Recent Tube

মিয়ারে হক"' এর উপর ভর করে জাবারিয়াহ ফিরকার প্রাদুর্ভাবঃ মুহাম্মাদ তানজিল ইসলাম।

আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের বহির্গত একটি কুফুরী ফিরকা হল- জাবারিয়াহ। জাবার الجبر শব্দের অর্থ 'জবরদস্তি' বাধ্য করা, ক্ষমতা প্রয়োগ ইত্যাদি। জাবারিয়াহ ফিরকা বিশ্বাস করে মানুষের নিজেস্ব ইচ্ছাশক্তি বা কর্মশক্তি বলে কিছুই নেই। মানুষ যা করে তা করতে সে বাধ্য। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতে, আল্লাহ তা'য়ালা মানুষকে সৃষ্টি করে বিবেকবুদ্ধি সহ ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। সে ইচ্ছা করলে ভাল কাজ করতে পারে, আবার ইচ্ছা করলে খারাপ কাজও করতে পারে- আল্লাহ তা'য়ালা কোনো খারাপ কাজে বাধা দেবেন না আবার ভাল কাজে বাধ্যও করবেন না। তবে তার পুরুষ্কার বা শাস্তি আখিরাতে প্রদান করবেন। জাবারিয়াহ ফিরকার মতে, ভাল মন্দ কোনো কাজে মানুষের ইচ্ছাশক্তি নেই, তারা যা করে তা আল্লাহর ইচ্ছায় করে। তাই কোনো মন্দ/পাপ কাজের দায় মানুষের নয়, নাউযুবিল্লাহ! এটি একটি প্রাচীন কুফুরী ফিরকা হলেও 'মিয়ারে হক' এর উপর ভর করে বর্তমানে এ মতবাদের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
.
আল্লাহ তা'য়ালা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে লক্ষ্য করে বলেন,
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا.
"নিশ্চয় আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সত্যসহ, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে।" (সূরা বাকারাঃ ২/১১৯)
আল্লাহ তা'য়ালা মানবজাতিকে লক্ষ্য করে বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمُ الرَّسُولُ بِالْحَقِّ مِنْ رَبِّكُمْ فَآمِنُوا خَيْرًا لَكُمْ ۚ وَإِنْ تَكْفُرُوا فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا.
হে মানুষ, অবশ্যই তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সত্যসহ তোমাদের নিকট রাসূল এসেছে। সুতরাং তোমরা ঈমান আন, তা তোমাদের জন্য উত্তম হবে। আর যদি কুফরী কর, তবে নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনে যা রয়েছে, তা আল্লাহর জন্যই এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।" (সূরা নিসাঃ ৪/১৭০)
.
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হলেন, তাঁর উম্মতের জন্য একমাত্র 'মিয়ারে হক' তথা সত্যের মাপকাঠি। তাই তো আল্লাহ তা'য়ালা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেন এবং তাঁর ও তাঁর আনীত সত্য দ্বীনের প্রতি ঈমান এনে শর্তহীন ভাবে তাঁর আনুগত্য করতে সাহাবাগণ সহ বিশ্বের মানুষকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু দেওবন্দীদের একাংশ সাহাবাগণ (রা) কে সত্যের মাপকাঠি বলে মনে করেন, যা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত আকিদা। কেননা, এর দ্বারা সাহাবাগণ (রা) কে রিসালাতে আসনে বসানো হয়। আর সত্যের মাপকাঠি'র জন্য যেমন মাসুম হওয়া জরুরী, তেমনি তাঁর সকল কাজ হক বা সত্য হওয়া অপরিহার্য। কারণ যার কাজ বা মতাদর্শ দ্বারা সত্য মিথ্য, হক বাতিল পরিমাপ করা হবে তাঁর দ্বারা যদি বাতিল বা পাপ কর্ম সম্পাদিত হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে তিনি সত্যের মাপকাঠি বলে গণ্য হবেন?
