Recent Tube

নারীর অসম্মানে প্রতিশোধের নেশায় গর্জে উঠা তরবারির স্ফুলিঙ্গ ও অশ্বের দাপটে বাধাহীন সীমান্ত ইবনে যুবাইর

নারীর অসম্মানে প্রতিশোধের নেশায় গর্জে উঠা তরবারির স্ফুলিঙ্গ ও অশ্বের দাপটে বাধাহীন সীমান্ত;

      মাদীনার বাজার৷ইহুদীদের বনু কাইনুকা গোত্রের এক স্বর্ণের দোকানে এসেছে এক মুসলিম মেয়ে৷
দোকানের ইহুদী কর্মচারী মুসলিম মেয়েটিকে মুখের কাপড় খুলতে বলল৷ পর্দার বিধান লঙ্ঘিত হবে জেনে মুসলিম মেয়েটি তার মুখের কাপড় খুলতে রাজি হলেন না৷
মেয়েটি যখন দোকানের একটি চেয়ারে বসলেনন, তখন ঐ ইহুদী কর্মচারী মেয়েটির অগোচরে তার পোশাকে পেরেক মেরে চেয়ারের সাথে আটকে দিল৷

    যার কারণে উঠতে গিয়ে মুসলিম মেয়েটির জামা চিড়ে তার শরীর অনাবৃত হয়ে গেল৷ মেয়েটি চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেনন, ওয়া ইসলামা?(ইসলাম কোথায়?)
    মুসলিম মেয়েটির আর্তনাদ শুনে এক মুসলিম পথচারী এগিয়ে এলেন৷ ঘটনা আঁচ করতে পেরে সে অন্য কারো আসার অপক্ষো করলেন না৷ তার কাছে ছুরি ছিল৷ ছুরিটা বের করে ওই ইহুদী বুকে বসিয়ে দিলেন এবং মেয়টির আর্তনাদের জবাবে বললেন, ‘মুসলিমরা এখনো বেঁচে আছে৷ তারা নিজেদের বোনদের রক্ষা করতে জানে৷’

এটা দেখে বনু কাইনুকার অন্যান্য ইহুদীরা জড়ো হয়ে ওই ইহুদীর হত্যার প্রতিশোধ নিতে সেই মুসলিমকে হত্যা করে ফেলল৷
যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এই খবর পৌঁছল তখন তিনি প্রশ্ন উঠাননি, ‘কেন লোকটা ওই ইহুদীকে হত্যা করতে গেল?
বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু কাইনুকাকে অবরোধ করলেন৷ ১৫ দিন পর তারা আত্মসমর্পণ করল৷ এরপর বনু কাইনুকা গোত্রের সকল ইহুদীকে মাদীনা থেকে বের করে দেয়া হলো৷

    দেখুন,'আন্দালুসি স্পেন৷স্পেনের জালিম সম্রাট রডরিক তার আঞ্চলিক গভর্ণর কাউন্ট জুলিয়ানের মেয়ে ফ্লোরিডার সম্ভ্রমহানি করেছে৷
কন্যার এমন অবস্থা সহ্য করা যেকোন পিতার পক্ষেই কঠিন৷ কাউন্ট জুলিয়ানের কাছেও এই অত্যচার সহ্য করার মত ছিল না৷
সম্রাটারে হাতে সম্ভ্রমহানি! বিচারক যেখানে নিজেই বিচারের উপযুক্ত, সেখানে ন্যায়বিচারের আশা রাখাটা, কেমন যেন মরিচিকার পানি দিয়ে পিপাসা নিবারণ করা৷

     এমন কারো প্রয়োজন, যার ন্যায়বিচারের কাছে ‘রাজা-প্রজা’ সবাই সমান৷

    কাউন্ট জুলিয়ান জানতেন, তার সময়ে এরকম ন্যায়বিচারক হিসেবে খ্যাত একজনই আছেন৷ আফ্রিকার গভর্ণর মুসা বিন নুসাইর৷ একজন মুসলিম! অগত্যা তিনি মুসার কাছেই যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন৷

   জুলিয়ান এসেছেন মুসার কাছে৷ ভিন্ন ভাবে বললে, একজন খৃষ্টান এসেছে একজন মুসলিমের কাছে! ন্যায়বিচারের জন্য৷
এক অসহায় পিতার মুখে কন্যার সম্ভ্রমহানির কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন মুসা৷ হোক সে মুসলিম কিবা অমুসলিম৷ সম্ভ্রমের মূল্য সবার জন্য সমান৷ জুলিয়ানের কথা শেষ হবার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি৷

   নিজের বিশ্বস্ত সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদকে জরুরী তলব করে নির্দেশ দিলেন, চরিত্রহীন লম্পট রডরিককে হটিয়ে সমগ্র স্পেন জয় করতে৷ ন্যায়বিচারের ঝান্ডাতলে স্পেনকেও নিয়ে আসতে৷
কাউন্ট জুলিয়ান অবাক হয়ে দেখতে থাকলেন, এক খৃষ্টান মেয়ের সম্ভ্রমের মূল্য আদায় করার জন্য, স্পেন জয়ের উদ্দেশ্যে রাওনা হয়ে গেল তারিক বিন যিয়াদের বাহিনী৷তথ্য সূত্র,আমরা সেই জাতী।

    উপরে ছবিতে মা ও মেয়ের প্রতি জাহেলি যুগের মত বর্বর নির্যাতন দেখেও যারা প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলে নি,আসলে কি তারা মানুষ,নাকি দু পায়া কোন জীব?
যে দেশে বিচার নেই,আইনের শাসন নেই,সেই দেশে আদালতের কি প্রয়োজন?কি প্রয়োজন আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর?  

   যে দেশে নারীর সম্মান রক্ষা করার মত পূরুষদের হিম্মত নেই সেই দেশে নারীরা লাঞ্ছিত হবে এটায় স্বাভাবিক।আজ আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত মুসলিম হিসাবে পরিচয় দেয়ার।
-------------------------------------------  
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।

Post a Comment

0 Comments