Recent Tube

!কোন পথে দেশ!! মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।


                      !!কোন পথে দেশ!!

রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশটা যখন পশ্চিমাদের  ভূখন্ড নিয়ে। ভূখন্ড বলতে বোঝায়: রাষ্ট্রের স্থলভাগ, রাষ্ট্রের সমুদ্রসীমা এবং আকাশ সীমা। আমাদের বাংলাদেশ ভূরাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দেশ। সে হিসেবে আমাদের বাংলাদেশের গুরুত্ব বেশি। রাশিয়া চীন ভারত আমেরিকা সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল আমাদের বাংলাদেশ, সে ক্ষেত্রে সবার স্বার্থের নজর বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। 

বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ আমেরিকার কথা উঠে এসেছে এই লেখার শুরুতেই এই কারণে। 
কথা গুলো লক্ষ্য করুন: 
আমেরিকার ভূরাজনীতির পলিসি ফোরাম কখনও পরিবর্তন হয় না যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন আমেরিকায়। সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন? পূর্ব এশিয়া ভূরাজনীতির পলিসি ফোরাম তৈরি হয়েছে ট্রাম্পের সময় যার লক্ষ্যমাত্রা দুইশত বছর। এটি একটি সুপরিকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ডিপ্লোম্যাটিক পলিসি পরিকল্পনা। এসব আঞ্চলিক ভূরাজনীতির পলিসি নিয়ে ট্রাম্পের সময় অনেক দেশের সাথেই গোপন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ভূরাজনীতি আঞ্চলিক পলিসির জন্য পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্য কাতারে বসেই ডিপ্লোম্যাটিক পলিসি গুলোর কলকাঠি নাড়াচাড়া হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এসে ইন্দোনেশিয়াতে পূর্ব আঞ্চলিক পলিসির জন্য আলাদা অফিস স্থাপন করে, কাতার ও শারজা থেকে এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে। লেখাটি ছোট করার জন্য বিস্তারিত তুলে ধরলাম না। তবে ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো তুলে ধরা হলো: ভারত চীনের প্রভাব কে ভারসাম্য করার লক্ষ্যে টার্গেট ছিল বাংলাদেশ যেটিকে সহজভাবে বলি ভূরাজনীতি। 

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো: 
২০১৭ সালে ট্রাম ক্ষমতায় আসার ছয় মাসের মধ্যেই ভূরাজনীতির আঞ্চলিক পলিসি ফোরাম তৈরি করা হয়। পূর্ব আঞ্চলিক পলিসির জন্য আলাদা একটি পেন্টাগন অফিস গঠন করে, এই অফিসে বিভিন্ন দেশের এজেন্ট ছিল যার যার দায়িত্ব যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে গেছে। ১৮ সালে নির্বাচনের আগে একাধিকবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বিশেষ করে বিএনপির সাথে। তখন বিএনপি কে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা বিএনপি গ্রহন করেনি। 👈 এই কথাটি নোট করে রাখুন। জামায়াতে ইসলামী কে যে ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তখন ঠিক তারা ঐভাবে কাজ করে👈 এটিও নোট করুন। জামায়াত ইসলামের নিবন্ধন না থাকার কারণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়। ১৮ সালে বিএনপির জোট বরাবর কাজ করতো তাহলে পড়ে যেতো স্বৈরাচার। 
১৮ সালের ঘটনার পর পেন্টাগন সম্পূর্ণ ডিপ্লোম্যাটিক পলিসি পরিকল্পনা পরিবর্তন করে এবং জামায়াত কে বিএনপি থেকে সরানো হয়, কারণ বিএনপির সাথে থাকলে জামায়াত বরাবর কাজ করতে পারবে না।

সুপরিকল্পিত এগিয়ে যাওয়া টার্গেট ২৪ এর জাতীয় নির্বাচন: এই পলিসির মধ্যে ছিল কে কে তিন বাহিনীর প্রধান হবে, কাদের কে ব্যবহার করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি সহকারে এবং কেয়ারটেকার সরকার ডঃ ইউনূস। তখন সেনা প্রধান নিয়ে একটি লিষ্ট তৈরি হয় কাকে সেনা প্রধানে নিয়ে আসা হবে। তখন আমি নিজেই সেনা প্রধান তালিকায় আমার এক কাকা ও ফুফাতো ভাই কে যুক্ত করি, মিটিং এর সময় সাথে সাথে নাম দুটো কেটে দেয়। এর কারণ হচ্ছে শেখ হাসিনা আমাকে চিনে যার কারণে সেনা প্রধান হতে বাধা সৃষ্টি হবে।

টার্গেট ১৭-১৮ তম সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ ও ওয়াকার-উজ-জামান এই দুইজনের নাম উঠে আসে। এই দুইজন কে সেনা প্রধানে নিয়ে আসার জন্য কোন কোন অফিসার বাঁধা সৃষ্টি হবে এইজন্য অনেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে ও মেজর জেনারেল কে অবসরে পাঠানো হয়েছে রাস্তা পরিষ্কারের জন্য তার মধ্যে আমার কাকা ও ফুফাতো ভাই ছিল। এরপর পলিসি অনুযায়ী ১৭ তম সেনা প্রধানে আনা হয় এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে। ১৭ তম সেনা প্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ আসার পর প্রশিক্ষণ নামে সৈন্য মজুদ করা ইত্যাদি ইত্যাদি কাজগুলো করা হয়। 

এইগুলো করার আগে বিভিন্ন অনেক কাজ ছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল স্বৈরশাসকের ব্যাক্তিগত অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়া। টার্গেট শেখ হাসিনার মেয়ের জামাই মিতুকে, গ্রেপ্তার টাকা পয়সা সবকিছু জব্দ এবং নয়টি মামলা হয় এমনভাবে ফাঁসানো হয়েছে শেখ হাসিনা, পুতুল, শেখ রেহানা, এমপি মন্ত্রী সরকারি অফিসার সবগুলো এইখান থেকে বের হবার কোন বিকল্প পথ ছিল না। এই বিষয় নিয়ে তখন সরাসরি ভারত ও আরো কিছু দেশ হস্তক্ষেপ করে ছিল কোন লাভ হয়নি। 

এইগুলো আমরা আগে থেকেই জানতাম এইখানে হাত দিলে কোন কোন দেশ হস্তক্ষেপ করতে পারে, সে অনুযায়ী সবকিছুর কাজ হয়েছে। শেখ হাসিনা ও রেহানা এবং পুতুল কে শারজার কোর্ট পর্যন্ত এনে ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের টার্গেট ছিল তাদের কে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়া এই ছাড়া শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের আমেরিকা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে অনেকেই ধরে মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে অর্থনীতির। তখন শেখ হাসিনা একটি লিষ্ট করে এরা এরা আওয়ামী লীগের জন্য বিপজ্জনক তার মধ্যে আমার নাম ছিল ৭ নম্বরে। আমার পাসপোর্ট রেনু করতে দেওয়ার পর আর ফেরত দেয়নি। পাসপোর্ট ছাড়া আমি ভারত এবং মায়ানমার একাধিকবার ঘুরে এসেছি কাজ তো থামিয়ে রাখা যাবে না যেকোনো উপায়ে হোক স্বৈরাচার মুক্ত করতে হবে। 

২৪ নির্বাচন: 
২৪ সালে নির্বাচনের আগে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে কোন প্রকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছাড়া একটি সুন্দর পরিবেশ বজায় রেখে ভারসাম্য তৈরি করা। যেনো শেখ হাসিনা সকল দল অংশগ্রহণ সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে। এইজন্য পিটার হাস এবং আমেরিকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বহুবার মিটিং করে। ৯০% গুছিয়ে আনা হয়েছে আল্টিমেটাম অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। বিএনপি কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে - এক রকম করেছে আরেক রকম, তথ্য ফাঁস, ভারতে গিয়ে অমিত শাহ সাথে মিটিং, ইতিমধ্যে বিএনপির এক নেতার ছবি বাইরাল হয়েছে, ঐ ছবিটি তখনকার ছিল। সুন্দর একটি পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিকল্পনাটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে যায়। এই ঘটনাটি দরবেশ আটকের পর স্বীকার করে ২৪ এর নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা ছিল ভারত এবং কিছু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য হয়নি। 

