে ভারসাম্য হারিয়ে আগোছাল,এলোমেলো কথা বলে।গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির মুক্তির জন্য দলের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান,জননীর আঁচল ধরে কান্নাকাটি করে।

   এভাবেই ঈমানের সাথে বাতিলের আপোস মীমাংসা হয়ে যায়,মুক্তি পায় জেল থেকে তারপর।বাতিলের সাথে ঈমানের যে আপোস হয় না সেটা শিখতে হলে জামায়াত নেতাকর্মীদের থেকে শিখতে হবে,শিখতে হবে যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান কাজী ইবরহীমের ছেলের থেকে।

  সোনার পালঙ্কে ঘুমিয়ে,বাতিলের আঁচলের স্পর্শে নিরাপদ থেকে দ্বীন কায়েমের ময়দানে বুজুর্গিয়ানা দেখানো বেহুদা প্রতারাণা বৈ কিছুই নয়।
---------------------------------- 
লেখক ঃ  ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments