Recent Tube

ইসলাম বিদ্বেষীদের হজ্জ ও কুরবানীর উপর আক্রমণ: আমাদের জবাবঃ মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।

ইসলাম বিদ্বেষীদের হজ্জ ও কুরবানীর উপর আক্রমণ: আমাদের জবাবঃ
-------------------------------------
      ইসলামের পরাশক্তি ইসলামের বিজয়কে ঠেকাতে বিভিন্ন ভাবে ইসলামের বিভিন্ন বিধি বিধানের অযৌক্তিক সমালোচনা করে থাকে। তারা ইসলামের আলো মুখের ফুঁ দিয়ে নিভানোর জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিতায় প্রতি বছর হজ্জ ও কুরবানীর সময় তারা এ দু'টি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের বিরুদ্ধে সুন্দর সুন্দর নসীহত করে। তাদের দাবী 'প্রতি বছর হজ্জ ও কুরবানীতে কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়! হজ্জ ও কুরবানী না করে সেই টাকাগুলো দিয়ে জনকল্যাণ অথবা জাতীয় উন্নয়নমূলক কোন কাজে ব্যয় করা জরুরী!'
.
জবাব- ১:
(ক) যে সকল বক্তা ও লেখক হজ্জ ও কুরবানী না করে সেই টাকা দিয়ে জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যয় করার নসীহত করেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব, আপনারা কি মুসলিম না কি অমুসলিম? যদি নিজেদের মুসলিম দাবী করেন তাহলে শুনুন, একজন মুসলিম তখনই প্রকৃতপক্ষে মুসলিম হবে যখন সে আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমার্পণ করবে। 
মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلۡبَيۡتِ مَنِ ٱسۡتَطَاعَ إِلَيۡهِ سَبِيلٗاۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ ٱلۡعَٰلَمِينَ.
মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ করা তার (পক্ষে) অবশ্য কর্তব্য। আর যে অস্বীকার করবে (সে জেনে রাখুক যে), আল্লাহ জগতের উপর নির্ভরশীল নন। (সূরা আলে ইমরান: ৩/৯৭)
.
(খ) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
«بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَحَجِّ البَيْتِ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ»
“ইসলামের (রোকন) ভিত পাঁচটি জিনিসের উপর স্থাপিত আছে। (১) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত মহাপুরুষ, (২) নামায কায়েম করা, (৩) যাকাত  প্রদান করা, (৪) বায়তুল্লাহর হজ্জ করা এবং (৫) রমযানের সিয়াম (রোযা) পালন করা।” (সহীহ বুখারী হাঃ ৮, সহীহ মুসলিম হাঃ ১৬, তিরমিযী হাঃ ২৬০৯, ইবনু মাজাহ হাঃ ৫০০১, আহমাদ হাঃ ৪৭৮৩, ৫৬৫৯, ৬০২২, ৬২৬৫, রিয়াযুস স্বালিহীন হাঃ ১০৮২; সংগ্রহীত: আমার সংকলিত, 'নির্বাচিত হাদীস' পৃঃ ১৭ ) আপনাদের কি অধিকার আছে ইসলামের পাঁচটি মূল পিলারের একটি হজ্জের যৌক্তিকতা নিয়ে কথা বলার? যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা'য়ালা সামার্থ্যবান মুসলিমদের উপর হজ্জ কে ফরজ করেছেন। 
.
(গ) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 
مَنْ حَجَّ لِلَّهِ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ-
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ্জ পালন করল এবং কোন অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচার করল না, সে ব্যক্তি ঠিক ঐ দিনকার মত (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।” (সহীহ বুখারী হাঃ ১৫২১, সহীহ মুসলিম হাঃ ১৩৫০, তিরমিযী হাঃ ৮১১, নাসায়ী হাঃ ২৬২৭, ইবনু মাজাহ হাঃ ২৮৮৯, আহমাদ হাঃ ৭১৩৬, ৭০৯৬, দারেমী হাঃ ১৭৯৬, ইবনে শায়বা হাঃ ১২৬৪০, ইবনে খুযাইমা হাঃ ২৫১৪, ইবনে হিব্বান হাঃ ৩৬৯৪, শুয়াবুল ঈমান হাঃ ৩৭৯৪, মিশকাত হাঃ ২৫০৭; সংগ্রহীত: 'নির্বাচিত হাদীস' পৃঃ ২২) যদি আপনারা মুমিন হন, তাহলে বলেন তো হজ্জের মাধ্যমে মুসলিমরা তাদের সব গুনাহ মাফ পাবার যে দুর্লভ সুযোগ পান তা কোন টাকার হিসাবে পরিমাপ করতে পারবেন? 
.
