Recent Tube

কবরের ফিতনা দ্বারা কী উদ্দেশ্য এবং কারা এই ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে? আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।


 
 প্রশ্ন: 
কবরের ফিতনা দ্বারা কী উদ্দেশ্য এবং কারা এই ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে?

 উত্তর:
ফিতনা (فتنة) শব্দটির একাধিক অর্থ রয়েছে। যেমন: পরীক্ষা, দাঙ্গা, গোলযোগ, বিপদ, কষ্ট, পরীক্ষা, সম্মোহন ও আকর্ষণ ইত্যাদি। [ডা. ফজলুর রাহমান রচিত আরবী-বাংলা অভিধান]
 তবে কুরআন-হাদিসে পরীক্ষা অর্থে ‘ফিতনা’ শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। আল্লাহ তাআলা অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিকে ‘ফিতনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। যেমন:

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَاعْلَمُوا أَنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ
“আর জেনে রেখো যে, নিঃসন্দেহে তোমাদের ধনদৌলত ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ।” [সূরা আনফাল: ২৮]
 
ইবনে কাসির রাহ. ফিতনা শব্দের অর্থ করতে গিয়ে বলেন, أي : اختبار وامتحان منه لكم অর্থাৎ পরীক্ষা করা, যাচায় বা পরখ করা। মহান আল্লাহ তোমাদেরকে এগুলো দিয়েছেন যেন তিনি জানতে পারেন যে, তোমরা এসব পেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর ও তার আনুগত্য কর না কি এগুলোতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে তার থেকে দূরে সরে পড়।” [তাফসিরে ইবনে কাসির]
 
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, 
 وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً
“আর আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দিয়ে পরীক্ষা করি।” [সূরা আন্বিয়া: ৩৫]
এ সব ক্ষেত্রে ফিতনা অর্থ: পরীক্ষা। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা এসব জিনিস দ্বারা বান্দাকে পরীক্ষা করতে চান। তারপর দেখতে চান, কারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় আর কারা ব্যর্থ হয়।
(যদিও কুরআনে অন্য অর্থেও এর ব্যাবহার রয়েছে)
 
ঠিক তদ্রূপ ‘কবরের ফিতনা’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, কবরের পরীক্ষা। শাইখ বিন বায রহ. বলেন,
الفتنة في القبور معناها الابتلاء والامتحان 
“কবরের ফেতনা অর্থ: কবরের পরীক্ষা।”
 
অর্থাৎ আল্লাহর দু জন ফেরেশতা বিশেষ কিছু ব্যক্তি ছাড়া (যেমন: শহিদ, মুসলিম দেশের সীমান্ত প্রহরী মুজাহিদ প্রমুখ) কবরে সকল মানুষের পরীক্ষা নিবেন। এ কারণে হাদিসে এ দুজন ফেরেশতাকে فتان (ফাত্তান) বা পরীক্ষক ফেরেশতা নামে অবহিত করা হয়েছে। সেখানে তারা কবর বাসীদেরকে তিনটি প্রশ্ন করবেন। (যেগুলো নিম্নোক্ত হাদিসে উল্লেখিত হয়েছে) যারা সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারবে হবে তারা সফলকাম এবং সৌভাগ্যবান। আর যারা পারবে না তারা ব্যর্থ ও হতভাগ্য।
 
পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে মহা পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। আর তা হল, তাদের কবরের সাথে জান্নাতের সংযোগ স্থাপন করা হবে। তারা সেখানে জান্নাতের নিয়ামতরাজি উপভোগ করবেন কিয়ামত পর্যন্ত। আর অকৃতকার্যরা ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। ফেরেশতাগণ তাদের উপর কঠিন আজাব (শাস্তি) প্রয়োগ শুরু করবেন। জাহান্নামের সাথে তাদের কবরের সংযোগ স্থাপন করা হবে। সেখানে তারা কিয়ামত পর্যন্ত কঠিন আজাবের মধ্যে কালাতিপাত করবে। এ ব্যাপারে হাদিসে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে।
 
সুতরাং বুঝা গেল, ‘কবরের ফিতনা’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, কবরের পরীক্ষা তথা দু জন ফেরেশতা কর্তৃক কবর বাসীদেরকে প্রশ্ন করা আর কবরের আজাব হল, সেখানকার শাস্তি। যারা এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবে তারা কবরের আজাবের সম্মুখীন হবে আর যারা সফল হবে তা হতে রক্ষা পাবে। (আল্লাহর নিকট কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই)
 
❑ কবরে প্রশ্ন সংক্রান্ত হাদিস:
 
নিম্নে কবর নামক পরীক্ষার হলের প্রশ্ন সম্পর্কিত দুটি হাদিস পেশ করা হল: (যা আগেই ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে)
 
◈ প্রথম হাদিস:
 
