Recent Tube

একটি স্বাধীনতা? পর্যালোচনা ও আগামীর অপ্রত্যাশিত বাস্তবতা! জ্ঞানগর্ভ দেশপ্রেমিকের চিন্তার খোরাক? ইবনে যুবাইর।

   
 একটি স্বাধীনতা
পর্যালোচনা ও আগামীর অপ্রত্যাশিত বাস্তবতা!  
জ্ঞানগর্ভ দেশপ্রেমিকের চিন্তার খোরাক? 

      পার্বত্য তিন জেলার ৯০% লোক  বাংলাদেশ থেকে স্বাধীন চেয়ে সশস্র যুদ্ধের ডাক দিয়েছে এবং সেখানে বসবাসরত ১০% লোক  বুঝতে পেরেছে যে আমাদের বাংলাদেশেকে নিয়ে কোন বিদেশী শক্তি গভীর ষঢ়যন্ত্র করছে,এই দেশটাকে ভেঙ্গে টৃকরা টুকরা করে দেশের শক্তি সামর্থ্য ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়ছে যা মোটেও সমর্থনযোগ্য নয় বিধায় এই অশুভ শক্তির ষঢ়যন্ত্র থেকে দেশ জাতীকে বাঁচাতে হলে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য কাজে নেমে পড়ার কোন বিকল্প নেই,তাই ১০% লোক স্বাধীনতা অক্ষত রাখার জন্য তাদের সামর্থ্যানুযায়ী কাজ করে  যাচ্ছিল।

  কিন্তু অবশেষে পার্শ্ববর্তী বিদেশী দেশের সামরিক,আধা সমামরিক ও নৌবাহিনীর সাহায্য সহযোগিতায় পার্বত্য তিন জেলা বাংলাদেশে থেকে স্বাধীনতা লাভ করল।
১০% লোক যারা পার্বত্য তিন জেলার স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল তারা ছিল ইসলাম বিদ্ধেষী শক্তির ৭% লোক।যারা সরকারি বাহিনীর সহযোগিতায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের মত অতি জঘন্য কাজে জড়িয় পড়ে।৩%লোক ছিল ধর্মভীরু। যাদের  একমাত্র চাওয়া ছিল দেশের অখন্ডতা বজায় রাখা।

   কিন্তু যখন তিন জেলা স্বাধীন হয়ে গেল তখন ক্ষমতা চলে গেল উপরোক্ত ৯০% লোকের হাতে এবং উল্লেখিত ৭% ধুরন্ধর লোক ৯০% লোকের সাথে গিয়ে মিশে গেল।অর্থাৎ এই ৭% ও ৯০% মিলে হল ৯৭% লোক।এরাই সরকার গঠন করল।
সরকার প্রধান যখন দেখল যে,স্বাধীনতা বিরোধী ১০% লোকের মধ্যে ৭% লোক তার নিজ দলের তখন তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দিলেন।এতে করে সরকারের ৭% লোককে তিনি বিচারের আওতা থেকে মুক্ত করে দিলেন।যা হোক,৭% লোকের জন্য ৩% লোকও বিচার থেকে মুক্তি লাভ করল।এখানে মনে রাখতে হবে যে,৩% লোক কোন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল না।

   সরকার গঠনের প্রায় চার বছরের মাথায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপদগামী সদস্য ও সরকার প্রধানের নিজ দলের লোকের সহয়তায় সরকার প্রধানকে স্বপরিবারে হত্যা করল।আর এই হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল তারা, যারা স্বাধীনতা লাভের জন্য এই সরকারকে সামরিক শক্তি দিয়ে সাহায্য করেছিল।পঁচিশ বছর ধরে তারা ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ে।

    এই পঁচিশ বছর স্বাধীনতা বিরোধী ৩% লোক এবং জাতীয়তবাদী ৫০% লোকের সাথে মিলে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করতে থাকে।

   পঁচিশ বছর পর আবার বিদেশি শক্রর সহযোগিতায় দেশের সেনাবাহিনীকে পুঁজি করে পিছন দরজা দিয়ে কথিত স্বাধীনতার পক্ষের  দলটি ক্ষমতায় আসে-এ দেশে বিদেশী শক্রর এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে।

    এসে দেখে উল্লেখিত স্বাধীনতা বিরোধী ৩% লোক বেড়ে এখন ২০ হয়ে গেছে এবং ২০% লোক একটি জাতীয়তাবাদী দলের সাথে ঐক্য গড়ে আছে।

    ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমেই দেশের ৫৭ জন দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী প্রাণ হারায় দেশের সিমান্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে।দেশের আকাশে মেঘ ঘণিভূত হতে থাকে।ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় দেশের মেরুদন্ডকে।

  সেনাবাহিনীর পর এবার দেশ প্রেমিক লোকদের হত্যা করার জন্য বিদেশি শক্রদের এজেন্ডামতে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের নামে দেশে গড়ে উঠে কথিত ট্রাইবুনাল।বেছে বেছে এক এক করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে তাদেরকে হত্যা করা হয় যারা ভারতের আগ্রাসীনীতির বিরুদ্ধে ছিল বজ্রকন্ঠ।

    পাঠক,লেখার শুরুতে আবার ফিরে আসা যাক।এই পার্বত্য তিন জেলাকে মনে করুন পূর্ব পাকিস্তান।৩ % লোক যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল তারা ছিল জামায়াত ইসলামী দলের লোক।৭% লোক যারা খুন ধর্ষণ, লুটপাট,অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা ছিল আওয়ামী লীগের।

    এখন পার্বত্য তিন জেলাকে যদি কোন শক্র শক্তি এ দেশ থেকে  আলাদা করতে চায় আর আপনি বা আপনারা হয়ে থাকেন পার্বত্য তিন জেলার অধিবাসী এবং দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির প্রতি যদি আপনাদের দরদ থাকে তবে নিশ্চয় আপনি তিন জেলাকে আলাদা করার বিপক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে অবস্হান গ্রহণ করবেন।৭১-এ জামায়াত ইসলামী তাই করেছিল।
জামায়াতে ইসলামী ঠিক বুঝেছিল যে,ভারত পাকিস্তানকে ভেঙ্গে আলাদ করছে তাদের নিজের স্বার্থে।আজ দেশের মানুষ সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারলেও সে কথা স্বীকার করতে লজ্জাবোধ করছে।

   বিজ্ঞ পাঠক,স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার করার উদ্দেশ্য নিশ্চয় বুঝে থাকবেন।যদি সে 
কথা না বুঝে থাকেন তবে ৫৭ জন সেনা অফিসার হারোনোর কথা বুঝবেন না,বুঝবেন না কেন? ট্রাইবুনাল গঠন করা হল,বুঝবেন না কেন? 
মেজর সিনহা রাশেদারা মারা পড়ছে,বুঝবেন না পার্বত্য তিন জেলা নিয়ে কি হচ্ছে?

  আবার যদি পার্বত্য তিন জেলা আলাদা হবার ডাক উঠে তবে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।তিন জেলা যদি শক্র শক্তি আলাদা করার জন্য সশস্র সংগ্রামের ডাক দেয় তবে জামায়াত ৭১-এ যে ভূমিকায় ছিল, তিন জেলায় বসবাসত জামায়াতে ইসলামীর যত লোক আছে বর্তমানেও সে একই ভূমিকা পালন করবে।তিন জেলা আলাদা হবে,জামায়াতের লোকজন আবার হবে রাজাকার!!?
---------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।

Post a Comment

0 Comments