সিজদাহর বিজ্ঞান।
ছোট থেকে আমার ব্রেনে সবসময় ঘুরত “ কেন নামাযের নিষিদ্ধ সময় আছে ? আশরাফুল মাখলুখাত হিসেবে আমার যখন ইচ্ছা রবের সামনে যাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু আল আলিম (মহাজ্ঞানী), আল হাকিম( পরম প্রজ্ঞাময়) ত খামাখা একটা জিনিস নিষিদ্ধ করবেন না।
অনেক খুজাখুজির পর যা উত্তর পেলাম!!
সূর্য সহ মহাজাগতিক সবকিছুতে থাকে কসমো ম্যা্গনেটিক ফিল্ড, আমাদের পৃথিবীতে আছে জিওম্যা্গনেটিক ফিল্ড, আর আমাদের শরীরে আছে বায়ো ম্যা্গনেটিক ফিল্ড। সিজদাই এসব ম্যা্গনেটিক ফিল্ড এর ক্রিয়া ঘটে, ফলে যদি শরীরে বিশেষ করে ব্রেন যেটা ঠিক কপালের পিছনে থাকে (একে ফ্রন্টাল লোব বলে এবং তা দেহের বৃদ্ধি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র) তাতে কোন আধান ঘাটতি( হতাশা) বা আধিক্য( উত্তেজনা) থাকলে সেটা পুরণ বা নিস্ক্রিয় করে দেয়। ফলে আমরা দীঘক্ষন সেজদা করার পর মাথা খুব হালকা আর মনে প্রশান্তি অনুভব করি। কিন্তু যখন সূর্য দ্বয়, সূর্যাস্ত ও সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে থাকে তখন কসমো ম্যা্গনেটিক ফিল্ড ও জিও ম্যা্গনেটিক ফিল্ড (সূর্যের কাছে দূরের অবস্থানের কারণে) বায়ো ম্যা্গনেটিক ফিল্ডের ক্ষতি হবে এমন অবস্থায় থাকে। তাই তখন দীঘক্ষন সিজদা করলে মেজাজ খিটখিটে, ক্লান্তি আর মাথা ঘুরা ভাব লাগে। তাই দিনের এই তিন সময়েই নামায পড়া নিষিদ্ধ বা হারাম বলা হয়েছে।
-------------------------
রেফারেন্স বই- সিজদাহর বিজ্ঞান ( জিয়াঊল হক)
0 Comments