.
গতকাল দেওবন্দী মতাদর্শী Khalid Binnury নামে এক আলেম আমার একটি পোস্টে দাবী করেছেন, সাহাবাগণ সত্যের মাপকাঠি! আমি বলেছিলাম, "সত্যের মাপকাঠি'র প্রধান অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য হল-তাঁর সকল কর্ম সত্য বা হক বলে প্রমাণিত। আর সকল সাহাবাগণের সকল কর্মকে সত্য বা হক বলার কোনো সুযোগ নাই।"
জবাবে তিনি বলেন, "সাহাবাদের সকল কর্ম হক না হলে তাদের অনুসরণ করার কথা কুরআনে কেন বলা হয়েছে?" (নাউযুবিল্লাহ!) অর্থাৎ তার দৃষ্টিতে সাহাবাগণ ভাল মন্দ যা করেছেন সব হক, সব ঠিক। অথচ সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, কতিপয় সাহাবাগণ দ্বারা কবীরা গুনাহ সম্পাদিত হয়েছে। যেমন, চুরি করা, মদ্যপান করা, যিনা করা ইত্যাদি। তাহলে, চুরি করা হক? মদ পান করা হক? যিনা করা হক? নাউযুবিল্লাহ! যদি হক বা বৈধ হয়, তাহলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদের শাস্তি দিয়েছিলেন কেন? কোন হারাম কাজকে কেউ বৈধ বা হক মনে করলে তার ঈমান থাকে? 
.
গত কয়েক দিন পূর্বে দেওবন্দী মতাদর্শী চরমোনাই পীরের মুরীদ মুফতি রেজাউল করীম আবরার সাহাবীদেরকে 'সত্যের মাপকাঠি' বানাতে গিয়ে মন্তব্য করেন যে, 'আল্লাহ ইচ্ছা করেই সাহাবীকে দিয়ে যিনা করিয়েছেন'। (নাউযুবিল্লাহিমিন জালিক!) ভ্রষ্ট মতবাদ "সাহাবাগণ সত্যের মাপকাঠি" প্রমাণ করতে এভাবেই প্রকাশ্যে পবিত্র সত্তা মহান আল্লাহর উপর এমন জঘন্য অপবাদ দিলেন মুফতি রেজাউল করিম আবরার। এটি জাবারিয়াদের কুফুরী আকিদা। কেননা, যদি আল্লাহই যিনা করিয়ে থাকে তাহলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেই পাপী সাহাবীকে শাস্তি দিয়েছিলেন কেন? না কি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একজন নিরোপরাধ ব্যক্তি শাস্তি দিয়ে জুলুম/অন্যায় করেছেন? (মাজা-আল্লাহ)
একটি ভ্রান্ত মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ তা'য়ালাকে অপরাধী(?) এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জালিম(?) সাব্যস্ত করলে তার ঈমান থাকে কি?
এই কুফুরী মতবাদ অনুযায়ী যদি কোনো অপরাধী চুরি করে, মদ্যপান করে, যিনা করে বলে, এর জন্য আমি দোষী নই। কেননা সাহাবাগণ 'সত্যের মাপকাঠি'। আর আমি তাঁদের 'সত্যের মাপকাঠি' দ্বারা পরিমাপ করে দেখলাম যে, এসব কাজ হক বা বৈধ। কেননা সাহাবাগণ এসব কাজ করেছেন। তাহলে নব্য জাবারিয়াহ ফিরকা কি জবাব দেবেন? না কি জাবারিয়াদের মত বলবেন, ভাল মন্দ কোনো কাজে মানুষের ইচ্ছাশক্তি নেই, তারা যা করে তা আল্লাহর ইচ্ছায় করে। তাই কোনো মন্দ/পাপ কাজের দায় মানুষের নয়, নাউযুবিল্লাহ! 
.
আর আমাদের পরিষ্কার জবাব হল- কোনো সাহাবী মিয়ারে হক বা সত্যের মাপকাঠি নন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-ই হলেন তাঁর উম্মাতের জন্য একমাত্র সত্যের মাপকাঠি। তিনিই মানুষের মাঝে ঠিক-বেঠিক, ন্যায়-অন্যায় ও হক-বাতিল পার্থক্যের মাপকাঠি। 
