Recent Tube

আপনি জানেন কি..? ইংরেজী নববর্ষ নিয়ে নিজের অজান্তে বা ভুলে গোনাহগার হচ্ছেন! ------- মুহাম্মদ -তানজিল ইসলাম।



 আপনি জানেন কি..? 
ইংরেজী নববর্ষ নিয়ে নিজের অজান্তে বা ভুলে গোনাহগার হচ্ছেন! 

 প্রশ্ন করতে পারেন তা কিভাবে ? 

  ইতিমধ্যে ইনবক্সে অনেক অগ্রিম শুভেচ্ছা ম্যাসেইজ আসছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা টাইমলাইন এবং ইনবক্সে ব্যাপক আকার ধারণ করবে। এবার জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু মতামত।

  শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়: খ্রিস্টমাস উপলক্ষে কাফেরদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর বিধান কী। তারা শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করলে আমরা কিভাবে এর জবাব দিব ? 
এ উৎসব উপলক্ষে তারা যে অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করে সেসব অনুষ্ঠানে যাওয়া কি জায়েয ? 

  কেউ যদি উল্লেখিত বিষয়গুলোর কোন একটি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নয়; বরং ভদ্রতা দেখাতে গিয়ে কিংবা লজ্জাবোধ থেকে কিংবা জড়তা থেকে কিংবা এ ধরণের অন্য যে কোন কারণে করে ফেলে সে কি গুনাহগার হবে ? 
এ উপলক্ষকে কেন্দ্র করে তাদের মত রূপ ধারণ করা জায়েয হবে কি ?

  উত্তরে তিনি বলেন: খ্রিস্টমাস (বড়দিন) কিংবা অন্যকোন বিধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে কাফেরদেরকে শুভেচ্ছা জানানো আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।

   ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) তাঁর ‘আহকামু আহলিয যিম্মাহ’ নামক গ্রন্থে এ বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন: “কোন কুফরী আচারানুষ্ঠান উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। 
যেমন- তাদের উৎসব ও উপবাস পালন উপলক্ষে বলা যে, ‘তোমাদের উৎসব শুভ হোক’ কিংবা ‘তোমার উৎসব উপভোগ্য হোক’ কিংবা এ জাতীয় অন্য কোন কথা। যদি এ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা কুফরীর পর্যায়ে নাও পৌঁছে; তবে এটি হারামের অন্তর্ভুক্ত। 

  এ শুভেচ্ছা ক্রুশকে সেজদা দেয়ার কারণে কাউকে অভিনন্দন জানানোর পর্যায়ভুক্ত। বরং আল্লাহর কাছে এটি আরও বেশি জঘন্য গুনাহ। 
এটি মদ্যপান, হত্যা ও যিনা ইত্যাদির মত অপরাধের জন্য কাউকে অভিনন্দন জানানোর চেয়ে মারাত্মক। যাদের কাছে ইসলামের যথাযথ মর্যাদা নেই তাদের অনেকে এ গুনাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে; অথচ তারা এ গুনাহের কদর্যতা উপলব্ধি করে না। 

   যে ব্যক্তি কোন গুনার কাজ কিংবা বিদআত কিংবা কুফরী কর্মের প্রেক্ষিতে কাউকে অভিনন্দন জানায় সে নিজেকে আল্লাহর ক্রোধ ও অসন্তুষ্টির সম্মুখীন করে।”।

 এই ব্যাপারে পরিবারের দায়িত্ব কি হতে পারে ?
পরিবারের সদস্যদেরকে উত্তমভাবে নজরদারি করেন না, এমনতরো ভদ্রজনকেও হাদীছে ‘দাইয়ূস’ বলা হয়েছে। দাইয়ূস হলো- যে ব্যক্তি তার পরিবারকে বেহায়াপনার সুযোগ দেয়। রাসূলুল্লাহ [সা.] বলেন,ثَلاَثَةٌ قَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِمْ الْجَنَّةَ مُدْمِنُ الْخَمْرِ وَالْعَاقُّ وَالدَّيُّوْثُ الَّذِيْ يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَثَ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তিন ব্যক্তির উপরে জান্নাত হারাম করেছেন; মদ্যপায়ী, পিতামাতার অবাধ্য ও দায়ূছ। যে তার পরিবারে অশ্লীলতাকে স্বীকৃতি দেয়’।[ছহীহুল জামে‘ হা/৩০৫২)

   অভিভাবক মহলে, আপনার সচেতনতার অভাবে যদি আপনার সন্তান নষ্ট হয় তবে আপনি ব্যর্থ অভিভাবক। জেনে রাখুন! রাসূলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, اَلاَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। 
আর প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে’।[মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৮৫] সুতরাং আসুন! সেদিন আসার আগেই আমরা সচেতন হই, যেদিন আমার সন্তান আমার জান্নাতের গতিরোধ করবে।

  আসুন, আমরা আমলনামা সমৃদ্ধকরণের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হই। যে উৎসব পৌত্তলিক-খৃষ্টান সমাজ গ্রহণ করেছে তাকে কেন আমরা বর্জন করছি না? রাসূলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের অনুসরণ করল, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হল’।[আহমাদ, আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭, সনদ হাসান]

 এইসব উৎসব কেন্দ্রিক বিভিন্ন অপ-সংস্কৃতি লালন থেকে নিজে বিরত থাকুন এবং অন্যকে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্ট্যাটাসে লাইক-কমেন্ট থেকে বিরত থাকুন এবং ইনবক্সে শুভেচ্ছা বিনিময় পরিহার করুন। ধীরেধীরে লোক নিরোৎসাহিত হবে। 

Post a Comment

0 Comments