Recent Tube

সত্যের মাপকাঠি: জামায়াতে ইসলামী বনাম ওলামায়ে দেওবন্দীঃ Tanzil Islam.

সত্যের মাপকাঠি: জামায়াতে ইসলামী বনাম ওলামায়ে দেওবন্দীঃ

জামায়াতে ইসলামী'র গঠনতন্ত্রে লিপিবদ্ধ আছে যে, "রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছাড়া অপর কোনো মানুষকে সত্যের মাপকাঠি মানবে না এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছাড়া কাউকে যাচাই বাছাই এর ঊর্ধে মনে করবে না। কারো মানসিক গোলামীতে নিমজ্জিত হবেনা। আল্লাহর নির্ধারিত এক পূর্ণাঙ্গ মাপকাঠিতে প্রত্যেককে যাচাই করবে ও পরখ করে নিবে। এ মাপকাঠির বিচারে যে যে মর্যাদায় পড়বে, তাকে ঐ মর্যাদা দান করবে।" (জামায়াতের গঠনতন্ত্রঃ-ধারা: ৩ উপধারা: ৬)
.
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যোগ্য উত্তরসূরী, ইকামতে দ্বীনের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বীর মুজাহিদ,  মুহতারাম উস্তাদ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদূদী (রাহঃ) এর এ কথাটি জামায়াতে ইসলামী'র গঠনতন্ত্রে প্রকাশ পেতেই একশ্রেণীর আলেম মূল্যবান এ কথাটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উপলব্ধি করা এবং এর ব্যতিক্রম পন্থায় ইসলামের ক্ষতির দিকটি চিন্তা না করেই সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে হৈ চৈ শুরু করে দেন।
তখন আল্লামা মওদূদী রাহঃ চিন্তা করলেন জাহেলদের কথার একটা জওয়াব দেয়া দরকার। মূলত জাহেলদের কে শিক্ষা দেয়া না, নিজের কথার ব্যাখ্যা জারী রাখা। কারণ তিনি উদ্ভট এবং মূর্খতায় পরিপূর্ণ কোন কথা বা প্রশ্নের উত্তর দিতেন না। আপনারা যারা উঁনার রাসায়েল ও মাসায়েল এবং তাফহিমাত পড়েছেন তারা দেখবেন যে তিনি কোন অর্বাচীন, মূর্খ, গোঁয়ারের কথার উত্তর দিতেন না। পরিষ্কার বলতেন যে, এগুলো সম্মন্ধে আলোচনার দরকার নেই। কারণ তারা এগুলো বুঝেনা। তো, তিনি চাইলেন গঠনতন্ত্রের এই ধারাগুলোর ব্যাখ্যা করতে।
.
সুপ্রিয় বন্ধুগণ! তিনি এর যে ব্যাখ্যা দেন তা তরজমানুল কোরআন, রাসায়েল ও মাসায়েল, জিলদ ৫৬-সংখ্যা: ৫ এ পাওয়া যায়। তিনি বলেন,
"আমরা সত্যের মাপকাঠি বলতে ঐ বস্তুকে বুঝাই যার সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করা সত্য (হক) এবং যার পরিপন্থী হওয়া মিথ্যা (বাতিল) বলে সাব্যস্ত হয়। এই দৃষ্টিতে সত্যের মাপকাঠি আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসুল (সাঃ) সুন্নাত। সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি নন। বরং তারা তাঁর কিতাব ও সুন্নাতের মাপকাঠিতে পুরাপুরি উত্তীর্ণ প্রমাণিত হয়েছেন।" 
তিনি আরোও বলেন, "কিতাব ও সুন্নাতের আলোকে যাচাই করে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি যে, সাহাবীদের মহান দলটি পুরোপুরি সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত এজন্যই তাদের ইজমা(সম্মিলিত মত) আমাদের নিকট শরীয়তের অন্যতম দলিল। কেননা আমাদের মতে কিতাব ও সুন্নাতের সামান্যতম বিরোধী কোনো বিষয়ে একমত হয়ে যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।"
অতপর এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, "তানকীদ শুধু অর্থ দোষচর্চা করা বা ছিদ্রান্বেষণ করা- এটা কোনো মূর্খ ব্যক্তি বলতে পারে কিন্তু যিনি প্রকৃত আলেম তিনি তানকীদ মানে এ অর্থ বুঝবেন না। আসলে সমালোচনা অর্থ-মূল্যায়ন করা, পরীক্ষা করা, যাচাই-বাছাই করা, পরখ করা।"
.
