জুমার দিন খুতবা এবং সালাত কি একই ব্যক্তির মাধ্যমে হওয়া আবশ্যক?
--------------🌐🌀🌐--------------
প্রশ্ন: জুমার দিন যে খতিব সাহেব খুতবা দিবেন তাকেই কি জুমার নামায পড়াতে হবে? একজন খুতবা দিয়ে অন্যজন নামায পড়ালে তা কি সহিহ হবে? আশা করি, এ বিষয়ে দলিল সহ বিশ্লেষণ মূলক জবাব দিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর:
জুমার দিন একজন খুতবা দিবে আর অন্যজন নামায পড়াবে –এটি সঠিক কি না এ বিষয়ে বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
তবে সঠিক কথা হল, এমন কোন শর্ত নাই যে, যে খুতবা দিবে তাকেই নামায পড়াতে হবে। অর্থাৎ যদি একজন খুতবা দেয় আর কোন সমস্যার কারণে অন্যজন নামায পড়ায় তাহলে তা সালাতের বিশুদ্ধতায় কোনই প্রভাব ফেলবে না। কেননা, খুতবা একটি ইবাদত আর নামায আরেকটি পৃথক ইবাদত। সুতরাং দুটি ভিন্ন ভিন্ন ইবাদত দুজনে বাস্তবায়ন করলে তা নাজায়েয হওয়ার কোন কারণ নেই।
বরং একই নামাযের মধ্যেই ইমাম সাহেবের বিশেষ কোন সমস্যার কারণে নামায চলাকালীন আরেকজনকে ইমামতির দায়িত্ব দিতে পারে। এতে যেমন নামায সহিহ হয় অনুরূপভাবে খুতবা আর সালাত আলাদা আলাদা ইবাদতে দুজন দায়িত্ব পালন করলে আরও যৌক্তিকভাবে তা সহিহ হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে আমরা বলব, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এমনটি করা ঠিক নয়। কোন ওজর-আপত্তি দেখা দিলেই কেবল এমনটি গ্রহণযোগ্য; অন্যথায় নয়। কেননা, আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাব যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগে যিনি খুতবা দিতেন তিনিই নামায পড়াতেন। ইচ্ছাকৃতভাবে তারা কেউই এর ব্যতিক্রম করেন নি। সুতরাং এটাই সাধারণ সুন্নতি নিয়ম ও সর্বোত্তম-এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিলে তখন খুতবা ও নামাযে ব্যক্তির পরিবর্তন বৈধ হবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, জুমার অনুরূপ দুই ঈদের খুতবার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
(উৎস: সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি আব্দুল্লাহ বিন বায রহ. এবং islamqa.info এর ফতোয়া অবলম্বনে লিখিত)
আল্লাহু আলাম।
-------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।
#abdullahilhadi
0 Comments