যারা আমার পেজের সাথে নিয়মিত ছিল তারা আমার পোস্ট গুলো দেখেছেন। আমি সরাসরি ক্লিয়ার করে একাধিকবার বলেছি। আমরা একটি সোজা পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছি আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা, এইজন্য যা যা করতে হবে তাই করা হবে, শেখ মুজিবুর রহমান কবর থেকে উঠে আসলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। 
আমার অনেক লেখা রয়েছে তার মধ্যে কিছু অংশ লিংক নিচে দিলাম পড়ে দেখবেন এবং হিসাব মিলিয়ে দেখবেন তাহলেই আপনার উঃ পেয়ে যাবেন।👇
https://www.facebook.com/share/p/gNgX4qrhVio2EKZK/

https://www.facebook.com/share/p/zPwC9Dw4RdE7dHzi/

https://www.facebook.com/share/p/SzeYheEhnGSSwpbD/

https://www.facebook.com/share/p/qNukmceFanL83e1J/

https://www.facebook.com/share/p/d4riJxR6BQXRLLgT/

https://www.facebook.com/share/p/8PXBocR1Ncx7MPiL/

https://www.facebook.com/share/p/bkTWHcF9SZuTy4CU/

https://www.facebook.com/share/p/NLAAFKhsGECkppb6/
একবার নয় একাধিকবার ব্যর্থতার দায় নিতে হয়েছে পেন্টাগনের শুধু মাত্র বিএনপির কার্যক্রমের জন্য। আমরা বাধ্য হয়েছি পরিস্থিতি ভিন্ন ভাবে প্রবাহিত করার জন্য। যা উপরের লিংক গুলোর লেখাগুলো পড়ার পর বুঝতে পারবেন। 

এর পরের ধাপ গুলো আমরা আমাদের মতো করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে, অনেক বাধা উপেক্ষা করে ১৮ তম সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান কে নিয়ে আসা। এরপর ধারাবাহিক ভাবে সুপরিকল্পিত ভাবে ধীরে ধীরে ছাত্রদের মাঠে নামানোর সকল প্রকার নেতিবাচক গ্রহণ করা হয়। কারা নেত্রীত্বে থাকবে কিভাবে এটা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে, আন্তর্জাতিক মিডিয়া এ টু জেড সবকিছু। ২৪ এর আন্দোলনের সব চেয়ে বড় কমেন্ট ভূমিকায় ছিল জামায়াত এবং তারেক রহমান সাহেব।

জামায়াত কে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঠিক ঐভাবে তারা কাজ করেছে বিশ্বাসের সাথে। বিএনপি কে আমরা দূরে রেখেছি পূর্বের ঘটনার জন্য। পরিস্থিতিটা এমন ছিল যদি এইবার ব্যর্থ হতাম তাহলে আমাদের সমস্যা তো হতো এবং সাথে যারা আন্দোলনে ছিল তাদের জীবন, আন্দোলনের সময় মার্কিন দূতাবাস কে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তারপরও কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যায়, যার কারণে তড়িঘড়ি করে জামায়াত কে নিষিদ্ধ করে, স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ জামায়াত কে নিষিদ্ধ করার মূল কারণ ছিল এটি। এখন হয়তো বুঝতে পারছেন কি কারণে বিএনপির উপর ক্ষিপ্ত কূটনৈতিকরা! 

অবশেষে স্বৈরশাসকের হাত থেকে দেশ মুক্ত হলো আলহামদুলিল্লাহ। ৫ ইং আগস্ট রাতেই চেয়েছিল আওয়ামী লীগের মতো বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতাদের মেরে ফেলার। এটি অনুমতি দেইনি, এর মূল কারণ হচ্ছে তারেক রহমান সাহেব। আন্দোলনের সময় তার ভূমিকা ছিল অসাধারণ কূটনৈতিকরা সবাই মুগ্ধ হয়েছে তার সরাসরি নেত্রীত্ব অর্থ সহযোগিতা ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে। এইজন্য বিএনপি কে "চুকুডু" উপর ছেড়ে দিয়েছে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য। ২৪ এর স্বাধীনতার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি হ*ত্যার শিকার হন বিএনপির নেতাকর্মীরা এরপরেও বিএনপি পিছিয়ে রয়েছে এটি বিএনপির অনেক ভুলের কারণের জন্য, কারণ গুলো কি তা জনগণের সামনে উন্মোচিত এখন। 

যার কারণে আমি বারবার বলে আচ্ছি বিএনপিকে ভবিষ্যতে অনেক কিছুই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে, এটির সমাধান হচ্ছে সাংগঠনিক কাঠামো সঠিকভাবে মেরামত করা, তাহলেই বিএনপির জন্য শোভনীয় হবে। বিএনপি এতো বড় বড় ভুল করার পরেও মানবাধিক দিক থেকে চলতি মাসের শুরুতে প্রসাশন এবং জনগণের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফা একটি জরিপের রিপোর্ট আনা হয় তাও নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া এসেছে কূটনৈতিকদের কাছে।আমেরিকা রাশিয়া ভারত সরাসরি নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া, চীন ৫০%, আরো বেশি ক্ষেপে গেছে আওয়ামী লীগকে নিয়ে পজিটিভ কথাবার্তা বলার কারণে বিএনপির নেতাদের। আওয়ামী লীগকে লাল কালির মোহর মেরে দিয়েছে পেন্টাগন। যেই সাপোর্ট দিবে তারাই বিপদে পড়বে। 

