Recent Tube

স্বঘোষিত আহলে হাদিস ও মাজহাব বিদ্বেষিদের অতীত কর্মকাণ্ড এবং তাদের সমকালীন আচরণে বিদ্যানদের এনালাইসিস! -- ইবনে যুবাইর

 স্বঘোষিত আহলে হাদিস ও মাজহাব বিদ্বেষিদের অতীত কর্মকাণ্ড এবং তাদের সমকালীন আচরণে বিদ্যানদের এনালাইসিস!  

  পৃথিবীতে একমাত্র হকপন্থী দল হচ্ছে আহলে হাদিস তথা লা-মাজাহাবী সংগঠন। কারণ তাদের এই দলটির নাম ইংরেজদের দেওয়া। ভারতে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন যখন ভয়াবহ রুপ নেয় তখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে যিহাদ করা হারাম বলে আহলে হাদিস সংগঠনের পক্ষ থেকে ফতুয়াজারি করা হয়। 
যদি কেউ এর বিস্তারিত দেখতে চান তবে কমেন্ট বক্সে ১ নং কমেন্ট দেখুন।
 
  তাদের বর্তমান কার্যকলাপ লক্ষ্য করলেই বুঝা যায় ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে তাদের ভূমিকা কি ছিল। ২০০৪-৫ সালের দিকে তারা খেলাফত কায়েম করার কথা বলে দেশের ৬৪ জেলায় বোমা ফুটিয়ে অসংখ্য নিরীহ মানুষ হত্যা করে দেশে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।বাংলা ভাই,ফরিদ মাসুদ,আসাদুল্লাহ গালিবসহ অনেকেই চারদলীয়জোট সরকারের আইনসৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করে।অনেকের ফাঁসি হয় এবং শেখ হাসিনার সাথে গোপন আঁতাতের ফলে আসাদুৃল্লাহ গালিব ও ফরিদ মাসুদেরা জেল থেকে মুক্ত হয়ে বের হন,দেখুন ২নং কমেন্ট।

   শেখ হাসিনার সাথে গোপন আঁতাতের পরবর্তী সময় ফরিদ মাসুদকে শোলাকিয়া ঈদগাহের ঈমাম নিযুক্ত করা হয় এবং আসাদুল্লাহ গালিবকে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে ফতুয়াজারিসহ বিভিন্ন বই পত্র লিখতে দায়িত্ব দেওয়া হয়।তিনি তার খেলাফত কায়েমের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে এখন যারা নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দ্বীন কায়েম আন্দোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ফতুয়াজারি ও বই পত্র লিখাকে ঈমানী দায়িত্ব হিসাবে কাঁধে নিয়ে ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

    মতিউর রহমান মাদানিকে দেখুন।ভারতে ঠুনকো ইস্যুকে হাতিয়ার বানিয়ে মুসলিম নিধন চলছে।অথচ,তার নিজের দেশ নিয়ে ও মাজলুম মুসলমানের পক্ষে তার কোন কথা নেই।এসিতে বসে রাজতন্ত্রের গোলামীতে নিজেকে সোপর্দ করে রেখেছেন এবং পৃথিবীর যেখানেই দ্বীন কায়েমের জন্য সংগ্রাম করারা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মতিউর রহমান মাদানির ফতুয়ার মেশিনগান থেকে অহনীশি ফতুয়া বাজারজাত করা হচ্ছে।আর বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাদের অসংখ্য চেলাচামুণ্ডা। এই চেলাচামুণ্ডাদের যে কি ভীষণ যন্ত্রনা তা যদি উপলব্ধি করতে চান তবে আপনার আরামের বিছানায় ছারপোকার থাকা কতটা অসহ্য যন্ত্রনা সেটাকে উপলব্ধি করুন।

   এই হকের ডিলারগণদের জন্ম হয়েছে ইসলামের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ইহুদী-খ্রীষ্টান,কাফির, মুশরিকদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য।মুনীর চৌধরীর "রক্তাক্ত প্রন্তর" নাটকের একটি উক্তি টেনে আজকের লেখাটি শেষষ করতে চাই।তিনি  লিখেন,মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়।বেঁচে থাকলে বদলায়,ক্ষণে ক্ষণে বদলায়,কারণে অকারণে বদলায়।"

কথিত সহীহ তরিকা ঠিক গিরগিটির মত।এরা যখন যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেভাবেই রং বদলায়।শুধু আমরাই তাদের চিনতে ভুল করি যে এরাই এক সময় বোমা মেরে খেলাফত কায়েম করতে গিয়ে অসংখ্য বনি আদমকে হত্যা করে।আজ আবার তারাই খেলাফত কায়েমের বিরুদ্ধে কথা বলে।
--------------------------------------------------
লেখকঃইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।             

Post a Comment

0 Comments