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদল ফেরেশ্তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলেন। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। একজন ফেরেশ্তা বললেন, তিনি ঘুমিয়ে আছেন। অন্য একজন বললেন, চক্ষু ঘুমিয়ে বটে, কিন্তু অন্তর জেগে আছে। তখন তারা বললেন, তোমাদের এ সাথীর একটি উদাহরণ আছে। সুতরাং তাঁর উদাহরণ তোমরা বর্ণনা কর। তখন তাদের কেউ বলল- তিনি তো ঘুমন্ত, আর কেউ বলল, চক্ষু ঘুমন্ত তবে অন্তর জাগ্রত। তখন তারা বলল, তাঁর উদাহরণ হল সেই লোকের মত, যে একটি বাড়ী তৈরি করল। তারপর সেখানে খানার আয়োজন করল এবং একজন আহবানকারীকে (লোকদের ডাকতে) পাঠাল। যারা আহবানকারীর ডাকে সাড়া দিল, তারা ঘরে প্রবেশ করে খানা খাওয়ার সুযোগ পেল। আর যারা আহবানকারীর ডাকে সাড়া দিল না, তারা ঘরেও প্রবেশ করতে পারল না এবং খানাও খেতে পারল না। তখন তারা বললেন, উদাহরণটির ব্যাখ্যা করুন, যাতে তিনি বুঝতে পারেন। তখন কেউ বলল, তিনি তো ঘুমন্ত, আর কেউ বলল, চক্ষু ঘুমন্ত, তবে অন্তর জাগ্রত। তখন তারা বললেন, ঘরটি হল জান্নাত, আহবানকারী হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 
فَمَنْ أَطَاعَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ وَمَنْ عَصَى مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَقَدْ عَصَى اللهَ وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم فَرْقٌ بَيْنَ النَّاسِ.
অতএব, যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করল, তারা আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবাধ্যতা করল, তারা আসলে আল্লাহরই অবাধ্যতা করল। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন মানুষের মাঝে (হক-বাতিল) পার্থক্যের মাপকাঠি।" (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৭২৮১)
.
সাহাবাদের কেউ কখনোই নিজেকে 'সত্যের মাপকাঠি' বলে দাবী করেননি, বরং তাঁরাও সর্বদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে সত্যের মাপকাঠি হিসাবে মেনেছেন। তাই তো স্বীকৃতি স্বরূপ সাহাবাগণ (রা) কোনো কিছু জিজ্ঞাস করতে বা বলার সময় প্রায়ই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে মেনশন করে বলতেন,
وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ....
"যে সত্তা আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর শপথ...।" (উদাহরণ স্বরূপ দেখুনঃ- সহীহ বুখারী হাদীস নং ৭৫৭, ৭৯৩, ১৪৭২, ২৬৬১, ২৭৫০, ২৮০৬, ৩০২০, ৩১৪৩, ৩৮৭২, ৩৯৭২, ৪৭৫০; সহীহ মুসলিম হাদীস নং ১২, ৩৯৭, ১৪৯৩, ১৪৯৮, ২০৩৮, ২০৫৪, ২০৫৫, ২৪৯০, ২৭৭০; তিরমিযী হাদীস নং ১৮৯, ৩০৩, ৬১৯, ১২০২, ২৪৬৩, ২৪৭৭, ৩১৭৯; আবু দাউদ হাদীস নং ৪৯৯, ৮৫৬, ১৩৯৯, ১২১৩, ২২৫৪, ৪৩৫৪, ৪৫৯৫, ৪৭৫৯; নাসায়ী হাদীস নং ৪, ৮৮৪, ১২২৮, ২০৯১, ৩৩২০, ৩৪৭৩, ৪৭৫৭; ইবনে মাজাহ হাদীস নং ১৬৭১, ২০৬২, ২০৬৭, ২৬৪৯; মুসনাদে আহমদ হাদীস নং ১৮৩, ৩৭০২, ৪৩৬৩, ৪৬৭৯, ৪৯৮৯, ৬৫৩৯, ৬৫৬৬, ৯৩৬২, ১০৩০১, ১২০৪৮, ১২৫৯৯, ১৩২৭২, ১৮৭৬৪...)
-----------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি  চিন্তাবিদ, গ্রন্থ প্রনেতা, ও মাওলানা।

Post a Comment

1 Comments

  1. হায়রে কপাল পোড়া লেখক!!!!আপনার উদ্বৃত্ত আয়াত ও হাদিসের ব্যাখা মোটে ও শুদ্ধ নয়!মাওঃমওদুদির করা ব্যাখা না করে অনন্য সকল মুফাসসিরীনরা যে ব্যাখা করেছেন সেগুলো বাদ দিলেন কেন?আইম্মায়ে আরবা'য়াদের ব্যাখা ও বাদ দিলেন কেন?মূলত গোজামিল ব্যাখার উদ্দেশ্য কি?
    মি'য়ারে হক বা সত্যের মাপকাঠি বলতে বুঝানো হয় যে, সাহাবায়ে কেরামগণ হক ও হক্কানিয়্যাত, দ্বীন ও ঈমানের ক্ষেত্রে যে মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তা দ্বীনে হক বুঝার মানদণ্ড। তারা যেভাবে দ্বীনকে বুঝেছেন, যেভাবে দ্বীনকে পালন করেছেন, সেভাবেই উম্মতে মুসলিমা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের অনুসরণে পালন করে যাবে।
    দ্বীনী কোন বিষয় আসলে, উক্ত বিষয়ে সাহাবাগণ কোন অর্থে বা কিভাবে তা করেছেন, তা অনুসরণ করা উম্মতের জন্য সঠিক ও যথার্থ আমলের মূল নিক্তি হবে।
    সকল সাহাবাগণই হক বা সত্যের মাপকাঠি।
    কুরআন ও হাদীসের মাঝে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ বিদ্যমান। যেমন-

    أُولَٰئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا ۚ لَّهُمْ دَرَجَاتٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ [٨:٤]
    তারাই হল সত্যিকার ঈমানদার! তাদের জন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রুযী। [সূরা আনফাল-৪]

    فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوا ۖ وَّإِن تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ ۖ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ ۚ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ [٢:١٣٧]
    অতএব তারা যদি ঈমান আনে, তোমাদের ঈমান আনার মত, তবে তারা সুপথ পাবে। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তারাই হঠকারিতায় রয়েছে। সুতরাং এখন তাদের জন্যে আপনার পক্ষ থেকে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। [সূরা বাকারা-১৩৭]

    وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ [٢:١٣]
    আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না। [সূরা বাকারা-১৩]

    أُولَٰئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مِّنْهُ ۖ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ۚ أُولَٰئِكَ حِزْبُ اللَّهِ ۚ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ [٥٨:٢٢]
    তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে। [সূরা মুজাদালা-২২]

    হাদীসের কিতাবের মাঝে যে সনদ আছে। মুহাদ্দিসীনে কেরাম সনদের প্রতিটি রাবীদের বিষয়ে কালাম করলেও সাহাবাগণের ক্ষেত্রে জারাহ তা’দীলের কিতাবে কোন কালাম নেই। বরং সকলের ঐক্যমত্ব হলো, সকল সাহাবীগণই ন্যায়নিষ্ঠ। [মিরকাত-৫/৫১৭, উমদাতুল কারী-২/১০৫]
    সুতরাং সকল সাহাবাগণই সত্যের মাপকাঠি। দ্বীন বুঝার মানদণ্ড। হকের উপর চলার আলোকবর্তিকা।

    ReplyDelete