আওয়ামী লীগকে এমনভাবে ধংস করে দেওয়া হবে তা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যাতে ভবিষ্যতে কেউ বলতে না পারে তাদের সাথে অন্যায় হয়েছিল। এটাতে যে-ই বাধাগ্রস্ত করবে সে শেষ। 

বারবার সতর্ক করে তারেক রহমান প্রতিটি মিটিং এ একটি কথা বলে এই সরকার কে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না! এর কারণ কি জানেন? কেন এই কথা বার বার বলে তারেক রহমান? 

তারেক রহমান নিজে জানে কোথায় কোথায় ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে সিনিয়র নেতাদের কারণে এবং ব্যর্থ হলে কি ধরনের বিপদে পড়বে সবাই। এটি ক্লিয়ার করে দেই: সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কে সরানোর চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ ভাবে মাথা থেকে মুছে ফেলো, ডঃ ইউনূস কেও সরানোর চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ ভাবে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দেও। 

এই সরকারকে সময় দিন কাজ করতে সংবিধান সংস্কার করার জন্য, এটাই সুযোগ সংবিধান সংস্কার করার, যাতে ভবিষ্যতে কোন দল বা কেউ এসে নিজের সম্পত্তি মনে না করে। যদি বাঁধা সৃষ্টি করে তখন সুনিশ্চিত থাকুন সামরিক শাসন দেওয়া হবে, যদি সামরিক শাসন দেওয়া হয় তাহলে আগামী দশ বছরের জন্য ভুলে যাও দেশে নির্বাচনের কথা এবং তোমারা একটাও রেহাই পাবেনা সবগুলো কে খুঁজে খুঁজে বের করে সোজা ভেতরে কোন জামিন নেই কোন প্রকার ছাড় নেই। 
উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি আপনাদের হাতে, কোন উপদেষ্টা যদি বিতর্ককারী হয় তার জন্য সেনা প্রধানের কাছে এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে বলুন সমাধান করে দিবে। এরপর আমি সবকিছু অনেক হিসাবনিকাশ করে শক্তিশালী কূটনৈতিকদের অনুমতি নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করে আমি বাংলাদেশের বানিজ্য কমিনিউটির ব্রিকসের সদস্য পদটি নিয়েছি। এটি কি ধরনের প্রভাব ফেলবে তা ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন, কোন দেশ হস্তক্ষেপ একক ভাবে না করতে পারে আমাদের দেশের উপর তাই এই পদে দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে আমার। 

আপনারা অনেকেই হয়তো মনে করছেন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানুয়ারীতে ক্ষমতায় বসার পর পরিবর্তন হবে! তাহলে চরম ভুল করবেন, ভূরাজনীতির পলিসি এক বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন হবে না। এই পরিবর্তন করা হয়েছে ললিপপ খাওয়ার জন্য নয় আর বসে বসে তামাশা দেখার জন্য নয়। কোন দল এবং প্রসাশন ও উপদেষ্টারা কে কি করতাছে তা নিয়মিত রিপোর্ট জমা হচ্ছে। 

হিংসা-দ্বেষশূন্য সমাজ ও একটি সুন্দর রাষ্ট্র সবার প্রত্যাশা। উদ্ভূত পরিস্থিতি চায় না দেশের জনগণ। পুঁজিবাদী সমাজের ভয়ংকর ও কুৎসিত চেহারা জনতা দেখতে চায় না দ্বিতীয় বার বাংলাদেশে।

অনেক কিছুই খোলাখুলি ভাবে বলা হয়েছে, সবকিছুই আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
আপনাদের সবার কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকবে এই সরকার কে ব্যর্থ হতে দিয়েন না। যদি ব্যর্থ হয় তাহলে বাধ্য হবে সামরিক দিকে নিতে, আর যদি সামরিক শাসন জারি করতে হয় তখন আপনাদের ছাড়বে না কেউই রেহাই পাবেন না, এটা মাথায় রাখবেন, কোন পথে দেশ যাবে সিদ্ধান্ত আপনাদের কাছে।
------------------------- 
১৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, 

Post a Comment

0 Comments