(ঘ) আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
ﻓَﺼَﻞِّ ﻟِﺮَﺑِّﻚَ ﻭَﭐﻧْﺤَﺮْ
অতএব তোমার রবের উদ্দেশ্যেই সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর।
(সূরা কাউসারঃ ১০৮/২)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ 
ﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﺳَﻌَﺔٌ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻀَﺢِّ ﻓَﻠَﺎ ﻳَﻘْﺮَﺑَﻦَّ ﻣُﺼَﻠَّﺎﻧَﺎ-
যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদের মাঠের কাছেও না আসে।
(ইবনে মাজাহ হাঃ ৩১২৩; মুসনাদে আহমদ হাঃ ৮০৭৪; মুস্তাদরাকে হাকীম:৪/২৫৮; সহীহুত তারগীব:১/২৬৪। ইমাম হাকীম ও ইমাম যাহাবী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
.
(ঙ) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা) যে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার আপনারা কই পেলেন? আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْۗ وَمَن يَعْصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَٰلًا مُّبِينًا-
আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই  পথভ্রষ্ট হবে।
(সূরা আহযাবঃ ৩৩/৩৬) 
সুুতরাং মুসলিম হিসাবে জীবনযাপন করতে চাইল আপনারা তওবাহ করে ঈমান নবায়ন করুন! কেননা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা) এর সিদ্ধান্ত বা নির্দেশের বিরোধীতা করে মুসলিম থাকা যায় না।
.
জবাব- ২: 
(ক) যদি আপনারা অমুসলিম, নাস্তিক বা অন্য ধর্মের লোক হন তাহলে আমরা বলব, ইউরোপ এবং আমেরিকার কোনো কঠোর জড়বাদীকেও আপনারা এ কথা স্বীকার করাতে পারবেন না যে, প্রতি বছর বড় দিনের উৎসবে সমগ্র খ্রিষ্টান জগত যে কোটি কোটি টাকার অর্থ ব্যয় করে সেগুলো 'অর্থের অপচয়'। বরং আপনাদের কথাকে পুনর্বার আপনাদের মুখে ছুড়ে মারবে। আর আপনাদের তাদের বিষয়ে মাথা ঘামাতেও দেখা যায় না। শুধু মাথা ঘামান ইসলামের উপরে! কিন্তু কেন?
.
(খ) হিন্দুদের পূঁজার উৎসবে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়, সেটা আপনাদের দৃষ্টিতে অর্থের অপচয় হয় না? যখন বাংলাদেশ সরকার তাদের মূর্তি পূঁজার জন্য কোটা কোটি টাকা হিন্দদের হাতে তুলে দেন, তখন আপনারা সরকারকে নসীহত করতে পারেন না? বলতে পারেন না মূর্তি পূঁজার পিছনে কোটি কোটি টাকা অপচয় না করে জনকল্যাণে ব্যয় করুন! যখন সরকারের টাকায় হিন্দুরা মূর্তির পিছনে কোটি কোটি টাকার অর্থ অপচয় করে তখন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না কিন্তু যখন মুসলিমগণ তাদের নিজের টাকায় হজ্জ ও কুরবানী তখন বিরোধীতা করেন কোন অধিকারে?
.
(গ) তাছাড়া কুরবানীতে 'অর্থের অপচয়' এর তাৎপর্যই বা কি? যেসব লোকেরা পশু পালন করে এবং তার ব্যবসায় করে, কুরবানীর জন্য ক্রীত পশুর মূল্য তাদের পকেটেই প্রবেশ করে। একে যদি 'অর্থের অপচয়' বলা হয়, তাহলে দেশের সমস্ত দোকান পাট ও কেনা বেচা বন্ধ করে দিতে হবে। কেননা সেখানে জিনিসপত্র ক্রয় করা দরুন প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার 'অর্থের অপচয়' হয়! তদুপরি পশু ক্রয় করে কি তা নষ্ট করা হয়? না কি তার গোশত মানুষেই খায়? তবুও যদি একে 'অর্থের অপচয়' বলা হয়, তাহলে সারা বছর মানুষের খাদ্যের জন্য যা কিছুই ব্যয় করা হয়, যে কোন প্রকারেই হোক তার পথ রোধ করা উচিত! কিন্তু আপনারা তা কি করেন?
.
(ঘ) আপনারা মানবসেবার কথা বলেন, জেনে রাখুন! এই দেশে এমনও অনেক গরীব দুঃখী মানুষ আছে যারা সারা বছরে এক বারও মাংস কিনে খেতে পারে না। কিন্তু তারা ঈদুল আযহার কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত হয় না। কেননা আল্লাহ তা'য়ালা কুরবানীর মাংস দরিদ্রদের খেতে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ 
فَكُلُوا۟ مِنْهَا وَأَطْعِمُوا۟ ٱلْبَآئِسَ ٱلْفَقِيرَ 
অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ দরিদ্রকে খেতে দাও’। (সূরা হজ্জ: ২৩/২৮)
এই মহৎ কাজও যদি মানবসেবা না হয় তাহলে মানবসেবা কোনটি? 
