বিতি কিচ্ছা,
পর্ব-৩৪,
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা চরিতার্থকরন আর প্রশাষণে দূর্ণীতির ধাপট চর্চিত হচ্ছে হামেশা।
ঋণ খেলাফির দৌরাত্ব্য আর পূঁজি বাজারে লুটের উৎসব এখন সকল দৈনিকের সার সংবাদ। তার সঙ্গে আছে সন্ত্রাসীদের এ্যাকশান শো। এ ছাড়াও বলতে গেলে বেপরওয়া ভাবে সংঘটিত হচ্ছে নারী ও শিশু নির্যাতন। এত সব নিয়ে বেশ এগিয়ে যাচ্ছে সোনার বাংলা দেশ। রাষ্টের সম্পদ লুন্টনে একে অন্যের প্রতিযোগীতা যখন চরম পর্যায়ে তখনও দেশে কোন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার খবর নাই বললেই চলে।
এই লিখা চলাকালীন আমার পাশ দিয়ে দীর্ঘ রথ যাত্রা নির্বিঘ্নে চলছে। অথচ পুরো বিশ্ব জুড়ে মহাসমারোহ একতরফা ভাবে চলছে মুসলিম নিদন। রাখাইনের অধিবাসী মুসলিমদেরে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হল। খুন হত্যার শিকার হল লাখ লাখ। বর্তমানে পুরো ভারত জুড়ে চলছে মোদী সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে মুসলিম নিদন। তবে বাংলাদেশ সহ পৃথীবির প্রতিটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশে অমুসলিমরা পুরো মাত্রায় নিরাপদে দিন যাপন করছেন। এটা বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের দুর্বলতার পরিচায়ক নয়। এটা মুসলিমদের কোন কর্মসূচী নয় যে তারা আর সব ধর্মাবলম্বীদের দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। বরং প্রকৃত অর্থে প্রতিবেশীর জান মালের নিরাপত্তার দায়ীত্বই বর্তায় মুসলিমদের উপর।
এমন কোন ধর্ম গ্রন্থ আছেকি যেখানে বিধর্মী নিদনে উৎসাহিত করা হয়েছে। অথচ ধর্মের দোহাই দিয়ে বিশ্বব্যাপী এ জাতীয় কর্মসূচী বাস্তবায়নে মুসলিমরা বাদে সারা বিশ্বই যেন এক। আসলে এগুলো কখনওই ধর্মের লড়াই নয়, এগুলো প্রায়স:ই ক্ষমতার লড়াই। বিশ্বের সর্বত্র ক্ষমতাসীনরা সাধারণের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনা জাগিয়ে দিয়ে স্বীয় ক্ষমতার বলয় ঠিক রাখার অপকৌলে তৎপর। আর আমরা তাদের ক্ষমতায় আরোহনের অথবা ক্ষমতায় টিকে থাকার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হই হামেশা। আমি মনে করি এ যুগের ক্ষমতাসীনদের কোন ধর্ম নেই। যেরূপ বলা হয় সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। সন্ত্রাসীরা যেমন অন্যের অধীকার হরণ করে আপন বলয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন জাত ধর্ম বিচার করে না, ক্ষমতাসীনরাও তেমনি ক্ষমতা হাতছাড়া না করার জন্য হেন অপকর্ম নাই যে তারা করতে পারে না। অথচ প্রকৃত অর্থে ধার্মিক যে সে যে ধর্মেরই হোক স্বীয় ধর্মীয় শৃংখ্যলার আওতায় তার জীবন হয় অপরিমেয় সুন্দর ও সাবলীল। আসলে অন্যান্য ধর্মেতো বটে খোদ ইসলাম ধর্মের দাবিদাররাও অনেকে স্বীয় ধর্ম চর্চ্চায় বে মালুম উদাসীন। অথচ জমিনে ধর্মের নামে বিশৃংখ্যলা সৃষ্টিতে, দঙ্গা- হাঙ্গামায়, আর খনোখুনিতে এরা বড় এগিয়ে।
,-----------------------------------------------
0 Comments