কিন্তু এরপরেও আমাদের কতিপয় দেওবন্দী ভাইয়েরা আল্লামা মওদুদী (রাহঃ) এর বিরোধীতায় জিদ ধরে আছে। অথচ স্বয়ং দেওবন্দীদের বাঘা বাঘা আলেমগণই (যারা ওলিপুরীর মত চুনাপুঁটি নন, তাঁরাই) আল্লামা মওদুদী (রাহঃ)-এর এ মতকে প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেখুনঃ -
.
(১) নুদওয়াতুল মুসান্নিফিন -এর সদস্য এবং দেওবন্দের বিশিষ্ট আলেম উস্তাদ মাওলানা বদরে আলম মদনী (রাহঃ) তাঁর গ্রন্থ তরজুমানুস সুন্নাহ-তে বলেন, 
"রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ফায়সালা ছাড়া আর কারো ফায়সালাকে আল্লাহর ফায়সালা বা হুকুম বলা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কথা ছাড়া অপর কোনো মানুষের ফায়সালা সমালোচনার ঊর্ধে হতে পারে না। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছাড়া প্রতিটি লোকের সিদ্ধান্তকে সর্বান্তকরণে স্বীকার করে নেওয়া অনিবার্য রূপে গণ্য করা সম্ভব নয়।" (তরজুমানুস সুন্নাহ, খন্ড ৩য়, পৃঃ ৪২৬)
.
(২) শাইখুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী বলেনঃ "যখন এটা সাহাবীদের কর্ম, তখন সেটা হুজ্জাহ/দলীল নয়।" (তাকারীর শাইখুল হিন্দ পৃঃ৩০)
তিনি আরো বলেনঃ "এটা একটি সাহাবীর কথা, এটি হানাফীদের জন্য দলীল হতে পারে না।" (তাকারির শাইখুল হিন্দ পৃঃ৪৩)
.
(৩) আল্লামা যাফর আহমেদ থানভী দেওবন্দী বলেনঃ "(রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাওল) মারফূ হাদীসের মুকাবিলায় সাহাবীদের কওল দলীল হয় না।" (ইলাউস সুনান:১/৪৬৩)
.
(৪) সায়েদেনা আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) ফজরে দোয়ায়ে কুনুত পড়ত , তো এ ব্যাপারে শাইখুল হাদীস ত্বকী উসমানী দেওবন্দী বলেনঃ "এই রেওয়াত মওকূফ সুতরাং এ দ্বারা দলীল হবে না।" (দারসে তিরমিযী ২/১৬৯)
.
(৫) ত্বকী উসমানী সাহেব আরো বলেনঃ
"প্রথমত এটা আবু হুরাইরা (রাঃ) এর ব্যাক্তিগত ইজতেহাদি আমল, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মারফু হাদীসের সামনে এটি হুজ্জাত নয়।" (দারসে তিরমিযী ২/৮৪)
.
(৬) ত্বকী উসমানী দেওবন্দী বলেনঃ
"এবার রয়ে গেলো শুধু হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর আছার। এর জবাব হলো, প্রথমতো এতে প্রচন্ড ইজতেরাব রয়েছে। দ্বিতীয়ত যদি এটাকে সূত্রগতভাবে সহীহ মেনেও নেওয়া হয় তবুও এটি একজন সাহাবীর ইজতিহাদ হতে পারে, যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মারফূ হাদীসের বিপরীতে প্রমাণ নয়।" (দারসে তিরমিযী ১/২৮৩)
.