 আনাস ইবনে মালিক রা. হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ وَتَوَلَّى عَنْهُ أَصْحَابُهُ وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ قَرْعَ نِعَالِهِمْ أَتَاهُ مَلَكَانِ فَيُقْعِدَانِهِ فَيَقُولاَنِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ لِمُحَمَّدٍ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ فَيَقُولُ أَشْهَدُ أَنَّهُ عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ فَيُقَالُ لَهُ انْظُرْ إِلَى مَقْعَدِكَ مِنْ النَّارِ قَدْ أَبْدَلَكَ اللهُ بِهِ مَقْعَدًا مِنْ الْجَنَّةِ فَيَرَاهُمَا جَمِيعًا قَالَ قَتَادَةُ وَذُكِرَ لَنَا أَنَّهُ يُفْسَحُ لَهُ فِي قَبْرِهِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى حَدِيثِ أَنَسٍ قَالَ وَأَمَّا الْمُنَافِقُ وَالْكَافِرُ فَيُقَالُ لَهُ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي كُنْتُ أَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ فَيُقَالُ لاَ دَرَيْتَ وَلاَ تَلَيْتَ وَيُضْرَبُ بِمَطَارِقَ مِنْ حَدِيدٍ ضَرْبَةً فَيَصِيحُ صَيْحَةً يَسْمَعُهَا مَنْ يَلِيهِ غَيْرَ الثَّقَلَيْنِ
 “বান্দাকে যখন তার কবরে রাখা হয় এবং তার সাথীরা এতটুকু মাত্র দূরে যায় যে, সে তখনও তাদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। এ সময় দু জন ফেরেশতা তার নিকট এসে তাকে বসান এবং  প্রশ্ন করেন, 
এ ব্যক্তি অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে তুমি কী বলতে? 
তখন মুমিন ব্যক্তি বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহ্‌র বান্দা এবং তাঁর রাসূল। তখন তাঁকে বলা হবে, জাহান্নামে তোমার অবস্থান স্থলটির দিকে তাকাও। আল্লাহ তোমাকে তার বদলে জান্নাতের একটি অবস্থান স্থল দান করেছেন। তখন সে দু’টি স্থলের দিকেই দৃষ্টি করে দেখবে। 
কাতাদাহ রাহ. বলেন, আমাদের নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, সে ব্যক্তির জন্য তাঁর কবর প্রশস্ত করে দেয়া হবে। অতঃপর তিনি (কাতাদাহ) পুনরায় আনাস রা.-এর হাদিসের বর্ণনায় ফিরে আসেন। তিনি [(আনাস) (রাঃ)] বলেন, “আর মুনাফিক বা কাফির ব্যক্তিকেও প্রশ্ন করা হবে, তুমি এ ব্যক্তি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কী বলতে?” 
সে উত্তরে বলবে, আমি জানি না। লোকেরা যা বলত আমি তা-ই বললাম। 
 
তখন তাকে বলা হবে, তুমি না নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। আর তাকে লোহার মুগুর দ্বারা এমনভাবে আঘাত করা হবে যে, এতে সে এমন বিকট চিৎকার করে উঠবে যে, দু জাতি (মানুষ ও জিন) ছাড়া তার আশপাশের সকলেই তা শুনতে পাবে।” [সহীহ বুখারি, অধ্যায়: ২৩/ জানাজা, পরিচ্ছেদ: ২৩/৮৬. কবরের আজাব সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে]
 
এ হাদিসে কেবল একটি প্রশ্নের কথা এসেছে। তবে অন্য হাদিসে তিনটি প্রশ্নের কথা বর্ণিত হয়েছে।  
 
◈ ২য় হাদিস: (একটি লম্বা হাদিসের অংশ বিশেষ)
 
«فَتُعَادُ رُوحُهُ فِي جَسَدِهِ فَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولَانِ لَه:ُ مَنْ رَبُّكَ؟ فَيَقُولُ: رَبِّيَ اللَّهُ، فَيَقُولَانِ لَهُ: مَا دِينُكَ؟ فَيَقُولُ دِينِيَ الْإِسْلَامُ، فَيَقُولَانِ لَهُ: مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بُعِثَ فِيكُمْ؟ فَيَقُولُ: هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ، فَيَقُولَانِ لَهُ: وَمَا عِلْمُكَ؟ فَيَقُولُ: قَرَأْتُ كِتَابَ اللَّهِ فَآمَنْتُ بِهِ وَصَدَّقْتُ، فَيُنَادِي مُنَادٍ فِي السَّمَاء:ِ أَنْ صَدَقَ عَبْدِي، فَافْرِشُوهُ مِنْ الْجَنَّةِ، وَأَلْبِسُوهُ مِنْ الْجَنَّةِ وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى الْجَنَّةِ، قَالَ فَيَأْتِيهِ مِنْ رَوْحِهَا وَطِيبِهَا، وَيُفْسَحُ لَهُ فِي قَبْرِهِ مَدَّ بَصَرِهِ
“অতঃপর তার রূহ তার শরীরে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এরপর তার নিকট দু জন ফেরেশতা আগমন করে তাকে উঠিয়ে বসাবে। অতঃপর বলবে: 
তোমার রব কে? 
সে বলবে: আল্লাহ। 
অতঃপর তারা প্রশ্ন করবে: তোমার দ্বীন কি? 
সে উত্তর দিবে: আমার দ্বীন ইসলাম। 
অতঃপর প্রশ্ন করবে: এ ব্যক্তি কে যাকে তোমাদের মাঝে (নবী হিসেবে) প্রেরিত হয়েছিল? 
সে বলবে: তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 
 