.
(ঙ) এবার আসুন আপনাদের হজ্জের আর্থিক থিওরি বিবেচনা করি। আপনারা জনগণের কল্যাণের কথা বলেন, ভালো কথা। কিন্তু সেটা কেন মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব হজ্জের পরিবর্তে করতে হবে? কেন আপনারা দুর্নীতির কথা বলছেন না? মাত্র এক বছরে এ দেশে কোটি কোটি টাকার দূর্নীতি হয়। তা দিয়ে কি কি জনকল্যাণমূলক কাজ করা যায় সেসব নিয়ে আলোচনা করেন। (যদি পারেন?) পূঁজিবাদী অর্থনীতির জন্য গরীবববড় এখন আরো গরীব হচ্ছে, ধনী আরো ধনী হচ্ছে। সমাজের সব স্তরে এখন অবিচার ও অসাধুতা বিরাজমান।
.
(চ) দুটি দল গণতন্ত্রের নামে দেশকে বছরের পর বছর লুট করছে এবং অরাজকতা করছে। আসলেই কি এটা গণতন্ত্র? নাকি গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র? কেন আপনারা সে সব দূর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিলাসী জীবনযাপনেরর কথা বলেন না?  যারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে মানুষের টাকা লুট করে। এদের এসব সম্পদ জনগণের কি কি কল্যাণে ব্যয় করা যেত? তা বলেন না কেন? কেন আপনারা সম্পদের সুষম বণ্টনের কথা বলেন না? সম্পদের সুষম বণ্টন হলে একটা মানুষেরও মৌলিক চাহিদা অপূর্ণ থাকতো না। 
.
(ছ) ইসলাম সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করেছে। মানুষের জন্য ইসলাম একটি নিছক ধর্মই নয় বরং পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। সবার অধিকার সংরক্ষণে ইসলাম সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে। যেসব জনকল্যাণমূলক কাজের কথা আপনারা বলছেন, সেটার ব্যয় নির্বাহ করার দায়িত্ব সবার আগে সরকারের উপর বর্তায়। সরকার যদি তা করতে না পারে, তবে ক্ষমতা তাদের হাতে দিক, যারা তা চালাতে পারে। ঈদ আনন্দের এসব ফেরেববাজির কথা না বলে, সেসব লেখক ও বক্তাদের আমরা পরামর্শ দিব, সরকারকে যাকাত ব্যবস্থা প্রবর্তন করে জনগণের জন্য কিছু করতে পরামর্শ দিতে। কিন্তু তারা তা করবেন না।  আসলে তারা যদি যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি চালু করতেন, তবে দীন ও ঈমান যেমন রক্ষা হতো, তেমনি সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সঠিক সমাধান হয়ে যেতো। যাকাতের কথা বললে তাদের মনে হয়, এই বুঝি ইসলাম কায়েম হয়ে গেল। এই বুঝি চুরি করার সব সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে গেল।
.
(জ) আফসোসের বিষয়! যে দেশে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। মুষ্টিমেয় ব্যাংক থেকে লুটে নেয় ২০ হাজার কোটি টাকা। এক শেয়ার বাজার থেকেই যে দেশে ২০ হাজার কোটির বেশি টাকা লুট হয়, ক্যাসিনো সহ যে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন ভাবে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়, সে দেশে ফরজ ওয়াজিব পালনে বিশ্বাসী মানুষের খরচ করা অর্থের অংক নিয়ে পেরেশানি দেখে বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয় এরা শুধু জ্ঞান পাপীই নয় বিবেক প্রতিবন্ধীও বটে। যে দেশে শীর্ণ দেহে রোদে পুড়ে ঘর্মাক্ত হয়ে কামানো হত দরিদ্র কোন ব্যক্তির টাকার ছিনতাই হলে তার প্রতিকার করা হয় না। দেশের সর্বোচ্চ (এমপি, মন্ত্রী) পদে বসা কোন কোন ব্যক্তি অনাথ ও নিঃস্ব লোকদের জন্য আসা টাকা, ত্রাণের টিন, বস্ত্র, খাদ্য ইত্যাদি মেরে দেন, সে দেশে গরীবদের সহযোগীতার নামে আল্লাহর ইবাদত বাদ দেওয়ার মতলবি নসীহত বড়ই বেসুরো শোনায়।
.
বিঃদ্রঃ আজ যদি আমাদের দেশে দ্বীন ইসলাম কায়েম থাকতো, তাহলে ইসলাম বিরোধীরা হজ্জ ও কুরবানীর মত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের উপরে এমন কথা বলতে সহস করতো না।
------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা ও মাওলানা।         

Post a Comment

0 Comments