Recent Tube

এদেশে ইসলামী হুকুমাত কায়েম করতে চায় ইসলামী এমন অনেকগুলো সংগঠন রয়েছে।শুধু কর্মসূচী ভিন্ন! - ইবনে যুবাইর।





এদেশে ইসলামী হুকুমাত কায়েম করতে চায় ইসলামী এমন অনেকগুলো সংগঠন রয়েছে।শুধু কর্মসূচী ভিন্ন!

সংগঠনগুলো এইঃ-
১।আহলে হাদিস তথা সহীহ আক্বিদা
২।তাবলিগ জামায়াত
৩।হেফাজতে ইসলাম।
৪।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ(চরমোনাই)।
৫।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবরি। 
উপরে উল্লেখিত ১-২-৩-৪ ক্রমিক নং এর সংগঠনগুলোর নিজেস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ নিজ আদর্শের অনুসারী করে শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তোলা হয়।

একজন কোমলমতি শিক্ষার্থীর মন-মগজে যে শিক্ষার সফটওয়্যার দেয়া হয় সেটার প্রভাব সুদূরপ্রসারী।এই সফটওয়্যার বাঁকি জীবন তাকে সেভাবেই চালিত করে যে কাজের জন্য সেটা তৈরি করা হয়েছে।

আহলে হাদিস রাষ্ট্র ক্ষমতা চায় না।মতিউর রহমান মাদানীকে আমরা বলতে শুনেছি যে,"ইসলামের নামে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায় তাদের মাথায় ভেজাল আছে।রাসুল (সা.)এর নিকট রাষ্ট্রীয় শির্কের বয়ান ছিল না।"

তবে তারা একথা বলেন যে,নিজ বডিতে আগে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করুন।আল্লাহ যেদিন চায়বেন সেদিন ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে।

জবাবে আমরা এতটুকু বলতে পারি,মহান আল্লাহ বলেছেন,তোমাদের জন্য রাসুল(সা.)-এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।রাসুল (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ যুদ্ধ করেছেন।

প্রশ্ন হতে পারে, তিনি তো যেখানে প্রয়োজন কাফিরদের সাথে যুদ্ধ এবং সন্ধি করেছেন।আমরা তো মুসলমান।কার সাথে যুদ্ধ করব?
হযরত আবু বকর সিদ্দীক(রা.) খেলাফতে দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর মুরতাদদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন।প্রায় লাখো মুরতাদকে হত্যা করে ইসলামের আগাছা ছেটে দিয়েছিলেন।

তাবলিগ জামায়াত।তারা দাওয়াত দেন মুসলমানদেরকে এবং শুধু নামাজ পড়ার জন্য।এইটা ইসলামী হুকুমাত কায়েমের দাওয়াত কি না সে জবাব পাঠকের।

হেফাজতে ইসলাম।তারা রাজনীতি করে মজা পায় না।তবে ইসলামী হুকুমাত কায়েম করতে চায়।কিভাবে সেটা জানি না।
ইসলামী আন্দোলন(চরমোনাই)।ইসলাম কায়েমের জন্য তাদের কর্মসূচী আছে।গণতন্ত্রিক পদ্ধতিতে।কিন্তু তাদেরকে দেখা যায় না,বাতিলের সাথে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়াতে।বরং মিলেমিশে তাদের বসবাসের ইতিহাস বহু পুরোনো। 

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবের নিজেস্ব কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।ছাত্র শিবিরের প্রাইভেট কোচিং সেন্টারগুলোও সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে।কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি অঘোষিতভাব নিষিদ্ধ।এমনকি ছাত্রশিবির সন্দেহ পিটিয়ে হত্যা করার নজির নেহায়েত কম নয়।
ছাত্রশিবির মরুর বুকে ফুল ফোটাতে তাদের মেধা শ্রম, ঘাম ও বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে।মুরুর বুক মানে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়।এখানে ইসলামের কথা নিষিদ্ধ।জেনারেল শিক্ষা।একশতভাগ শিক্ষার্থী ইসলাম সম্পর্কে কোন ধারণা নেই।

অনৈসলামিক মন-মগজের দুরন্ত কিশোরের মন-মগজে ইসলামী চাষ করে বীজ অঙ্কুরিত করা চারটি খানি কথা নয়!

যে মন-মগজ বহু যুগ ধরে মরিচা ধরে আছে,যে হৃদয় অনৈসলামিক ঘূন পোকায় কুরে খেয়ে হৃদয়কে অযোগ্য করে তুলেছে সে হৃদয় ইসলামম দিয়ে মেরামত করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবর সে কাজটায় করে যাচ্ছে।

কিন্তু তারপরও বাতিল এবং অন্যান্য প্রতিটি ইসলামী সংগঠনের বিষাক্ত তীর জামায়াত শিববিরের দিকে।কিন্তু কেন?বাতিল আর অন্যসব ইসলামী দল মিলে জামায়াত শিবিরের বিরোধীতা করে?এর সহজ জবাব,বাতিল সাথে অবশ্যই তাদের ঐক্য রয়েছে।কি সেটা?
এদেশে ইসলামী হুকুমাত যেন কায়েম না হয় সে ঐক্যই।

ইসলামী হুকুমাত কায়েম হলে অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর ক্ষতি কি?ক্ষতি হল সেটা,বাপ দাদার ইসলামের দিন শেষ হয়ে যাবে,ব্যবসাও লাটে উঠবে এই ভয়।
----------------- 
লেখকঃ প্রবন্ধ লেখক কলামিস্ট ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments