Recent Tube

কুরআনকে তো শিফা বলা হয়। তাহলে কোন কোন আয়াত শিফার জন্য তা কি নির্দিষ্ট আছে? আর মানসিক সমস্যার জন্য নাকি ইয়াসিন সুরা পড়তে হয়। এটা কি সহিহ? আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।


শিফা (রোগমুক্তি)-এর সূরাগুলো কী কী?

প্রশ্ন:
কুরআনকে তো শিফা বলা হয়। তাহলে কোন কোন আয়াত শিফার জন্য তা কি নির্দিষ্ট আছে? আর মানসিক সমস্যার জন্য নাকি ইয়াসিন সুরা পড়তে হয়। এটা কি সহিহ?
-------------------------
উত্তর:
কুরআনের মধ্যে অবশ্যই রোগমুক্তি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ۙ 
 “আমি কুরআনে এমন বিষয় নাজিল করি যা রোগের আরোগ্য এবং মুমিনের জন্য রহমত।” [সূরা আলে ইসরা/বনী  ইসরাঈল: ৮২] 
 তাই মানুষের বিভিন্ন ধরণের রোগ-ব্যাধি, মানসিক সমস্যা, দুশ্চিন্তা, জাদু-টোনা, জিনের আক্রমন ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যার জন্য কুরআনের আয়াত পড়ে ফুঁ দিলে সমস্যার সমাধান হয়। এটি সুপ্রমাণিত ও পরীক্ষিত সত্য।
তবে কুরআনের নির্দিষ্ট কোন আয়াত বা সূরাকে আয়াতুশ শিফা বলতে হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদিস থেকে তার পক্ষে প্রমাণ থাকতে হবে। দলিল ছাড়া বিশেষ কোন আয়াতকে শিফার আয়াত মনে করে ঝাড়ফুঁক করা বৈধ হবে না।

হাদিস দ্বারা ছয়টি সূরা রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক) এবং রোগ মুক্তির সূরা হিসেবে সুপ্রমাণিত। সেগুলো হল:
১) সূরা ফাতিহা
২) আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারার ২৫৫ নাম্বার আয়াত)
৩) সূরা বাকারর শেষ দুটি আয়াত।
৪) সূরাতুল ইখলাস
৫) সূরাতুল ফালাক
৬) সূরাতুন নাস। 
উৎস: kalemtayeb ওয়েব সাইট)
মানসিক সমস্যার জন্য ইয়াসিন সুরা পড়ার কথা আমার জানা মতে সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। আল্লাহ্ আলাম।
-------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল  দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
#abdullahilhadi

Post a Comment

0 Comments