(৭) তিনি আরো বলেনঃ
"বাকি রইলো দ্বিতীয় সূত্রটি। সেটিও সহীহ। তবে এর দ্বারাও শাফেয়ি মতাবলম্বী প্রমুখের মাজহাবের ওপর কোনো স্পষ্ট মারফু দলিল প্রতিষ্ঠিত হয় না। কেনো না, এটা হজরত উবাদা (রাঃ) এর নিজস্ব ইজতিহাদ।
অর্থাৎ তিনি
لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ.
বিশিষ্ট হাদীসটীকে ইমাম এবং মুক্তাদীর উভয়ের জন্য ব্যাপক মনে করেছেন। এর ফলে এই হুকুম উৎসারণ করেছেন যে, মুক্তাদির উপর সূরা ফাতেহা পড়া আবশ্যক। তবে তার এ উৎসারণ মারফু হাদীসগুলোর বিপরীতে দলীল হতে পারে না।" (দারসে তিরমযী ২/৭৫)
.
(৮) সারফারায খান সাফদার দেওবন্দী সাহেব লেখেনঃ "(রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর) মারফু হাদীসের বিরোধীতায় (সাহাবাগণ এর) মাওকূফ হাদীস কোনো দলীল নয়।" (খাযাইন আস-সুন্নাহ (১/১৭৯)
.
(৯) ইমাম বুখারী (রহঃ) সায়েদেনা আনাস (রাঃ), হাসান বসরী এবং কাতাদা (রহঃ) এর কওল নকল করেছেন যে সেজদা সাহু এর পরে তাশাহুদ হবে না। দেখুন, (সহীহ বুখারী খন্ড ১ পৃঃ১৬৩)।
কিন্তু সারফারায সাফদার দেওবন্দী সাহেব বলেনঃ "ইমাম বুখারী (রহঃ) এর এই ইস্তেদলাল খুবই দুর্বল কারণ এটা মাউকূফ এবং (রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে) তার বিরোধীতায় সারীহ, সহীহ, মারফু রেওয়াত আছে, এগুলোর বিরোধীতায় (সাহাবাগণ এর) মঊকূফ রেওয়াত দিয়ে কি হবে?" (খাযাইন আস-সুনান ২/১৪৩)
.
(১০) খলীল আহমেদ সাহারানপুরী দেওবন্দী বলেনঃ "আর এটা একজন সাহাবীর মাযহাব (মত, রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর মত নয়) যেটা একজন ব্যাক্তির জন্যও দলীল নয়। (বাযলুল মাযহুদ ৫ম খন্ড, পৃঃ ৩৯)
.
প্রিয় পাঠক! এখানে লক্ষ্য করুন, দেওবন্দী আলেমগণ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছাড়া সাহাবাগণকেউ যাচাই-বাছাই এর ঊর্ধে মনে করেননি। তাই তো রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মতের সাথে না মিলার কারণে নির্দ্বিধায় তারা সাহাবাগণ (রা) এর মতের সমালোচনা করে প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রশ্ন হল- যাদের কথা দলিল হতে পারে না, যাদের কে যাচাইবাচাই করা হয় রাসূলুল্লাহ (সা) এর ভিত্তিতে, যাদের আমল মারফু হাদীসের বিরুদ্ধে গেলে মানা হয় না, তারা কি করে সত্যের মাপকাঠি হতে পারে? সুুতরাং দেওবন্দী আলেমগণের দৃষ্টিতেও সাহাবাগণ (রা) সত্যের মাপকাঠি নয় বরং সত্যের মাপকাঠি একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা)। আর তাই তারা রাসূলুল্লাহ (সা) এর বাণী মারফু হাদীস কে প্রাধান্য দিয়েছেন, সাহাবাগণ (রা) এর বাণী মারফু হাদীসের বিরোধী বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
.
