Recent Tube

ঘরে ঘরে চাকরি: প্রতিশ্রুতি ও প্রাপ্তিঃ মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।

       
               -------------------------------------
এখন বেকার লোকদের কথা কেউ ভাবে না, বেকারদের পাশে আজ আর কেউ নেই। যদিও একটি দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাঁধা বেকার সমস্যা। বেকার সমস্যার সমাধান করতে না পারলে সে দেশ কখনোই এগুতে পারে না। শিক্ষিত বেকারদের কর্মস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মত সমার্থ একটি দেশের সরকার বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশ সরকার রাখেন। যার কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'ঘরে ঘরে চাকরি' দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তার ক্ষমতায় বসা প্রায় এক যুগ হলেও তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, বাংলার মানুষের অধিকার চাই।" প্রধানমন্ত্রীও প্রায় বলেন, এদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীর এটিও জানার কথা যে, পরিবারের ভরণপোষণ চালাননোর জন্য একজন শিক্ষিত ব্যক্তির চাকরি পাওয়া তার অধিকার। আর শুধু মানুষের নয় বরং অাল্লাহর যে কোন সৃষ্টি জীবের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আল্লাহর নিকট জুলুম। তাই তো অর্ধ পৃথিবীর শাসক আমিরুল মু'মিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত উমার (রা) বলতেন-
لوعثرت بغلة في العراق لظننت أن الله سيسألني عنها: لم لم تسولها الطريق يا عمر.
"ইরাকেও যদি রাস্তায় চলতে গিয়ে কোন খচ্চর পা পিছলে যায় সে জন্য আল্লাহ তা'য়ালা (আখিরাতে) আমাকে প্রশ্ন করবেন: হে উমার! কেন তুমি এর চলার জন্য রাস্তাটি সমান করে দিলে না?" (হিলয়াতুল আউলিয়া: ১/৫৩)
.
বড় অাশা নিয়ে পিতামাতা তাদের সন্তানদের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ শিক্ষিত করে তুলেন। একটি ছেলের বাবা তার পরিশ্রমের সকল টাকা ব্যয় করেন, প্রয়োজনে জমি জায়গাও বিক্রি করে প্রায় নিঃস্ব হয়ে যান এই ভেবে যে, এক সময় তার এ ছেলে তাকে খাওয়াবে, তার সংসার চালাবে। এতো পরিশ্রম ও অর্থের বিনিয়ে অনার্স, মাস্টার কমপ্লিট করেও যখন ছেলে বেকার থাকে, সংসারের ভরণপোষণ বহন করতে পারে না তখন সংসারে অশান্তির তুফান নেমে আসে। একজন যুবক শিক্ষিত সন্তান হওয়ার পরেও বাবা মার উপকারে আসতে না পারা, সংসারের হাল ধরতে না পারার কষ্ট তার কাছে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার কারণ হয়। নিজের অধিকার চাকরি না পেয়ে অনেকে পা পাড়ায় অন্যায় অপকর্মে। তাই আমি এদেশের সকল বেকার ভাইদের পক্ষ হয়ে বিনয়ের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করছি, আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আত্মার শান্তি কামনায় আপনি এ বছর মুজিব শতবর্ষে দল মত নির্বিশেষে ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিন এবং তা ঘোষণা দিয়ে পূর্বের প্রতিশ্রুতি পূরুণ করুন। এতো লোকের চাকরির ব্যবস্থা করা যদি এই মুহূর্তে আপনার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাড়ায় তাহলে একজনের চাকরি ও বেতন দুই তিন জনকে ভাগ করে দিন। এতেও বেকার লোক উপকৃত হবে। আপনার দিকে তাকিয়ে আছে বাংলার হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক। আপনি ভাবুন তাদের জীবনের কথা, প্রতিষ্ঠিত করুন তাদের অধিকার।

Post a Comment

0 Comments