অতঃপর তারা বলবে: কীভাবে জানলে? 
সে বলবে: আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তাতে ঈমান এনেছি ও তা সত্য বলে বিশ্বাস করেছি। 
 
অতঃপর এক ঘোষণাকারী আসমানে ঘোষণা দিবে: আমার বান্দা সত্য বলেছে, অতএব তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের পোশাক পরিধান করাও এবং তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দাও। তিনি বলেন: ফলে তার কাছে জান্নাতের সুঘ্রাণ ও সুগন্ধি আসবে, তার জন্য তার দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত তার কবর প্রশস্ত করে দেয়া হবে।” [আহমদ ১৮৫৩৪, ইবনে আবি শায়বাহ্ ১২০৫৯, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১০৭, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫৫৮, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ১৬৭৬০সহীহ]
 
❑ আল্লাহর পথের যুদ্ধরত অবস্থায় শাহাদত বরণকারী এবং মুসলিম দেশের সীমান্ত প্রহরী মুজাহিদগণ কবরের প্রশ্নের সম্মুখীন হবে না:
 
এ সংক্রান্ত তিনটি হাদিসে পেশ করা হল:

✪ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী থেকে বর্ণিত যে, এক সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন,
عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا بَالُ الْمُؤْمِنِينَ يُفْتَنُونَ فِي قُبُورِهِمْ إِلاَّ الشَّهِيدَ قَالَ ‏ "‏ كَفَى بِبَارِقَةِ السُّيُوفِ عَلَى رَأْسِهِ فِتْنَةً ‏"‏ 
হে আল্লাহর রাসূল! শহীদ ব্যতীত অন্যান্য মুমিনগণ কবরের ফিতনার সম্মুখীন হবে এর কারণ কি? তিনি বললেন, তার মাথার উপর উজ্জ্বল তরবারি তাকে কবরের ফিতনা থেকে নিরাপদ রাখবে।
 
[সুনান আন-নাসায়ী, অধ্যায়: ২১/ জানাজা, পরিচ্ছেদ: ১১২/ শহীদ সহীহ। আল-আহকাম ৩৬, আত-তা'লীকুর রাগীব ২/১৯৭]
 
✪ সালমান ফারেসী রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, 
«رِبَاطُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنْ صِيَامِ شَهْرٍ وَقِيَامِهِ وَإِنْ مَاتَ جَرَى عَلَيْهِ عَمَلُهُ الَّذِي كَانَ يَعْمَلُهُ وَأُجْرِيَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ وَأَمِنَ الْفَتَّانَ»
“আল্লাহর পথে একদিন বা একরাত সীমানা পাহারা দেয়া, একমাসের সওম পালন ও সালাত আদায় করা হতে উত্তম। আর ঐ প্রহরী যদি এ অবস্থায় মারা যায়, তবে তার কৃতকর্মের এ পুণ্য ‘আমলের সাওয়াব অবিরত পেতে থাকবে, তার জন্য সর্বক্ষণ রিযক (জান্নাত হতে) আসতে থাকবে এবং সে কবরের কঠিন পরীক্ষা হতে মুক্তি পাবে। [সহিহ মুসলিম]
 
✪ অন্য হাদিসে এসেছে, ফাদালাহ ইবনে উবাইদ রা. সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
 كُلُّ الْمَيِّتِ يُخْتَمُ عَلَى عَمَلِهِ إِلَّا الْمُرَابِطَ، فَإِنَّهُ يَنْمُو لَهُ عَمَلُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَيُؤَمَّنُ مِنْ فَتَّانِ الْقَبْرِ
“প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে সাথে তার আমল শেষ হয়ে যায় কিন্তু সীমান্ত প্রহরায় সাওয়াব বন্ধ হয় না। কিয়ামত পর্যন্ত তার আমলের সাওয়াব বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং সে কবরের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।”
[সুনান আবু দাউদ (তাহকিক কৃত), অধ্যায়:  ৯/ জিহাদ, পরিচ্ছদ: ১৬. সীমান্ত পাহারা দেয়ার ফযিলত-সহিহ]
 
কতিপয় আলেম বলেন, নবী-রাসূলগণকেও কবরে এই তিনটি প্রশ্ন করা হবে না। কেননা, তাদের উম্মতদেরকে তাদের সম্পর্কেই প্রশ্ন করা হবে। 

মহান আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন আমাদেরকে বেঁচে থাকা অবস্থায় কবরের প্রশ্ন সমূহের উত্তর দেওয়ার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দান করেন এবং কবরের ভয়াবহ আজাব থেকে রক্ষা করেন। আমিন।
 ------------ ❂❂❂------------ 
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল। 
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
#abdullahilhadi

Post a Comment

0 Comments