আমাদের দৃষ্টিতেও একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা)-ই সত্যের মাপকাঠি, তিনি ছাড়া আর কোন ব্যাক্তি সত্যের মাপকাঠি হতে পারে না। কারণ 'মিয়ারে হক বা সত্যের মাপকাঠি বলতে আমরা সেই বস্তুকেই বুঝি, যার অনুকরণ ও অনুসরণের মধ্যে হক বা সত্য নিহিত আছে এবং যার অবাধ্যতার মধ্যে বাতিল বা অসত্য নিহিত আছে।' এ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখো যায় যে, আল্লাহর রাসূল (সা)-ই হচ্ছে একমাত্র সত্যের মাপকাঠি। সাহাবীগণ সত্যের মাপকাঠি নন, বরং তারা হচ্ছেন আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের (সা) সুন্নাতের মাপকাঠি অনুসারে সত্যপন্থী জামা'য়াত। 
কেননা আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻤُﺆْﻣِﻦٍ ﻭَﻟَﺎ ﻣُﺆْﻣِﻨَﺔٍ ﺇِﺫَﺍ ﻗَﻀَﻰ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُۥٓ ﺃَﻣْﺮًﺍ ﺃَﻥ ﻳَﻜُﻮﻥَ ﻟَﻬُﻢُ ﭐﻟْﺨِﻴَﺮَﺓُ ﻣِﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻫِﻢْۗ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻌْﺺِ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُۥ ﻓَﻘَﺪْ ﺿَﻞَّ ﺿَﻠَٰﻠًﺎ ﻣُّﺒِﻴﻨًﺎ.
"আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন মু’মিন পুরুষ কিংবা মু’মিনা নারীর সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবেনা। কেহ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে অমান্য করলে সেতো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট।" (সূরা আহযাবঃ ৩৩/৩৬)
.
আল্লাহ তা'য়ালা আরো বলেনঃ
ﻟَّﺎ ﺗَﺠْﻌَﻠُﻮﺍ۟ ﺩُﻋَﺎٓﺀَ ﭐﻟﺮَّﺳُﻮﻝِ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﻛَﺪُﻋَﺎٓﺀِ ﺑَﻌْﻀِﻜُﻢ ﺑَﻌْﻀًﺎۚ ﻗَﺪْ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺘَﺴَﻠَّﻠُﻮﻥَ ﻣِﻨﻜُﻢْ ﻟِﻮَﺍﺫًﺍۚ ﻓَﻠْﻴَﺤْﺬَﺭِ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺨَﺎﻟِﻔُﻮﻥَ ﻋَﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻩِۦٓ ﺃَﻥ ﺗُﺼِﻴﺒَﻬُﻢْ ﻓِﺘْﻨَﺔٌ ﺃَﻭْ ﻳُﺼِﻴﺒَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ.
"রাসূলের আহবানকে তোমরা একে অপরের প্রতি আহবানের মত গণ্য করনা; তোমাদের মধ্যে যারা চুপি চুপি সরে পড়ে আল্লাহ তাদেরকে জানেন। সুতরাং যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হবে তাদের উপর কঠিন শাস্তি।" (সূরা নূরঃ ২৪/৬৩)
.
কিন্তু কোনো সাহাবা (রাঃ) এর আদেশ বা মতের বিরোধীতা করলে পথভ্রষ্ট হবে কিংবা আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো শাস্তি কারো উপর আপতিত হবে- এমন কোনো দলিল আল্লাহ তা'য়ালা নাজিল করেননি। তাই তো রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মতের সাথে না মিলার কারণে নির্দ্বিধায় দেওবন্দী আলেমগণও সাহাবাগণ (রা) এর মতের সমালোচনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুুতরাং সর্বসম্মতিক্রমে এ কথা প্রমাণিত হলো যে, সত্যের মাপকাঠি সাহাবাগণ নয় বরং সত্যের মাপকাঠি একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা)। আল্লাহ আমাদের সকল কে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুক।


লেখকঃ-
মোহাম্মদ তানজিল ইসলাম।
ইসলামি চিন্তাবিদ ও লেখক।

Post a Comment

0 Comments