রাষ্ট্রশক্তি ও ধর্মের নামের ব্যাবসায়ী দলমওদুদী রহ: এর উপর ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ? মুহিউল ইসলাম চৌধুরী মাহিম।

রাষ্ট্রশক্তি ও ধর্মের নামের ব্যাবসায়ী দল,

মওদুদী রহ: এর উপর ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ? 

আল্লাহর রাসূলের পরে একজন সিদ্দীকে আকবর যেমন দরকার ছিলো  । সিদ্দীকে আকবরের পরে যেমন ওমর ইবনুল খাত্তাবের দরকার ছিলো । ওমরের পরে যেমন একজন উসমান ইবনে আফফানের দরকার ছিলো। উসমানের পরে যেমন আলী ইবনে আবি তালিবের দরকার ছিলো । (رضوان الله تعالى عليهم اجمعين)

অনুরূপভাবে সাহাবী তাবেয়ী এবং 

তবেতাবেয়ীদের পরে আমার মূল্যায়নে একজন সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহর দরকার ছিলো । তা না হলে এ জাতি ভুলতে বসেছিলো রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ামক শক্তি ইসলামের কাছে আছে । অর্থনীতি পরিচালনার নিয়ামক শক্তি ইসলামের কাছে আছে । 

মানুষের তৈরী কোন মতবাদ মানুষকে মুক্তির গ্যারান্টি দিতে পারেনা । 

তিনি তাঁর ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরলেন ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ সেতো চরম ধর্মহীনতা,পুঁজিবাদ সেতো শোষনের হাতিয়ার,সমাজতন্ত্র সেতো নিজেই আতুড়ঘরে আত্নহত্যাকারী তথা সংকীর্ণতা । জাতীয়তাবাদ সেতো আত্নার বম্দীশালা !  ইসলামই মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ । 

এতে ক্ষিপ্ত হলো সমকালীন রাষ্ট্রশক্তি । অপরদিকে ধর্মের নামের ব্যাবসায়ী দল । কারণ এই ধর্মীয় ব্যাবসায়ীরা কোরআনে বর্ণীত আহবার ও রুহবানদের মত আল্লাহ আর বান্দার মাঝখানে মধ্যস্বত্যভোগী হিসেবে মানুষের পকেট কাটতে শুরু করলো। 

সেই সকল কথিত পীর পূজার বিরুদ্ধে চালালেন কলমি অস্ত্রোপচার । 

কারণ দুঃখজনক হলেও সত্য সময়ের একটি বিশেষ মুহূর্তে এসে মুল্লা মুন্সিরা ইসলামকে মসজিদ,মাদ্রাসা আর খানকায় বন্দী করেছিলেন। কেউ কেউ তাবিজের ব্যবসা শুরু করেছিলেন ।

 

 হুজুরদের কাছে মানুষের আাসার কথা ছিলো মুসলিম দন্ডবিধি আইন (Islamic pinal system) জানার জন্য। 

হুজুরদের কাছে আসার কথা ছিলো মিরাসি আইন ( Law of Inheritance) জানার জন্য । 

হুজুরদের কাছে আসার কথা ছিলো চূরির শাস্তি কি হওয়া উচিত জানার জন্য । 

অথচ ছাগলের বাচ্চা হবে তার জন্য তাবিজ নিতে মানুষ হুজুরদের কাছে আসতে শুরু করলো । 

বউয়ের ভূত ছাড়ানোর জন্য মানুষ হুজুরদের কাছে আসতে শুরু করলো ।  কাকতাড়ুয়ায় বিসমিল্লাহ লিখার জন্য মানুষ হুজুরদের কাছে আসতে শুরু করলো। 

সবজি বাগানে দুষ্টচোখের দৃষ্টি ফেরাতে টিনের টুকরোয় আল্লাহু আকবার লিখে দেওয়ার জন্য মানুষ হুজুরদের কাছে আসতে শুরু করলো। 

আর হুজুররাও দু'পয়সা উপরি আয়ের আশায় তাবিজ তুমার দিতে থাকলেন । 

এ সব অপকীর্তির গোড়ায় আগুন দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ একজন মওদুদীকে পাঠিয়ে দিলেন । যে আগুন আজও জ্বলছে । তাঁর ইন্তেকালের চুয়াল্লিশ বছর পরেও আপনার এত পোড়ে কেন?

এখন আর আগের মত তাবিজ চলেনা। ধর্মের নামে কথিত বুজুর্গীর নামে রিলিজিয়াস ব্ল্যাকমেইল (Religious Blackmail) করা যায়না! তাই? ।